রায়গঞ্জে শ্রমিক সংকট, রাতের আঁধারে মেশিন দিয়ে ধান কাটছেন কৃষকরা

সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে শ্রমিক সংকটে রাতের আঁধারে মেশিন দিয়ে ধান কাটছেন কৃষকরা। চলছে বোরো মৌসুম।শুরু হয়েছে গ্রামগঞ্জের ধান কাটার মহোৎসব। এর মাঝে লেগেই আছে বৃষ্টি। জমিতে জেমে আছে পানি। সেখান থেকে ধান কাটতে তেমন শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। পেলেও পারিশ্রমিক গুনতে হচ্ছে দ্বিগুণ।
তাছাড়া শ্রমিক দিয়ে ধান কাটতে সময় লাগে বেশি। আবার একসাথে ধান কাটা শুরু হলে পাওয়া যায় না পর্যাপ্ত শ্রমিক। এতে বৃষ্টি ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে নষ্ট হয়ে যায় রায়গঞ্জ উপজেলার কৃষকদের কষ্টার্জিত বোরো ধান।
দ্রুত সোনার ফসল ঘরে তুলতে এবং শ্রমিক সংকট মেটাতে ধান কাটার মেশিন কম্বাইন হারভেস্টার এবং রিপার মেশিনের গুরুত্ব অপরিসীম। এতে শ্রমিক সংকট মেটার পাশাপাশি বোরো ধান উৎপাদনে খরচ কমবে কৃষকের।
স্থানীয় রায়গঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জানান, খাদ্য চাহিদার বড় জোগান আসে এ অঞ্চল থেকে। বছরের একটি ফসল বোরো ধান কাটতে গিয়ে শ্রমিক সংকটের কারণে হিমশিম খেতে হয় কৃষকদের। একসাথে ধান কাটার মৌসুম শুরু হওয়ার কারণে শ্রমিকের চাহিদা বেড়ে যায়। আর চাহিদার পাশাপাশি বেড়ে যায় পারিশ্রমিক। এতে বোরো ধান উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি খরচ মেটাতে হিমশিম খেতে হয় এ অঞ্চলের কৃষকদের। তবে এই চিন্তায় অনেকটা লাঘব করেছে কৃষিতে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার।
উপজেলার কম্বাইন হারভেস্টার চালক কামরুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই মেশিন দিয়ে খুব সহজেই এখন ধান ঘরে তুলতে পারছে উপজেলার কৃষকরা। এই মেশিন দিয়ে প্রতি ঘণ্টায় দুই থেকে তিন বিঘা জমির বোরো ধান কাটছেন বলে তিনি জানান।
এই আধুকি প্রযুক্তি ব্যবহার করে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১০ লিটার তেল খরচ হয়। আর প্রতি লিটার ডিজেলের মূল্যে মাত্র ১০০ টাকা। অথচ শ্রমিক দিয়ে কাটলে ৫ থেকে ৭ জন শ্রমিক সারাদিন এক বিঘা জমির ধান কাটতে পারেন। এই তিন থেকে চার বিঘা জমির ধান শ্রমিক দিয়ে কাটতে গেলে বিঘা প্রতি কৃষককে খরচ করতে হবে তিন থেকে চার হাজার টাকা। দূরত্ব ভেদে খরচ বেড়ে যায় আরও বেশি। এতে খরচও বেড়ে যায় ধান উৎপাদনে। তাছাড়া শ্রমিক সংকটের কারণে কৃষক সঠিক সময়ে ধান ঘরে তুলতে পারেন না। ফলে প্রকৃতিক দুর্যোগের কারণে ধান নষ্ট হয়ে যায়। এজন্য করোনার সময়ে শ্রমিক সংকট মেটাতে এবং দ্রুত বোরো ধান ঘরে তুলতে সরকার প্রতিটি মেশিনের ওপর ১৪ লাখ টাকা ভুর্তিকি প্রদান করে।
রায়গঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম এ প্রতিবেদককে জানান, প্রতি বছরই বোরো ধান কাটতে শ্রমিক সংকট তীব্র আকার ধারণ করে এ অঞ্চলে। কৃষকরা শ্রমিক সংকটের কারণে সময়মতো ধান ঘরে তুলতে পারেন না। এ কারণে বৃষ্টি ও অকাল বন্যায় কৃষকদের ধান নষ্ট হয়ে যায়। তবে কম্বাইন হারভেস্টার এবং রিপার মেশিন দিয়ে স্বল্প খরচে খুব দ্রুত কৃষকরা ধান ঘরে তুলতে পারছেন।
এমএসএম / জামান

সিডিএ'র কাজ করতে গিয়ে সন্ত্রাসীদের বাধার মুখে ঠিকাদার

পটুয়াখালীতে কিন্ডারগার্ডেন স্কুলের শত শত কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি পেশ

বেনাপোল বন্দরে পাল্টাপাল্টি নিষেধাজ্ঞায় বাণিজ্যে স্থবিরতা

রাণীনগরে বিএনপির কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত

অবসরে যাওয়া পুলিশ কনস্টেবলদের বিদায় সংবর্ধনা

সম্প্রীতি বিনিষ্টকারীদের ছাড় নেই: গোপালগঞ্জে সম্মেলনে ডিসি

পল্লী বিদ্যুতের খুঁটির টানায় শক লেগে ৫ শিশু হাসপাতালে

আমন চাষে ব্যস্ত সময় পার করছে হাটহাজারীর কৃষকরা

রৌমারীতে আশ্রয়ণ কেন্দ্রের ঘর সংস্কারের অভাবে বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে

ইসলামী আন্দোলনের কর্মীরা মৃত্যুকে ভয় পায় না বলেই আন্দোলন মুছতে পারেনি : এটিএম আজহারুল

বোদায় ১৩৫০ টাকার সার ১৮০০ টাকায় বিক্রি, যৌথ বাহিনীর অভিযান

সমাজ উন্নয়নে শিক্ষার বিকল্প নেই : জহুরুল আলম
