ঢাকা রবিবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২৫

সিরাজগঞ্জের চৌহালীতে অসময়ে নদীভাঙনে এলাকাবাসী দিশাহারা


চৌহালী  প্রতিনিধি photo চৌহালী প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ৪-৪-২০২২ বিকাল ৫:১৪

সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার যমুনা নদীতে পানি বাড়ার সাথে সাথে আকস্মিকভাবে ভাঙন শুরু হয়েছে। চৈত্র মাসে শান্ত-স্নিগ্ধ যমুনা নদী হঠাৎ বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। গত দুই সপ্তাহের ভাঙনে সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলায় অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি ও  ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। সম্পূর্ণ বিলীন হয়ে গেছে মিটুয়ানী নৌঘাট। কিন্তু ভাঙন রোধে কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিকভাবে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। ভাঙনের মুখে পড়েছে মিটুয়ানী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চরসলিমাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়  ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়। ইতোমধ্যে বাঘুটিয়া ইউনিয়নের যমুনার তীরবর্তী গ্রামে ব্যাপক আকারে ভাঙন শুরু হয়েছে।

গতকাল রোববার থেকে ওই ইউনিয়নে যমুনা নদীর তীরে সরেজমিন দেখা গেছে, নিজের জমিতে লকলকিয়ে বেড়ে ওঠা বাড়ন্ত ধান ও গমক্ষেতের অপ্রাপ্তবয়স্ক গাছগুলো কাটছেন ঘুশুরিয়া গ্রামের কৃষক মতিন এবং ছাইফুল ইসলাম। ধান ও গমগাছ নয়, যেন নিজের ভাগ্যকেই কাঁচি দিয়ে কাটছিলেন এই কৃষকরা। চোখে টলমল পনি নিয়ে বলছিলেন, ‘ভাত তো আর খাইতে পারমু না, কাইটা গরুকে খাওয়াইগা।’ চৈত্রের  গরমে ঘামে নয়, তার চোখ দুটো ছলছল করছিল। এই চিত্র এখন এই অঞ্চলের চারটি গ্রামের।

তিন-চার বছর আগে ঘুশুরিয়া গ্রামের কৃষক মতিন  ও ছাইফুল ইসলাম  এসে আশ্রয় নিয়েছিলেন এই চরে। এ নিয়ে চারবার নদীভাঙনের কবলে পড়েছেন তারা। এক সময় পৈত্রিক বসতবাড়ি আর কিছু জমি থাকলেও এখন তিনি উদ্বাস্তু। তাদের ভাগ্যকে যেন গ্রাস করেছে যমুনা।

বাঘুটিয়া ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের আহ্বায় নজরুল ইসলাম বাবু জানান, শুষ্ক মৌসুমে যমুনা নদীর এমন তাণ্ডব এলাকাবাসী আগে কখনো দেখেনি। দুর্গত মানুষের আহাজারি পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা এবং সরকারি দফতরে পৌঁছাচ্ছে না। কর্তৃপক্ষ ধরেই নিয়েছে, বর্ষা মৌসুম ছাড়া অন্য সময় নদী ভাঙে না। তিনি আরো বলেন, এই অঞ্চলের পশ্চিম দিকে যমুনার মাঝখানে বিশাল চর জেগে ওঠায় ভাঙনের তীব্রতা এত ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।

মিটুয়ানী ও চরসলিমাবাদের ফয়জাল বেপারী, সাহাদৎ ও চাষী মনিরুল  ইসলাম জানান, ভাঙন রোধে ব্যবস্থা না নেয়ায় আমরা কৃষকরা দিন দিন আরো নিঃস্ব হচ্ছি। তারা আক্ষেপ করে জানান, এই চরে আশ্রিত এমন অনেক পরিবার রয়েছে, যারা এক সময় বিঘা বিঘা জমির মালিক ছিল। অথচ এখন তারা অন্যের জমিতে মজুরি খেটে সংসার চালাচ্ছে। টাকার অভাবে সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে পারছে না। নদীভাঙন রোধে যমুনার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের সংস্কারকাজে শত কোটি টাকা খরচ করা হলেও যমুনা নদীর চৌহালীর দক্ষিণাঞ্চলের আগ্রাসন বন্ধ করা সম্ভব হয়নি। প্রতি বছর পূর্বপাড়ের ফসলি জমি আর জনপদ গ্রাস করবে যমুনা। ভাঙন রোধের নামে এক শ্রেণির ঠিকাদার আর কিছু অসাধু পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারী বিস্তর টাকার মালিক হবে। তবে আমাদের মতো ভাঙনকবলিত নিঃস্ব মানুষগুলোর হাহাকার থেকেই যাবে।

বাঘুটিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম মোল্যা জানান, যমুনা নদী শুকিয়ে ছোট-বড় চরের সৃষ্টি হয়েছে। ভাঙা-গড়ার খেলায় মেতে নদী আজ যেন ক্লান্ত। জেগে ওঠা চরে এখন চাষ হচ্ছে বিভিন্ন ফসল। ড্রেজিং করে স্রোতধারা চালু করলে নদীটি রক্ষার সাথে সাথে দুই পাড়ের বাসিন্দাদের ভাঙন থেকে রক্ষা করা সম্ভব হবে।

এ ব্যাপারে সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম জানান, যমুনা নদীর ভাঙন রক্ষায় অর্থ বরাদ্দ হলে কাজ শুরু করা হবে।

এদিকে, ভাঙনকবলিত এলাকায় নবাগত থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন অর রশীদ পরিদর্শন করে ওই এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করেছেন।

এমএসএম / জামান

গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে জিয়া পরিবারের অবদান অপরিসীম : এ্যাড. আজিজ মোল্লা

ভোলাহাটে বাগান নষ্ট ও হুমকির ঘটনা: প্রশাসন তদন্তে, উদ্বিগ্ন এলাকাবাসী

জিয়া পরিবারের কষ্টের তুলনায় আমাদের কষ্ট কিছুই না - আবুল কালাম

যমুনা নদীতে চাঁদাবাজির দায়ে গ্রেপ্তার ১০

নবীনগরে চার গ্রামের মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে বিএনপির মতবিনিময় সভা

কবিরহাটে ফখরুল ইসলাম: ধানের শীষে বিজয় হলে বন্ধ হবে দুর্নীতি, চাঁদাবাজি

কোনো অপশক্তি নির্বাচন বানচাল করতে পারবে নাঃ আইজিপি

নাচোলে বীরমুক্তিযোদ্ধাদের সংবাদ সম্মেলন

বাঘা-চারঘাট জামায়াতের এমপি প্রার্থী মোটরসাইকেল রেলি অনুষ্ঠিত

দর্শনা রেলবাজার দোকান মালিক সমিতির ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন সম্পন্ন

কাপাসিয়ায় সালাহউদ্দিন আইউবী‘র দাঁড়িপাল্লার সমর্থনে বিশাল মিছিল

গজারিয়ায় অসহায় ও শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ

পরিবর্তনের স্বপ্ন পূরণ করবে জাতীয় নাগরিক পার্টি : আসাদুল ইসলাম মুকুল