পত্নীতলায় আদালতের রায় অমান্য করে নাজিরের কাজে বাধা সৃষ্টির অভিযোগ
২০১৮ সালে শুরু হওয়া পত্নীতলা উপজেলার একটি দখল বুঝে পাওয়ার মামলা ২০২১ সালে নিষ্পত্তির পর আদালতের আদেশে শুক্রবার (১১ মার্চ) যুগ্ম-জেলা জজ তৃতীয় আদালতের নাজির উপস্থিত থেকে ঢোল পিটিয়ে ও লাল পতাকা দিয়ে বাদীপক্ষকে ৪.৯৪ একর জমির দখল বুঝিয়ে দেয়ার একপর্যায়ে দলবদ্ধভাবে কিছু সন্ত্রাসী উক্ত কাজে বাধা দেয়া ও সবগুলো লাল পতাকা জমি থেকে তুলে ভেঙে ফেলার অভিযোগ উঠেছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, বর্তমান পত্নীতলা উপজেলার পত্নীতলা ইউনিয়নের শম্ভপুর গ্রামে বাদী মুক্তার হোসেনের পৈত্রিক ৪.৯৪ একর জমি ২০১৮ সালে বুঝে পাওয়ার জন্য আদালতে মামলা করেন। দীর্ঘদিন মামলা চলার পর ২০২১ সালে নওগাঁ জেলা জজ আদালত বাদী মো. মুক্তার হোসেন পক্ষে চূড়ান্ত ডিক্রি জারি করে। বাদীপক্ষকে উল্লিখিত জমি ১১ মার্চ ২০২২ তারিখে আদালতের নির্দেশে আদালত নিযুক্ত প্রতিনিধিকে ডিক্রিদারের নিকট জমির দখল বুঝিয়ে দিতে বলা হয়।
সে মোতাবেক শুক্রবার (১১ মার্চ) জেলা জজ আদালতের নাজির মো. ময়নুল হক, অ্যাডভোকেট কমিশনার মো. সোলেইমান চৌধুরী, জেলা জজ জারিকারক মো. আজিম উদ্দীনের নেতৃত্বে ঢোল পিটিয়ে, লাল পতাকা দিয়ে ডিক্রিদার পক্ষকে জমির দখল বুঝিয়ে দেয়ার একপর্যায়ে তাদের ওপর হামলা করার জন্য ধাওয়া করে কিছু সন্ত্রাসী। তৎক্ষণাৎ সেখান থেকে জজ আদালতের প্রতিনিধি ও জমির মালিক জীবন বাঁচিয়ে ফিরে আসেন। এ সময় স্থানীয় দুই সাংবাদিকের ক্যামেরা ছিনতাই ও ধাওয়া করে প্রতিপক্ষ (ছবি ও ভিডিও ফুটেজ সংরক্ষিত)।
এ ব্যাপারে বাদী মুক্তার হোসেন জানান, আদালতের নির্দেশে ডিক্রিদার পক্ষ আমাকে জমির দখল বুঝিয়ে দেয়ার কথা। কিন্তু আমি তা বুঝে পাচ্ছি না। কারণ, স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি প্রশাসন ও আদালতকে পরোয়া করের না। আমি এখন নিরুপায়, কার কাছে গিয়ে বিচার চাইব? দীর্ঘদিন মামলা চলার পর দায়রা জজ তৃতীয় আদালত আমার পক্ষে জমি বুঝিয়ে দেয়ার রায় দিয়েছে। আমি গরিব-অসহায় মানুষ, পৈত্রিক সম্পত্তিটুকু যদি আমার কাছ থেকে চলে যায় তাহলে আমি নিঃস্ব হয়ে যাব।
এমএসএম / জামান