ঢাকা মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫

বিসিএস ক্যাডার হওয়ার জন্য বার বার অনুশীলনের বিকল্প নাই


আমান উল্লাহ, বাকৃবি প্রতিনিধি photo আমান উল্লাহ, বাকৃবি প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ২৪-৫-২০২২ দুপুর ৪:৫৬

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বিসিএস একটি অন্যতম প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা। বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় সবচেয়ে সম্মানি এবং সবচেয়ে বড় পদের চাকরি হল বিসিএস ক্যাডার। বিসিএস ক্যাডার হতে হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রমের প্রয়োজন হয়। নিজেকে সে অনুযায়ী প্রস্তুত করতে হয়। এজন্য প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ভালো করতে বারবার অনুশীলনের কোনো বিকল্প নেই।

মো. রাহাত হোসেন ৪০তম বিসিএসে শুল্ক ও আবগারি ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন। তিনি নওগাঁর গয়েশপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি, বদলগাছী সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি এবং বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অর্থনীতি ও গ্রামীণ সমাজবিজ্ঞান অনুষদ থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন।

প্রত্যেকেরই জীবনের কিছু কিছু দিন রয়েছে, যা তার স্মৃতি কে বাধ্য করে মনে রাখতে। ৪০তম বিসিএসে ক্যাডার হওয়া মো. রাহাত হোসেনের জীবনে ৩০ মার্চ দিনটি স্মরণীয়। এই দিনে তিনি বিসিএস ক্যাডার হওয়ার ফলাফল হাতে পান। একটি পিডিএফ ফাইলে আট ডিজিটের একটি পূর্ণাঙ্গ রেজিস্ট্রেশন নম্বর খুঁজে পাওয়াটা যে কতটা প্রশান্তির, তা বলে বোঝানো যাবে না। 

৪০তম বিসিএসে প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় আবেদন করেছিলো প্রায় চার লাখ। এর মধ্যে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছেন তিন লাখ ২৭ হাজার পরীক্ষার্থী।তাদের মধ্যে প্রিলিমিনারিতে উত্তীর্ণ হন ২০ হাজার ২৭৭ জন। অবশেষে গত ৩০ মার্চ ১৯৬৩ জনকে বিসিএস ক্যাডারে সুপারিশ করা হয়। এই দিনে ক্যাডার হওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করেন মো. রাহাত।

মো. রাহাত হোসেন মনে করেন, বিসিএসের সিলেবাস অনুযায়ী বোর্ড বই এর বিভিন্ন বিষয় আয়ত্ত্ব করার চেষ্টা করতে হবে। প্রিলিমিনারি পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় প্রথমেই বিগত বিসিএসের প্রশ্ন ব্যাখ্যা সহ অনুশীলন করা। সেই সাথে বাজারের একটি বিসিএস সিরিজের গাইড বই ভালভাবে অনুসরণ করা।

বিভিন্ন ধরনের সৃজনশীল কাজ যেমন ভালো মানের বই পড়া, নিয়মিত পত্রিকা পড়ার অভ্যাস, প্রামাণ্যচিত্র দেখার অভ্যাস এবং বিভিন্ন সংঠনের সাথে কাজ করার অভিজ্ঞতা নিজেকে উপস্থাপন করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে । মৌখিক পরীক্ষায় নিজের এসব সৃজনশীল গুন আত্মবিশ্বাস  বাড়িয়ে দেয়। বিষয়ভিত্তিক পড়াশোনার পাশাপাশি সৃজনশীল কাজে নিজেকে সম্পৃক্ত করা গুরুত্বপূর্ণ । কারন বিসিএস পরীক্ষার  প্রতিটি ধাপে সৃজনশীলতা প্রকাশের সুযোগ রয়েছে।বিসিএস পরীক্ষার প্রিলিমিনারি,  লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা, এ তিনটি ধাপের প্রতিটিতে নিজের অবস্থান নিশ্চিত করতে মুখোমুখি হতে হবে শক্ত প্রতিযোগিতার। 

বিসিএস পরীক্ষার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ দুইটি হলো লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা । এ দুইটি ধাপের প্রাপ্ত নম্বরই নির্ধারণ করবে প্রতিযোগিতামূলক এ পরীক্ষায় একজন প্রার্থীর অবস্থান। লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় অধিকতর ভালো করার জন্য বিষয়ভিত্তিক পড়ালেখা ভালো করে প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে।লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় যে বিষয়টি নিজেকে অন্য প্রতিযোগীর চেয়ে অনেক বেশি এগিয়ে রাখবে সেটি হলো সুন্দর উপস্থাপনা।  লিখিত পরীক্ষার উত্তরপত্রের প্রাসঙ্গিক ও দৃষ্টিনন্দন উপস্থাপন বেশী নম্বর পাওয়ার জন্য সহায়ক হবে । এ ক্ষেত্রে মানচিত্র,বিভিন্ন উক্তি ও নির্ভরযোগ্য তথ্য উপাত্ত উত্তরপত্রের উপস্থাপনাকে আরও সমৃদ্ধ করবে।

আর মৌখিক পরীক্ষায় ভালো করতে হলে বাংলা ও ইংরেজি উভয় ভাষাতেই নিজেকে সাবলীল ভাবে উপস্থাপন করার সক্ষমতা আর্জন করতে হবে।

এমএসএম / জামান

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কার্যালয় অভিমুখে ডাকসুর মার্চ শুরু

ইবিতে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও বিজয় দিবস পালন উপলক্ষে কর্মসূচী ঘোষণা

মাধ্যমিকের বই বছরের শুরুতে পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা কাটছেই না

৬ দিনের অচলাবস্থার পর আজ শুরু সরকারি প্রাথমিকের বার্ষিক পরীক্ষা

জাবিতে চট্টগ্রাম জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতির নতুন নেতৃত্বে রিয়াদ-তানভীর

ইবিতে আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস উদযাপন

নকল সাইটেশনে দেশসেরা গবেষকের তালিকায় শেকৃবি প্রোভিসি অধ্যাপক বেলাল

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির নাম ব্যবহার করে প্রভাব বিস্তার: চাকরিচ্যুত মামুনুর রশিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ

জাবিতে অর্থনীতি বিভাগকে মাত্র ১ রানে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন দর্শন বিভাগ

সায়েন্সল্যাব অবরোধ করেছেন ঢাকা কলেজের উচ্চমাধ্যমিকের শিক্ষার্থীরা

জবিস্থ চুয়াডাঙ্গা ছাত্রকল্যাণের নেতৃত্বে সজিব ও তরিকুল

অপ্রচলিত ফসল খাদ্যনিরাপত্তায় বড় ভূমিকা রাখতে পারে: বাকৃবি সম্মেলনে বিশেষজ্ঞরা

ইবিতে শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজের অভিযোগে শিক্ষক বহিষ্কার