সেতু না থাকায় দুর্ভোগে দুই ইউনিয়নের মানুষ

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার জোংড়া ও জগতবেড় দুই ইউনিয়ন সংযুক্ত বসটারী এলাকার ধরলা নদীতে দেশ স্বাধীনের পর হতে দীর্ঘ ৫০ বছরেও হয়নি সেতু। ছিটমহল বিলুপ্ত হয়ে এ উপজলার একাধিক সড়ক পাকা, বিদ্যুতের সংযোগসহ দৃশ্যমান বেশকিছুর উন্নয়ন হয়েছে। এখানে ধরলা নদী ছিটমহল অংশে প্রবাহিত এ নদীতে সেতু নির্মাণ না হওয়ায় এতে ওই দুই ইউনিয়নের প্রায় ২০ হাজার জনসাধারণের ভোগান্তির শেষ নেই। বষা মৌসুমে কষ্টের সীমা থাকেনা এ পথ হয়ে চলাচলকারী মানুষদের।
জানা য়ায়, উপজেলার দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ১২ কিলোমটার দূরে জোংড়া ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের বিলুপ্ত ছিটমহল বাঁশকাটার বসটারী এলাকা হয়ে প্রবাহিত ধরলা নদী। নদীর অপর প্রবাহিত অংশ জগতবেড় ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের মোহাম্মদপুর গ্রামের ভাটিয়াপাড়াসংলগ্ন। জোংড়া ইউনিয়নের বাঁশকাটা, দয়ালটারী, কানাইবাছাটারী/ এলাকা, ইঞ্জিনপাড়া, ঝাকুয়াটারী, দেওশালপাড়া, ডাঙাটারী, মন্ডলটারী এলাকা ও জগতবেড় ইউনিয়নের ভাটিয়াপাড়া, রামকান্ত, গুরুপাড়া, কুমারপাড়া, ডাঙাপাড়া, মসজিদপাড়া, বাঘেরবাজার এবং ককোয়াটারী এলাকার কয়েক হাজার মানুষ চলাচল করে থাকে।
বছরের ৬ মাস শুস্ক মৌসুমে কাঠের সেতু দিয়ে পারাপার করে থাকলেও বর্ষা মৌসুমে ও বন্যায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নৌকায় চলাচল করে লোকজন। এতে কৃষিপণ্য বিক্রি, জরুরী রোগাক্রান্ত মানুষকে নিয়ে যাওয়া, শিক্ষার্থী, চাকুরিজীবি, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার জনসাধারণকে চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। গত দুথদিন আগে ভারি বর্ষণে ধরলা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় কাঠের সেতু ভেঙে গেছে। সেতু দিয়ে চলাচল করা সম্ভব না হওয়ায় সাধারণ মানুষকে নৌকায় চলাচল করতে দেখা গেছে। উভয় ইউনিয়নের একাধিক বাসিন্দাদের সাথে কথা হলে তাঁরা দাবি করেন- ‘সেতুর জন্য বহু বছর থেকে সরকারি বিভিন্ন দপ্তর ও কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করা হলেও এখন পর্যন্ত কোনো কাজ হয়নি।জগতবেড় ও জোংড়া ইউনিয়নের এ নদী পথে দুইটি উচ্চ বিদ্যালয়, দুইটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও একটি মাদ্রাসার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদেরও অনেকে বর্ষা মৌসুমে ঝঁকি নিয়ে চলাচল করে। জোংড়া ইউনিয়নের নন্দেরঘাট এলাকার রুসেল ইসলাম (৩৫) বলেন, ‘ছোটবেলা থেকে এ এলাকার লোকজনদের নদী পার হতে কষ্টভোগ করতে দেখছি। পানি বেড়েছে। এখন সেতু নাই নৌকায় স্ত্রী, শিশুসহ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ওইপারে জগতবেড় ইউনিয়নে আত্মীয়ের বাড়ি যাচ্ছি। জগতবেড় ইউনিয়নের ভাটিয়াপাড়া এলাকার আতিয়ার রহমান বলেন, ‘সেতু না হওয়ার কষ্টের বলে শেষ করা যাবেনা। এই স্থানে নদীর উপর সেতু স্থাপনের জন্য উপজেলা প্রকৌশলী, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সংসদ সদস্যের নিকট আবেদন দিয়েছি। উপজেলা প্রকৌশলী কার্যালয়ের কর্মকর্তারা একাধিকবার এসে দেখে মেপে এখানের মাটি নিয়ে গেছে। শুধু শুনি হবে সেতু আর হয়না। জোংড়া ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মনছুর আলী বলেন, ‘ধরলা নদীতে সেতু নির্মাণের জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোতাহার হোসেন, পাটগ্রাম উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রুহুল আমীন বাবুল ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট বেশ কয়েকবার গিয়ে দেখা করে কথা বলে দরখাস্ত দেওয়া হয়। প্রায়ই যোগাযোগ করা হচ্ছে মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে ধরলা নদীর এ স্থানে সেতু নির্মাণ জরুরী।স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের পাটগ্রাম উপজেলা প্রকৌশলী মাহবুব-উল আলম বলেন, ‘ওই স্থানে সেতু নির্মাণের জন্য যাবতীয় তথ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। আশা করছি দ্রুত সেতু নির্মাণ করা হবে।
এমএসএম / এমএসএম

মৃত্যুর এক বছর পর কবর থেকে শিশুর লাশ উত্তোলন

নরসিংদী কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র পরিদর্শনে আইন উপদেষ্টা

শান্তিগঞ্জে মানসিক রোগীর লাশ উদ্ধার

রোহিঙ্গা নারী ও মেয়েদের সুরক্ষার ঝুঁকি ও ভবিষ্যৎ আকাঙ্ক্ষার ওপর একশনএইড এর গবেষণা

রাণীনগরে ছাত্রীকে শ্লীলতাহানীর অভিযোগে শিক্ষক বরখাস্ত

চৌগাছায় কৃষকদের মাঝে মাষকলাই বীজ ও রাসয়নিক সার বিতরন

কমপ্লিট শাটডাউনে পবিপ্রবি বরিশাল ক্যাম্পাস

বারহাট্টার বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ মোস্তাফিজুর রহমান খান রেজভীর চেহলাম অনুষ্ঠিত

খোলা চিঠি লিখে যুবকের আত্মহত্যা, প্রেমঘটিত কারণে হতাশা

বরগুনার পাথরঘাটা বিএনপির সাবেক এমপির উপর হামলায় সাত আসামীর জামিন নামঞ্জুর

অভিভাবকসুলভ প্রধান শিক্ষক মোছা’র বিদায়: ১৬ বছরের সোনালি অধ্যায়ের সমাপ্তি

দেশে প্রথম কলা গাছের তন্তু দিয়ে স্যানিটারি ন্যাপকিন ও মাশরুম উদ্ভাবন

বাঘায় ৪৫ বছরে সাড়ে ৩'শ অধিক কবর খুঁড়েছেন দুলাল ও রতন
Link Copied