ঢাকা বৃহষ্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

আক্কেলপুরে জয়িতাদের সফল হওয়ার গল্প


শাদমান হাফিজ শুভ, আক্কেলপুর photo শাদমান হাফিজ শুভ, আক্কেলপুর
প্রকাশিত: ২৫-৬-২০২১ দুপুর ২:৪২

জীবনের সাথে সংগ্রাম করে, জীবনের কঠিণ বাস্তবতা মেনে নিয়ে, নিজে স্বাবলম্বী হওয়ার পাশাপাশি সমাজের জন্য যারা কল্যাণকর কিছু করেন তারাই জয়িতা। জয়পুরহাট জেলাধীন আক্কেলপুর উপজেলার এমনই ৪ জন জয়িতার জীবনযুদ্ধে জয়ের কিছু বাস্তব গল্প রয়েছে, যা অন্যদের প্রেরণার উৎস।

রোকেয়া বেগম :  ১৯৭৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণের পর অতি অল্প বয়সে বিয়ে হয়। স্বামী রেলস্টেশনে পানি দেয়ার কাজ করতেন। পরবর্তীতে কাজ ছেড়ে বেকারত্ব দিন কাটাতেন। দুটি সন্তানের প্রম সন্তান প্রতিবন্ধী। স্বামীর বেকারত্বের কারণে সংসার চালানো দুরূহ হয়ে পড়ে। আর্থিক অনটনের কারণে অন্যের বাড়িতে কাজের পাশাপাশি কিস্তি উঠিয়ে স্বামীর জন্য দোকান করে দেন। পরবর্তীতে স্বামীর মৃত্যুর পর আবার নেমে আসে অভাব-অনটন, যে কারণে গ্রামে গ্রামে মুড়ি, মোয়া বিক্রি করতেন। বিক্রির উপার্জিত অর্থ থেকে ধান-চালের ব্যবসা শুরু করেন এবং পর্যায়ক্রমে ৪টি গরু ৩টি ছাগল কিনেন। অন্যের জমিতে নিজে ফসল রোপণ করে দিতেন ও তার গবাদিপশু বিক্রি করে আয়কৃত অর্থ দিয়ে সংসারকে অগ্রসর করে সন্তানের পড়ালেখাও  চলমান রেখেছেন। 

মোছা. মারুফা পারভীন : আক্কেলপুর পৌর এলাকার দরিদ্র ঘরে অভাব-অনটনে মানুষ হয়েছেন। পিতার জমি না থাকায় রাস্তার পাশে বসবাস। অনটনের কারণে ১৪ বছর বয়সে পরিবার থেকে বিয়ে দিলে এক সন্তান হওয়ার পর স্বামী তালাক দেয়ায় বাবার বাড়িতে ফিরে আসতে হয়। ফিরে আসার দুই মাস পরই সন্তান অসুস্থ হয়ে পড়ে। টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে না পারায় সন্তানটি মারা যায়। দরিদ্রতার কারণে অন্যের বাসায় কাজ করেন। এমন সময় হঠাৎ এক্রোমশিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে চোখ অন্ধ হয়ে যায়। দরিদ্র বাবা অন্যদের দারস্থ হয়ে চিকিৎসা করান। পরবর্তীতে ২-৩টি হাঁস-মুরগি থেকে আয় শুরু করে, অন্যের গরু-ছাগল লালন-পালন করেন এবং স্বামীর কাছ থেকে মোহরানা বাবদ প্রাপ্ত অর্থ দিয়ে খামার শুরূ করেন। এর মাধ্যমে স্বাবলম্বী হয়ে তিনি এখন ৫ শতাংশ জমি ও আধাপাকা ঘরের মালিক।  

মোছা. জান্নাতুন ফেরদৌস : ১২ বছর বয়সে বিয়ে, ২০০৭ সালে স্বামীহারা। ৩ ছেলে-মেয়ে নিয়ে তার সংসার। অভাবের কারণে অনেকের কাছ থেকে সাহায্য নিয়ে ২ ছেলে-মেয়ের লেখাপড়া করিয়েছেন ‍এবং ছোট ছেলের লেখাপড়া চলমান রয়েছে। অনেক কষ্টে ৪টি করে ২টি রুম ভাড়া দিয়ে সংসার খরচ চলছে। সেলাই মেশিনে কাজ শিখে উপার্জিত অর্থ দিয়ে  তিনি এখন স্বাবলম্বী।

বন্দনা রানী বাগচী : গরিব ও অসহায় ব্রাহ্মণ পরিবারের মেয়ে ১৯৮৯ সারে বিয়ে হয়। ‍এক সন্তান জন্মের পর ১৯৯৫ সালে স্বামী মারা যান। পরবর্তীতে বাবার বাড়িতে ফিরে এসে পশু-পাখি পালন করে সন্তানের লেখাপড়া চালিয়েছেন। পরবর্তীতে ডিসের টাকা আদায়সহ ব্র্যাকে কাজ করে এবং ঋণ নিয়ে সন্তানকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান করে দিয়েছেন। ‍এতে স্বাবলম্বী হয়েেএখন সমাজের জন্য বিভিন্ন কল্যাণমূলক কাজ করে যাচ্ছেন।

এমএসএম / জামান

বাবার শেষ চিহ্ন টুকু ফিরিয়ে দেয়ার আকুঁতি আজীম অননের

ফেলে যাওয়া প্লাস্টিকের বস্তা থেকে মিলল ২লাখ২০হাজার ইয়াবা

চট্টগ্রামে কেজিডিসিএল'র তিন শতাধিক অবৈধ নিয়োগ বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন

তিলকপুরের সেই মাঠেই ফুটবল খেললো নারীরা

মাগুরায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযানে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা

২৪ গণবিপ্লবের চেতনা বিরোধী ধারায় দেশকে নিয়ে যাবার ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে : মুহাম্মদ শাহজাহান

মোবাইল কোর্টের অভিযান

তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে যুবককে কুপিয়ে যখম অতঃপর থানায় মামলা

রায়পুরে পাবলিক লাইব্রেরীর দ্বিতীয়তলা উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইমরান খাঁন

গোদাগাড়ীতে বাঁশঝারের নিচ থেকে বৃদ্ধার লাশ উদ্ধার

দাশুড়িয়া প্রি-ক্যাডেট স্কুলে মেধাবী সংবর্ধনা ও ফ্যামিলি স্পোর্টস ডে উদযাপন

বকশীগঞ্জে ট্রাক মোটরসাইকেল সংঘর্ষে নিহত ১

পাকিস্তান ও বাংলাদেশের নাগরিকদের সমস্যা একইঃ পাকিস্তানের হাই কমিশনার সৈয়দ আহাম্মেদ মারুফ