চাহিদামতো টাকা না দিতে পারায় কপালে জোটেনি বিধবা ভাতার কার্ড
প্রায় তিন যুগ আগে স্বামী মারা গেলেও চাহিদামতো টাকা না দিতে পারায় কপালে জোটেনি বিধবা ভাতার কার্ড। বিধবা মনোয়ারার ইটভাটার কাজ করে আয় ও প্রতিবন্ধী নাতির ভ্যান চালানোর উপার্জন দিয়েই চলছে তাদের সংসার। দামুড়হুদা উপজেলার হাউলি ইউনিয়নের স্বামীহারা বিধবা দুই নারী মা-মেয়ে ও প্রতিবন্ধী নাতি ছেলেকে নিয়ে জীবন সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন বিধবা নারী মনোয়ার খাতুন ।
বিধবা এ নারী মনোয়ারা স্থানীয় এক ইটের ভাটাতে দিন হাজিরার কাজ ও তার নাতী ইঞ্জিন চালিত পাখি ভ্যান চালিয়ে উপার্জন করে সংসার চালিয়ে আসছেন। স্বামী মারা যাওয়ার দুই যুগ পেরিয়ে গেলেও পরিবারটিতে মা-মেয়ে দুইজন কারোই জুটেনি একটিও বিধবা ভাতার কার্ড। আজ এমনি এক সংগ্রামী বিধবা অসহায় নারী ও তার বিধবা মেয়ে মালা ও তার প্রতিবন্ধী ছেলে সজীবকে নিয়ে সংগ্রামী জীবন কাহিনী তুলে ধরা হলো। সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, বিধবা নারী মনোয়ার আজকের পুরুষ শাসিত সমাজ ব্যবস্থার মধ্যেও একজন নারী হওয়ার পরও ইটের ভাটাতে কাজ করার মধ্য দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। কঠোর পরিশ্রম ধৈর্য্য ও শত প্রতিকূল অবস্থায় মধ্যেও পেটের তাড়নায় দুবেলা দু মুঠো ডাল- ভাত খেতে চালিয়ে যাচ্ছেন তার ও পরিবারের সংগ্রামী জীবন। গত প্রায় ৫৫ বছর আগে মনোয়ার খাতুনের সাথে বিবাহ হয় বাদশা নামের এক ব্যাক্তির ।
তাদের সংসার জীবনে জন্ম নিয়েছিলেন দুই সন্তান। যার একটি কণ্যা অপরটি পুত্র সন্তান। হঠাৎই একদিন গত প্রায় ৩০ বছর আগে একটি সড়ক দূর্ঘটনা মারা জান মনোয়ারা স্বামী বাদশা। তখন দুইটি সন্তানকে নিয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে থাকেন বিধবা এ নারী।বহু কষ্ট আর ত্যাগের মাধ্যমে খেয়ে না খেয়ে মানুষ করেন এ সংগ্রামী বিধবা নারীর সন্তনদের । সন্তানদের মানুষ করার পর একে একে বিবাহও দেন। কণ্যা সন্তান মালা কে বিবাহ দেয় একই ইউনিয়নের সাইফুলের সাথে। বিয়ের পর সংসার শুরু হওয়ার পর সুখের সংসার শুরু করেন। এরই মাঝে মনোয়ারা মেয়ে মালার স্বামীও ব্লাড ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে মারা যান।স্বামী মারা যাওয়ার পর মেয়ে তার দুইটি সন্তান সবীজ ও ঝর্ণাকে নিয়ে মায়ের সাথে বসবাস শুরু করেন দামুড়হুদা উপজেলার হাউলি ইউনিয়নের শাহ পাড়ায়। একমাত্র মেয়ের সংসার জীবনে জন্ম নেয় শারীরিক প্রতিবন্ধী যার নাম সজীব। সজীব বর্তমানে সে ( ইঞ্জিন চালিত) পাখি ভ্যান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছেন। সংগ্রামী এ বিধবা নারী মনোয়ারা একমাত্র ছেলে জীবননগর বিবাহ কারার পর শ্রমিকের কাজ করেন সেখানেই বসবাস করছেন। নিজের পরিবার ও নিজের জীবন সংগ্রামের কথা উপস্থিত গণমাধ্যম কর্মীদের সামনে বলতে গিয়ে অশ্রুশিক্ত কণ্ঠে বিধবা নারী মনোয়ারা খাতুন বলেন,দীর্ঘ প্রায় ৩০ বছর ধরে জীবনে সাথে সংগ্রাম চালিয়ে আসছি। আল্লাহ যতদিন বাঁচিয়ে রাখবেন ততদিন এভাবে বেঁচে থেকে সংগ্রাহ চালিয়ে যেতে হবে বাবা। স্বামী মারা গেছে৩০ বছর আগে আমার মেয়ের জামাই মরে গেছে প্রায় ২০ বছর আগে কিন্তুু এখনো আমাদের দুইজনের একটি বিধবা ভাতার কার্ড ও হয়নি। আমাদের মতো অসহায় নারীরা যদি বিধবা ভাতার কার্ড না পাই তবে কারা পাবে জানিনা?এসময় বিধবা ঐ নারাী বলেন আমি প্রায় তিন বছর আগে যখন পুরাতন হাউলি বাস করতাম তখন আমাদের মেম্বার সেলিম আমাকে বলেছিলেন খালা একটা বিধবা ভাতার কার্ড করে দিবনি ২ হাজর ৫ 'শ টাকা লাগবে। আমি কষ্টের সংসারের কথা ভেবে মেম্বারের কথাতে রাজি হয়ে সুদের উপর টাকা নিয়ে তাকে দিই। টাকা দেওয়ার ৩ মাস পর তোমার কার্ড হবেনা বলে আমার টাকা ফেরত দিয়ে যায়। টাকা ফেরতের কিছু দিন পর মেম্বারের সাথে দেখা হলে তিনি আমাকে বলেন খালা তেমার কার্ডটি করে দেওয়া যাবে কিন্তুু টাকা লাগবে ৫ হাজার।
