ঢাকা সোমবার, ৪ আগস্ট, ২০২৫

নিম্ন আয়ের ৫০ লাখ পরিবার পাবে ১৫ টাকার চাল

অনিয়ন্ত্রিত চালের দাম


সাদিক হাসান পলাশ photo সাদিক হাসান পলাশ
প্রকাশিত: ১২-৬-২০২২ রাত ৯:১২

বোরো ধানের ভরা মৌসুম চললেও চালের দাম নেই নিয়ন্ত্রণে। শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। নিউমার্কেট এলাকার খুচরা বিক্রির দোকানে বিআর-২৮ চালের কেজি ৫৪-৫৫ টাকা। পাইজাম চাল বিক্রি হচ্ছে ৫২-৫৩ টাকায়, ৫৫-৫৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বিআর-২৯। আর মোটা আতপ চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৮ টাকায়।

অন্যদিকে ভালো মানের চিকন মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে ৭০-৭২ টাকা কেজিতে। নাজিরশাইল ৭৮-৮০ টাকা, চিকন আতপ চাল ৬৮ টাকা ও পোলাও চাল ১১০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

আবার মিরপুরের বিভিন্ন বাজারে চালের দাম কমেছে। কেজিতে ২ থেকে ৩ টাকা দাম কমেছে। মিনিকেট চালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬৮ থেকে ৭০ টাকা। ২৮ চালের কেজি ৫২ টাকা। নাজিরশাইল চালের কেজি ৭০ থেকে ৭৫ টাকা। এই বাজারে পোলাও চাল বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১১০ টাকায়।

মিরপুর ১১ নম্বর বাজারের এক ব্যভসায়ী বলেন, বাজারে প্রতি কেজি চালে ২ থেকে ৩ টাকা করে কমেছে। আরও দাম কমার সম্ভবনা আছে।

নিউ মার্কেটের বিক্রেতারা বলছেন, পাইকারি বাজারে চালের দাম বাড়তি থাকায় খুচরা বাজারে এর প্রভাব পড়েছে। তবে কেন পাইকারি বাজারে দাম বেড়েছে তার সঠিক কোনো জবাব জানা নেই তাদের।

নিউমার্কেটের এক বিক্রয়কর্মী বলেন, গত মাসের শেষ দিক থেকেই চালের দাম কিছুটা বাড়তে শুরু করেছে। আমরা কারওয়ান বাজারের পাইকারি দোকান থেকে কিনে এনে খোলা বাজারে ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করি। বস্তাপ্রতি আমাদের বাড়তি দাম দিতে হচ্ছে। যার কারণে খুচরা বাজারে প্রভাব পড়েছে। তবে মনে হচ্ছে না আগের দামে ফিরবে।

এই বাজারের এক ক্রেতা বলেন, সব নিত্যপণ্যের দাম বাড়ার পরও এই কয়েকমাস চালের বাজার স্থিতিশীল ছিল। কিন্তু গত মাস থেকে চালের দাম বেড়েছে। এর জন্য বড় ধরনের সমস্যায় পড়তে হয়েছে। সত্যি বলতে খাওয়া-দাওয়া কমিয়ে দিয়েছি। শিগগিরই চালের দাম কিছুটা না কমলে জীবনযাপন আরও কষ্টসাধ্য হয়ে পড়বে।

সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) বলছে, মে মাসে বাজারে সরু চালের দাম বেড়েছে ৫ দশমিক ৩৮ শতাংশ। মাঝারি মানের চালের দাম ৩ দশমিক ৯২ এবং মোটা চালের দাম বেড়েছে ১ দশমিক ৫৯ শতাংশ।

রাজধানীর বিভিন্ন বাজারের খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, অটো রাইস মিল মালিকরা চাল মজুত করায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। ভরা মৌসুমেও বাজারে চালের সরবরাহ নেই। আগের অর্ডারের চালও ঠিকঠাক মতো পাচ্ছেন না তারা। অন্যদিকে, মিল মালিকরা বলছেন, মিল পর্যায়ে নতুন করে চালের দাম বাড়ানো হয়নি। উৎপাদন কম, ধানের দাম বাড়া, টানা বৃষ্টিসহ বিভিন্ন কারণে চালের দাম বাড়ছে।

