ঢাকা রবিবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২৫

যমুনার তীব্র ভাঙনে বিলীনের পথে চৌহালীর খাষপুখুরিয়া ও বাঘুটিয়া ইউপি


চৌহালী  প্রতিনিধি photo চৌহালী প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ২৮-৫-২০২২ দুপুর ১:১৫

যমুনা নদীর প্রবল ভাঙনে সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলা পরিষদের সকল স্থাপনা বিলীন হয়ে গেছে বহু আগেই আর বর্তমানে যমুনার তীব্র ভাঙনে বিলীনের পথে চৌহালী উপজেলার খাষপুখুরিয়া ও বাঘুটিয়া ইউনিয়ন। নানা ভোগান্তির মধ্যে সরকারি কার্যালয়গুলোর কার্যক্রম চলছে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে।

সচিত্র প্রতিবেদন করতে গেলে ভাঙনের বিষয়ে দুই ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম মোল্যা ও মিজানুর রহমান বাবলু জানান, খাষপুকুরিয়া ও বাঘুটিয়া ইউনিয়নের প্রায় ৮০ ভাগ নদীগর্ভে চলে গেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের অসময়ে জিওব্যাগ ফেলায় ভাঙন রোধ হচ্ছে না। তাই খাষকাউলিয়া সদর ইউনিয়নের মতো স্থায়ী বাঁধের দাবি জানান দুই ইউপি চেয়ারম্যান এবং এলাকাবাসী ৷

গত ৯  বছর নদীর ভয়াবহ ভাঙনের কবলে পড়ে পূর্ব পাড়ের উপজেলা সদর হিসেবে পরিচিত খাসকাউলিয়া ইউনিয়নের  আংশিক, খাষপুকুরিয়া ইউনিয়নের ৭০ শতাংশ  এবং বাঘুটিয়া ইউনিয়নের ৮০ শতাংশ  নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। পাশাপাশি বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, অসংখ্য গাছপালা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও রাস্তাঘাট নদীগর্ভে চলে গেছে কয়েক বছর আগে। খাসকাউলিয়ায় গত ছয় বছর আগে  স্থায়ী বাঁধ হওয়ার পর নদীভাঙ্গন রোধ হলেও খাষপুখুরিয়া এবং বাঘুটিয়া ইউনিয়নে যমুনা নদীর প্রবল ভাঙনে ইউনিয়ন দুটি বিলুপ্তপ্রায়।

উপজেলার সদর খাসকাউলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আবু ছাইদ বিদ্যুৎ বলেন, খাসকাউলিয়ায় স্থায়ী বাঁধ হওয়ার পরে গত ছয় বছর যাবৎ ভাঙন রোধ হয়েছে। স্থায়ী বাঁধ দেয়ার জন্য প্রয়াত সাংসদ আব্দুল  মজিদ মণ্ডলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন ও তার রুহের মাগফিরাত কামনা করেন তিনি। এছাড়া বর্তমান সাংসদ আব্দুল মমিন মণ্ডলের কাছে খাষপুখুরিয়া ও বাঘুটিয়া ইউনিয়নে স্থায়ী বেড়িবাঁধের দাবি জানান। 

চৌহালী উপজেলা আ'লীগের সভাপতি তাজ উদ্দিন আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন বলেন, এ উপজেলাটি এখন অস্তিত্বহীন হয়ে পড়ার উপক্রম। এ অবস্থার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড দায় এড়াতে পারে না। সঠিক নিয়মে কাজ করলে এ অবস্থার সৃষ্টি হতো না। তাদের গাফিলতির কারণে উপজেলা রক্ষা করা সম্ভব হয়নি সে সময়ে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রতি অতিদ্রুত স্থায়ী সমাধানের দাবি জানান এই দুই আওয়ামী লীগ নেতা। 

পানি উন্নয়ন বোর্ড সিরাজগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম বলেন, যমুনা নদীর গতি-প্রকৃতি বোঝা  মুশকিল। ভাঙন ঠেকাতে চেষ্টা করা হলেও তা রোধ করা যায়নি। দক্ষিণাঞ্চলে ভাঙনকবলিত এলাকায় কাজ চলমান রয়েছে। দাতা সংস্থার অর্থায়নে চলতি বছরই যমুনার তীর রক্ষায় ৪-৫ কিলোমিটার দীর্ঘ স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করা হবে বলে জানান তিনি।

এমএসএম / জামান

গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে জিয়া পরিবারের অবদান অপরিসীম : এ্যাড. আজিজ মোল্লা

ভোলাহাটে বাগান নষ্ট ও হুমকির ঘটনা: প্রশাসন তদন্তে, উদ্বিগ্ন এলাকাবাসী

জিয়া পরিবারের কষ্টের তুলনায় আমাদের কষ্ট কিছুই না - আবুল কালাম

যমুনা নদীতে চাঁদাবাজির দায়ে গ্রেপ্তার ১০

নবীনগরে চার গ্রামের মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে বিএনপির মতবিনিময় সভা

কবিরহাটে ফখরুল ইসলাম: ধানের শীষে বিজয় হলে বন্ধ হবে দুর্নীতি, চাঁদাবাজি

কোনো অপশক্তি নির্বাচন বানচাল করতে পারবে নাঃ আইজিপি

নাচোলে বীরমুক্তিযোদ্ধাদের সংবাদ সম্মেলন

বাঘা-চারঘাট জামায়াতের এমপি প্রার্থী মোটরসাইকেল রেলি অনুষ্ঠিত

দর্শনা রেলবাজার দোকান মালিক সমিতির ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন সম্পন্ন

কাপাসিয়ায় সালাহউদ্দিন আইউবী‘র দাঁড়িপাল্লার সমর্থনে বিশাল মিছিল

গজারিয়ায় অসহায় ও শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ

পরিবর্তনের স্বপ্ন পূরণ করবে জাতীয় নাগরিক পার্টি : আসাদুল ইসলাম মুকুল