ঢাকা মঙ্গলবার, ২৬ আগস্ট, ২০২৫

ইবাদত-বন্দেগিতে পালিত হলো পবিত্র শবেমেরাজ


নিজস্ব প্রতিবেদক photo নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১-৩-২০২২ দুপুর ১০:৫৪

ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও যথাযথ মর্যাদায় পবিত্র শবে মিরাজ পালন করেছেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লীরা। নফল নামাজ, জিকির-আসকার ও ইহকালীন কল্যাণ আর পরকালীন মুক্তি কামনায় পালিত হলো পবিত্র এ রজনী। সকল অনাচার-অবিচার ঘুচে শান্তির বাণী ছড়িয়ে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন মুসুল্লিরা।

ইসলাম ধর্মমতে, যে রাতে হযরত মুহাম্মদ (সা.) স্বশরীরে স্রষ্টার সাক্ষাৎ করেছেন, সেটি লাইলাতুল মিরাজ যা শবে মিরাজ হিসেবে পরিচিত। পবিত্র কাবা হতে মহানবী সপ্তাকাশের ওপর আল্লাহর দর্শন লাভ করেন এবং পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের হুকুম নিয়ে দুনিয়াতে প্রত্যাবর্তন করেন। সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) কোরআনখানি, নফল নামাজ, জিকির-আসকার, ওয়াজ মাহফিল, দোয়া-দরুদ পাঠ ও বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে পবিত্র শবে মেরাজ উদযাপন করেছেন।

পবিত্র এই রজনী পালনে নফল নামাজ ও জিকির আসকারে করেছেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। দেশ-জাতির জন্য শান্তি কামনার পাশাপাশি মুসলিম উম্মাহর জন্য দোয়া করেন মুসুল্লিরা। ক্ষমা চান নিজের পাপ মোচনেরও।

ইসলামের ইতিহাস অনুযায়ী হযরত মুহাম্মদের (সা.) নবুওয়াত প্রাপ্তির একাদশ বৎসরের (৬২০ খ্রিষ্টাব্দ) রজব মাসের ২৬ তারিখের দিবাগত রাতে হযরত জিব্রাঈল (আ.)-এর সঙ্গে পবিত্র কাবা হতে পবিত্র বায়তুল মুকাদ্দাস হয়ে সপ্তাকাশের উপর আরশে আজিমে আল্লাহ সুবহানাহু তাআলার দিদার লাভ করেন এবং পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের হুকুম নিয়ে দুনিয়াতে প্রত্যাবর্তন করেন। তিনি অবলোকন করেন সৃষ্টি জগতের সমস্ত কিছুর অপার রহস্য।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম-এর জীবনের সবচেয়ে আলোড়ন সৃষ্টিকারী ঘটনা হচ্ছে ‘মেরাজ’। মেরাজ ইসলামের ইতিহাসে এমনকি পুরা নবুওয়াতের ইতিহাসেও এক অবিস্মরণীয় ঘটনা। কারণ সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব ও রাসূল হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম ছাড়া অন্যকোনো নবী এই পরম সৌভাগ্য লাভ করতে পারেননি।

ইসলামে মেরাজের বিশেষ গুরুত্ব হচ্ছে এই মেরাজের মাধ্যমেই ইসলাম ধর্মের নামাজ মুসলমানদের জন্য ফরজ নির্ধারণ করা হয় এবং দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের বিধান নির্দিষ্ট করা হয়।

জামান / জামান