এদিকে শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, সারাদেশের মানুষের চিকন চাল খাওয়ার প্রবণতা বেড়েছে। সেই চালের দাম বর্তমানে ৬৫/৬৬ টাকা। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ৭০ টাকাও হতে পারে। অথচ মোটা চালের দাম ৪৩ থেকে ৪৬ টাকা। দুই মাসে এই চালের দাম কিন্তু বাড়েনি।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, মানুষের আয় বেড়েছে। সে কারণে আগে যারা এক মিল খেত এখন তারা দুই মিল খান। খাদ্যে আমরা অনেকটাই স্বয়ংসম্পূর্ণ। খাবারের জন্য দুর্ভিক্ষ, হাহাকার- এসব হবে না, ইনশাল্লাহ। তবে গমের দাম বেড়েছে। আটার দাম যখন বাড়ে তখন চালের ওপর চাপ বেশি পড়ে। অন্যদিকে, বড় করপোরেট হাউজগুলো প্যাকেটজাত চাল বাজারজাত করছে, তাদের চালের দাম অনেক বেশি। আমি তাদের দাম জিজ্ঞাসা করেছি। তারা বলেছে, প্যাকেটজাত চাল ৮২ টাকায় বিক্রি করে। আমি বললাম, এই চাল তো খোলা বাজারে ৬৫ টাকায় বিক্রি হয়। তারা বললো, আমাদের চাল তো এই ৮২ টাকাতেই চলে, অনেক চাহিদা। মানুষ কিনতে পারে, তাই চাহিদা বেশি।

অন্যদিকে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, চালের দাম স্থিতিশীলতার জন্য জনসচেতনতাও দরকার। আমরা বস্তায় চাল কিনি না। কিন্তু সেই চাল যখন পালিশ করে প্যাকেটে ভরে তখন ১০ টাকা বেশি দিয়ে কিনি। সে জন্য ব্যবসায়ীরাও এই সুযোগ নিয়ে থাকে। গত মঙ্গলবার খাদ্য বিষয়ক এক সেমিনারে একথা বলেন তিনি।

চালের বাজার অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, কৃত্রিম সংকট তৈরি করা না হলে দেশে খাদ্য সংকট হবে না। অবৈধ মজুতদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে যা করণীয় সবই করা হবে।

তবে ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবে নিম্ন আয়ের ৫০ লাখ পরিবার ১৫ টাকা কেজি দরে চাল পাবে বলে জানানো হয়েছে। এক্ষেত্রে প্রতিটি পরিবার বছরে পাঁচ মাস এ দরে ৩০ কেজি করে চাল কিনতে পারবে।

বৃহস্পতিবার বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপনকালে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জানান, চলতি ২০২১-২০২২ অর্থবছরেও এ কর্মসূচির আওতায় ৫ দশমিক ৭০ লাখ টন চাল ও ৪ দশমিক ৮৫ লাখ টন আটা বিতরণ করা হচ্ছে। আমরা ২০২২-২০২৩ অর্থবছরেও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি অব্যাহত রাখব। ৫০ লাখ নিম্ন আয়ের পরিবারকে বছরের কর্মহীন সময় সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর এবং মার্চ ও এপ্রিল মাসে ১৫ টাকা কেজি দরে চাল দেওয়া হবে। পরিবারপ্রতি মাসে ৩০ কেজি চাল দেওয়া হবে।

সাদিক পলাশ / সাদিক পলাশ

রেজিস্ট্রি অফিসের প্রভাবশালী নকলনবিশের কাণ্ডঃ মন্ত্রীদের প্রভাবে চাঁদাবাজি ও নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ

বিসিক এর নীরিক্ষা কর্মকর্তা সাবধান আলী হতে সাবধান!

কেরানীগঞ্জ উপজেলার রাজাবাড়ী রোডে অবৈধ এলপিজি বটলিং প্লান্ট এর সন্ধান

গডফাদার মুরাদ জং-এর বোন পরিচয়ে দলিল দাতা-গ্রহীতাদের জিম্মি করার অভিযোগ

গাজীপুরের কাশিমপুরে সরকারি খাস জমি ভূমিদস্যুদের দখলে

বগুড়ায় সাবেক অফিস সহকারীর বিরুদ্ধে 'ফ্যাসিস্ট সিন্ডিকেটের' মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের আইন যেন শুধু খাতা কলমে

প্রকৌশলী কামরুজ্জামানের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ

গোয়েন্দা প্রধানসহ লুটপাটের অভিযোগে চার কর্মকর্তা ক্লোজড

নির্বাহী প্রকৌশলী জহির রায়হানের বিরুদ্ধে ঠিকাদারদের মানববন্ধনে শাস্তি ও অপসারণ দাবী

সীমাহীন দুর্নীতি,অর্থ আত্মসাত ও সরকারি চাকুরির শৃংখলা ভংগের অভিযোগে এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী রনজিত দে সাময়িক বরখাস্ত

সরকার বিরোধী কর্মকান্ডে শ্রমিকদের উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ

রাজউকের ইমারত পরিদর্শক জয়নাল আবেদিন এর বিরুদ্ধে ঘুষ-দুর্নীতির বিস্তর অভিযোগ