অপারেশনের সময় রক্ত বের হলে রোজা হবে কি?

আমি প্রায় দুই মাস আগে সন্তান প্রসব করেছি। এখনও নিফাসের রক্ত বন্ধ হয়নি। রেডিওগ্রাফার ডাক্তার পরীক্ষা করে আবিষ্কার করলেন যে, জরায়ুর ভিতরে বাচ্চার প্লাসেন্টারের একটি টুকরো রয়ে গেছে। এটি দূর করার জন্য আমি অপারেশন করিয়েছি। অপারশেন করিয়েছি রমযানের এক সপ্তাহ অতিবাহিত হওয়ার পর। অপারেশনের পর থেকে আমি রোজা রাখছি। যদিও রক্তপাত এখনও বন্ধ হয়নি। এখন আমি কী করব? আমার রোজা রাখা কি সঠিক? এখন কি সহবাস করা যাবে? অপারেশনের পরে রক্তপাত এখন একেবারে কম।
এই প্রশ্নের উত্তর হলো- নিফাসের সর্বোচ্চ সীমা চল্লিশ দিন। চল্লিশ দিন পর নারী পবিত্র হয়ে যাবেন। তিনি রোজা রাখবেন, স্বামী তার সাথে সহবাস করতে পারবে; এমনকি যদি রক্তপাত হয় তবুও। চল্লিশ দিন পরের রক্তপাত রক্তক্ষরণ হিসেবে গণ্য হবে; নিফাস হিসেবে নয়।
অতএব, অপারেশনের পর আপনার রোজা রাখা সঠিক; এমনকি রক্তপাত চলমান থাকলেও। রমযান মাসের যে এক সপ্তাহ আপনি রোজা রাখেননি সেগুলো কাযা করা আপনার উপর আবশ্যক। আর চল্লিশ দিন পর থেকে যে নামাযগুলো আপনি পড়েননি সেগুলো ইনশাআল্লাহ্ কাযা করা আপনার উপর আবশ্যক নয়।
এই ধরনের আকেরটি প্রশ্ন হলো- এক নিফাসগ্রস্ত নারী এক সপ্তাহের মধ্যে নিফাস থেকে পবিত্র হয়ে গেছেন। তিনি রযমানের কিছুদিন সাধারণ মুসলিমদের সাথে রোজাও রেখেছেন। এরপর পুনরায় তার রক্তপাত শুরু হয়েছে। এমতাবস্থায় সেই নারী কি রোজা রাখবেন না? তিনি যে দিনগুলোর রোজা রেখেছেন এবং যে দিনগুলোর রোজা ভঙ্গ করেছেন সবগুলোর কাযা পালন কি তার উপর আবশ্যক হবে?
এই প্রশ্নের উত্তর হলো- যদি কোন নারী চল্লিশ দিনের ভেতরে নিফাস থেকে পবিত্র হয়ে যান; এরপর কিছুদিন রোজা রাখেন, এরপর চল্লিশ দিনের ভেতরেই আবার রক্তপাত শুরু হয়; তাহলে তার রোজা রাখা সহিহ। যে দিনগুলোতে রক্তপাত আবার ফিরে এসেছে সে দিনগুলোতে তিনি নামায ও রোজা বর্জন করবেন। কেননা এটি নিফাসের রক্ত। যতদিন পর্যন্ত না তিনি পবিত্র হন কিংবা চল্লিশ দিন পূর্ণ হয়। যখনই তিনি চল্লিশ দিন পূর্ণ করবেন তখন গোসল করা তার উপর ওয়াজিব; এমনকি যদি তিনি পবিত্রতার কোন আলামত না দেখেন তবুও। কেননা আলেমদের দুটো অভিমতের মধ্যে সর্বাধিক শুদ্ধ অভিমত হলো: চল্লিশ দিন হচ্ছে নিফাসের সর্বশেষ সীমা। এরপর রক্তপাত অব্যাহত থাকলে প্রতি ওয়াক্তের জন্য ওযু করা তার উপর আবশ্যক; যতদিন না রক্তপাত বন্ধ হয়। ইস্তিহাযাগ্রস্ত নারীকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহিস ওয়া সাল্লাম এভাবে করার নির্দেশ দিয়েছেন। চল্লিশ দিনের পর তার স্বামী তাকে উপভোগ করতে পারবে; এমনকি পবিত্রতার আলামত না দেখা সত্ত্বেও। কেননা উল্লেখিত অবস্থার
কিন্তু যদি চল্লিশ দিনের পরের রক্তপাতটি তার অভ্যাসগত হায়েযের সময়ে পড়ে তাহলে তিনি নামায ও রোজা বর্জন করবেন এবং এটাকে হায়েয হিসেবে বিবেচনা করবেন। আল্লাহ্ই তাওফিকদাতা। (শাইখ আব্দুল আযিয বিন বায রহ.; ফাতাওয়াত ইসলামিয়্যা : ২/১৪৬)
মৌমিতা / মৌমিতা

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী ৬ সেপ্টেম্বর

কোরআনে কল্যাণের পথে অগ্রগামী বলা হয়েছে যাদের

মন্দ কাজ থেকে নিজেকে বাঁচাবেন যেভাবে

কৃতজ্ঞতা প্রকাশে জীবন-জীবিকার প্রশস্ততা

কিবলা পরিবর্তনের নির্দেশ এসেছে কোরআনের যে আয়াতে

মানুষের ওপর আল্লাহর রহমত নিয়ে যা বলেছেন মসজিদুল হারামের খতিব

পবিত্র আশুরা আজ

আশুরার রোজা কবে-কয়টি রাখতে হবে

কারবালার মর্মান্তিক ইতিহাস ও শিক্ষা

পবিত্র হজ আজ, লাব্বাইক ধ্বনিতে মুখরিত আরাফা

কোরবানির পশু জবেহ করার বিধান

লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক ধ্বনিতে মুখরিত মিনা
