পত্নীতলায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের সুবিধাভোগী নির্বাচন করতে ইউএনও‘র অভিনব কায়দা
বাংলাদেশ সরকার বার বার বলে আসছেন ,কেউ থাকবে না গৃহহীন,কেউ রবেনা ঠিকানাহীন। পর্যায়ক্রমে সরকারের এ আশ্রয়ন প্রকল্পের কাজ রয়েছে চলমান ,হয়তো কখনো আবেদন গ্রহন,কখনো সরেজমিন তদন্ত,কখনো যাছাই বাছাই ,কখনো চূড়ান্ত তালিকা ,কখনো বা ঘর নির্মাণ আর কখনো বা হাসিমুখে হাসি ফুটিয়ে ঠিকানাহীনদের নতুন ঠিকানা হস্তাস্তর।এ ভাবেই চলছে ,আর সরকারের বক্তব্য প্রত্যেকের ঠিকানা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত চলতে থাকবে এ কার্যক্রম।যা বাংলার কেন বিশ্ব ইতিহাসে বিরল।আশ্রয়ন প্রকল্প-২ এ সারাদেশ জুড়ে টাকার বিনিময়ে ঘর,আর দেওয়াল ধশে পড়া ,উদ্ধোধনের পূর্বেই ঘর ভেঙ্গে পড়া সহ ব্যাপক অনিয়ম দূর্নিতীর খবরে তোলপাড় হয়ে যায় সারা দেশ।সমালোচিত হয় প্রধানমন্ত্রীর নিজস্ব চিন্তার ফসল ! এর পর তদন্ত ,সংস্কার ও ওসডি করা হয় কয়েক অফিসারকে। ১৪ এপ্রিল বৃহঃস্পতিবার বেলা ১২ টায় পত্নীতলার শিহাড়া ইউনিয়নে যাচাই বাছাই শেষে ৩১ জন উত্তীর্নদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ ,সরেজমিন চূড়ান্ত তদন্ত ,ও একবারেই হত দরিদ্র ও ঠিকানাহীন ১০জনকে বাছাই করা হয় উন্মোক্তভাবে।শিহাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন পত্নীতলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার লিটন সরকার ,লিটন সরকার উর্ত্তীন্ন সকল গৃহ প্রত্যাশীদের নাম ধরে ধরে অত্যান্ত মনযোগ সহকারে তাদের কথা শুনেন এবং উপস্থিত স্থানীয় জন্রিতিনিধি ,গ্রাম পুলিশ ,স্থানীয় সুশীল সমাজ ,গনমাণ্য ব্যাক্তিবর্গ ও উপস্থিত সকলের সর্ব সম্মতিক্রমে,চূড়ান্তভাবে ১০ জনকে মনোনিত করেন।লিটন সরকার আরো বলেন ,এর থেকে আর কোন উপায়ে আমরা সচ্ছভাবে এটা সম্পন্ন করতে পারি? তিনি জনপ্রতিনিধিদের উদ্দ্যেশে বলেন ,কেউ টাকা লেনদেন করলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চূড়ান্ত তালিকায় উঠে আসা সকলেই ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠী ,তারা এখনই উচ্ছাসিত ও করতালিতে ইউএনওকে অবিভাদন জানান।এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ রাশেদুল ইসলাম ,প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শোয়াইব খান ,আইন সহায়তা কেন্দ্র (আসক) রাজশাহী বিভাগীয় সহকারী পরিচালক রুবাইত হাসান প্রমুখ।উল্লেখ্য যে ,পত্নীতলায় আশ্রয়ন প্রকল্প-২ এর তৃতীয় পর্যায়ের ১ম ধাপে ৫১টি ঘর প্রদান করা হবে ,আগামী ঈদুল ফিতরের আগেই ২৮ এপ্রিল বাংলঅদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্সুয়ালি সংযুক্ত থেকে এর উদ্ধোধন করবেন বলে জানা গেছে।
এমএসএম / এমএসএম