পৌর ভবনে ঢুকে মেয়রের ওপর অতর্কিত হামলা
আজ সোমবার (৪ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ পত্নীতলা উপজেলা সদরের নজিপুর পৌর ভবনে ঢুকে কাজে ব্যস্ত থাকা অবস্থায় নজিপুর পৌরসভার মেয়র রেজাউল কবির চৌধুরীর ওপর অতর্কিত হামলা করেছে পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মিজানুর রহমান মিতু। দ্রুত এলোপাতাড়ি হামলা করে সে স্থান ত্যাগ করে লাপত্তা হয়ে যায়। তৎক্ষণাৎ অফিসের অন্য স্টাফরা এগিয়ে এসে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে বিশেষ ওয়ার্ডে ভর্তি করানো হয়।
পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল ও হাসপাতালে এসে খোঁজখবর নিয়েছে। এ সময় স্থানীয় নেতাকর্রীদের ভিড়ে জনসমাগম ঘটে হাসপাতাল চত্বরে। মেয়রের স্ত্রী খবর পেয়ে হাসপাতালে এলে তার (মেয়রের) এখন কেমন লাগছে- জানতে চাইলে মেয়র কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমার খুব ভয় করছে ,আতঙ্ক বিরাজ করছে ইত্যাদি ।এ সময় তার সহধর্মিণী তাকে সান্ত্বনা, নির্ভয় ও সাহস জোগান। এ সময় তিনি আইনের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
পত্নীতলা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা খালিদ সাইফুল্লাহ বলেন, তাকে আমাদের ব্যবস্থায় সর্বোচ্চ চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। যদি কোনো রকম অবনতি ঘটে তাহলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হবে।
পত্নীতলা থানার ওসি (তদন্ত) হাবিবুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এখন পর্যন্ত থানায় মামলা দায়ের হয়নি। তবে যেহেতু একজন মেয়র (জনপ্রতিনিধি) ও সরকারি ভবনে ঢুকে এহেন কর্মকাণ্ড সে (মিতু) করেছে, তাই ইতোমধ্যেই পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে ঘটনার সূত্রপাত বা কী নিয়ে সমস্যা তা নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো বিশ্বস্ত সূত্র থেকে কিছু জানা যায়নি। আশা করা হচ্ছে মামলার পর এজাহার সূত্রে উঠে আসবে সেসব খবর।
রোগী (মেয়র) ভীত, আতঙ্কিত বোধ করছেন, সেক্ষেত্রে তাকে পুলিশ নিরাপত্তা দেবে কি-না- এমন প্রশ্নের জবাববে ওসি (তদন্ত) হাবিবুর রহমান বলেন, হ্যাঁ, তিনি বা তার পরিবারের কেউ নিরাপত্তার দাবি করলে অবশ্যই পুলিশি নিরাপত্তা দেয়া হবে।
ক্ষুদ্ধ পৌরবাসী এ ন্যক্কারজনক হামলার প্রতিবাদ ও তীব্র নিন্দা জানিয়ে কঠোর শাস্তির দাবি করেছেন।
এমএসএম / জামান