আমি এতো টাকা দিতে পারবো না বলে তাকে জানিয়ে দিই। ময়ের কথা বলা শেষে তার বিধবা নারী মালা বলেন, তিনি আমার মা। আমার বাবা মারা যাওয়ার পর আমাদের সংসার খুবই কষ্টে চলেন। আমার স্বামীর গত প্রায় ২০ বছর আগে ব্লাড ক্যান্সার হয়ে মারা যান। আমার আব্বার মারা গেছে আজকে ৩০ বছর স্বামী মরেছে ২০ বছর আগে অথচ এতোদিন পার হলেও আজও আমরা মা মেয়ে কেউই একটি বিধবা ভাতার কার্ড পেলাম না। মার একটা কার্ড করে দিবে বলে সেলিম মেম্বার আড়াই হাজর টাকা চেয়েছিলো মা সুদের উপর টাকা নিয়ে টাকাও দিয়েছিলো কিন্তুু মেম্বার করে দেননি। পরবর্তী ৫ হাজর টাকা চেয়েছিলো মা এতগুলো টাকা দিতে না পারাতে সেসময় কার্ডটি আর হয়নি। বর্তমানে আমার মা একটি ইটের ভাটাতে কাজ করে আর আমার শারীরিক প্রতিবন্ধী ছেলে ভ্যান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে সংসার চলে।সরকারি ভাবে আমরা ১০ টাকার চালের কার্ড পাই আর ছেলের জন্য একটা প্রতিবন্ধী কার্ড আছে। শুনেছি দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ভালো মনের মানুষ। আমাদের মতো অসহায় পরিবার আপনাদের মাধ্যমে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলী মুনছুর বাবু' ও উপজেলা নির্বাহি অফিসারের সুদৃষ্টি কামনা করছি। এবিষয়ে হাউলি ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য সেলিম এর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বিকার করে বলেন আমার বিরুদ্ধে যে অভিযাগ করা হয়েছে এটা সম্পন্ন মিথ্যা তিনি আরো বলেন আপনারা আমার ওয়ার্ড এ এসে সকল ভাতাভোগিদের কাছ থেকে জেনে দেখেন কেও যদি এমন অভিযোগ করে তাহলে যে শাস্তি হয় সেটা আমি মাথা পেতে নেবো।
এমএসএম / জামান
রাণীনগরে জাতীয় প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ শুরু
আবারো মানবতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত প্রমাণ করলেন মেহেরপুর সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ খায়রুল ইসলাম
আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রাণিসম্পদ খাতকে আরও সমৃদ্ধ করতে হবে
সাটুরিয়ায় প্রাণীসম্পদ প্রদর্শনী মেলা অনুষ্ঠিত
রাঙ্গামাটিতে সিএনজি -কাভারভ্যান মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১,আহত ১
৬৪ জেলায় পুলিশ সুপার বদলি - কুমিল্লার নতুন পুলিশ সুপার মো. আনিসুজ্জামান
লাকসামে বিএনপি নেতা হিরু-পারভেজ নিখোঁজের ১২ বছর, স্বজনদের অপেক্ষার প্রহর কাটছে না
কালীগঞ্জে জাতীয় প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ ও প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনীর উদ্বোধন
মাদ্রাসায় পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে জঙ্গলে নিয়ে মেয়েকে ধর্ষণ: পলাতক বাবা গ্রেপ্তার
বড়লেখায় জাতীয় প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর উদ্বোধন
নাচোলে জাতীয় প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ ও প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী- উদ্বোধন
লাগারে লাগা ধান লাগা' স্লোগানে সুনামগঞ্জ-৪ আসন উত্তাল