যে কোনো সার্টিফিকেট দেড়শ থেকে আড়াইশ টাকা দিলে সত্যায়িত
সনদপত্রের সত্যায়িত ফি দেড়শ থেকে আড়াইশ টাকা। এই নির্দিষ্ট পরিমান টাকা পরিশোধ করলেই যে কোনো সার্টিফিকেট সত্যায়িত করা যায়। সত্যায়িত করার এই কারখানা হাটহাজারীর কাটিরহাট বাজারের একটি ফার্মেসি। এই ফার্মেসিতে যে কোনো সাটিফিকেট নিয়ে গেলেই ডাক্তারের সিল-স্বাক্ষর দিয়ে সত্যায়িত করে দেয়ার চাঞ্চল্যকর খবর পাওয়া গেছে। ইউএনও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এই সংবাদ অবহিত হয়ে দুই ব্যক্তিকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করতে এই ফার্মেসিতে সত্যায়িত করতে পাঠিয়ে তার প্রমাণ পেয়েছেন। পরবর্তীতে এ ঘটনার সাথে ইউনিয়ন পরিষদের কিছু অসাধু কর্মচারী জড়িত থাকায় তিনি এ ব্যাপারে বিহিত করতে ধলই ইউপি চেয়ারম্যানকে দায়িত্ব প্রদান করেন।
হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মাদ রহুল আমিন ঘটনার সত্যতা গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করে বলেন, তিনি গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কাটিরহাট বাজারের একটি ফার্মেসিতে যে কোনো সার্টিফিকেট দেড়শ থেকে আড়াইশ টাকা দিলে সত্যায়িত করে দেয়, এমন সংবাদের ভিত্তিতে তিনি দুই ব্যক্তিকে সাটিফিকেট সত্যায়িত করার জন্য ওই ফার্মেসিতে পাঠান। টাকা দিয়ে ওই দুই ব্যক্তি সার্টিফিকেট সত্যায়িত করে আনেন। ওই দুই ব্যক্তি ঘটনার বিস্তারিত অবহিত হয়ে আসেন। এ ঘটনার সাথে স্থানীয় ইউপির কিছু অসাধু কর্মচারী জাড়িত। পরে তিনি বিষয়টি তদন্ত করে জড়িতদের ব্যাপারে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে ইউপি চেয়ারম্যানকে দায়িত্ব প্রদান করেন বলে উল্লেখ করেন। অথচ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সঠিক থাকলে নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে ১৫ মিনিটের মধ্যে সত্যায়িত করে দেয়ার রেওয়াজ চালু রয়েছে কোনো টাকা ছাড়া বলেও তিনি জানান।
এমএসএম / জামান