জিকেএসএস এনজিওর গ্রাহকের প্রায় কোটি টাকা নিয়ে কর্মকর্তারা লাপাত্তা

গণকল্যাণ স্বাবলম্বী সংস্থার (জিকেএসএস) মোটা অংকের ঋণ প্রদানের নামে গ্রাহকদের নিকট থেকে প্রায় কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা হয়ে গেছে কর্মকর্তারা। গত সোমবার যশোরের কেশবপুর পৌরসভার মধ্যকুল বাসটার্মীনাল এলাকার তেল পাম্পের সামনে একটি ভাড়া বাড়িতে জিকেএসএস এর অফিসে গ্রাহকেরা ঋণের টাকা উত্তলন করতে এসে তালাবদ্ধ পেয়ে জামানতের টাকা ফেরত না পাওয়ার আশঙ্কায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানা পুলিশের নিকট লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গণকল্যাণ স্বাবলম্বী সংস্থার (জিকেএসএস) নামে একটি এনজিও কেশবপুর পৌরসভার মধ্যকুল এলাকায় একটি ভাড়া বাড়িতে সম্প্রতি উপজেলাব্যাপী বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দেওয়ার মাধ্যমে স্বল্প সুদে মোটা অংকের ঋণ দেওয়ার কথা বলে কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল। ওই এনজিওর কর্মকর্তারা নারী ও পুরুষদের সমিতিভুক্ত করার মাধ্যমে সঞ্চয় হিসেবে ১০ হাজার ৭০০ টাকা থেকে শুরু করে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত সঞ্চয় জমা নেন। গত ২৫ জুন তারা উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে সঞ্চয় গ্রহণ করেন। গ্রাহকদের জানানো হয় ২৬ জুন তাদের সদস্য প্রতি ১ লাখ টাকা করে ঋণ দেওয়া হবে।
গ্রাহকেরা গত ২৬ জুন সঞ্চয়ী জমাকৃত গৃহকরা ঋণ নিতে এসে দেখেন অফিস তালাবদ্ধ দেখে তাঁরা অফিসারের দেওয়া মোবাইল নম্বরে কল করে যোগাযোগের চেষ্টা চালান। মোবাইলন নম্বরটি বন্ধ থাকায় তাঁদের সন্দেহ হয়। একপর্যায়ে তারা চিল্লাপাল্লা কান্নাকাটি শুরু করে। তখন আশপাশের লোকজন এসে অফিসের গেটে তোলা মারা দেখে তাৎক্ষণিক প্রশাসনকে অবহিত করেন। তখন গ্রাহকেরা বুঝতে পারলেন তাঁদের টাকা নিয়ে কর্মকর্তারা লাপাত্তা হয়ে গেছেন।
অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, ৬০০ থেকে ৭০০ গ্রাহকের নিকট থেকে লাখ লাখ টাকা নিয়ে ওই কর্মকর্তারা পলাতক রয়েছে। সোমবার বিকেলে গ্রাহকরা ঘটনা উল্লেখ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ করেছেন।
উপজেলার বউশলা গ্রামের লিলিমা বেগম(৩৫), আনোয়ারা (৩৫), মুসলিমা বেগম (৩৬), ভেরচী গ্রামের খাদিজা খাতুন (২৭), বেলকাটি গ্রামের নাইম হোসেন বলেন, তাদের প্রথমে ওই সমিতির সদস্য হতে ২৫০টাকা করে দিতে হয়েছে। এবং ১ লাখ টাকা ঋণ দেবে। দ্রুত ঋণ নিতে হলে ১০ হাজার ৫০০ টাকা সঞ্চয় জমা দিতে হবে। তাই আমরা কষ্টোকরে ছাগল, গরু, হাঁস মুরগী বিক্রি করে আবার কেউ গহনা বিক্রি করেছেন। সোমবার ঋণ দেওয়ার কথা ছিল। সকালে ঋণ নিতে এসে দেখেন ঘর তালাবদ্ধ করে কর্মকর্তারা উধাও হয়ে গেছেন। তার মতো ওই গ্রামের একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকেও ওই সমিতি সঞ্চয় গ্রহণ করেছেন।
সমিতির অফিস সহকারী নাসরিন নাহার মিলা বলেন, তিনি ১০ হাজার টাকা জামানত দিয়ে চাকরিতে ঢুকেছিলেন। ৫ দিন অফিস করার পর তাকে বাড়িতে থাকতে বলা হয়। উপজেলার ১৯টি কেন্দ্রের গ্রাহকের কাছ থেকে প্রায় কোটি টাকা আত্মসাৎ করে সমিতির কর্মকর্তারা উধাও হয়ে গেছে।
এ ঘটনা উল্লেখ করে উপজেলার লালপুর গ্রামের সুফিয়া বেগম কেশবপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগও দিয়েছেন। অভিযোগে তিনি ওই এনজিওর কর্মকর্তা তাহসিন (২৮) ও আলতাফ উদ্দীন আহমেদের (৪০) নাম উল্লেখ করলেও তাদের ঠিকানা অজ্ঞাত রয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এমএম আরাফাত হোসেন বলেন, উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মানুষ অভিযোগ নিয়ে অফিসে আসলে তাদের থানায় মামলা করার কথা বলা হয়েছে।
এমএসএম / জামান

চেয়ারম্যান থেকে সাধারণ সম্পাদক জনআস্থার প্রতীক সাইফুল আলম মৃধা

জয়পুরহাটে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির উদ্যোগে ইউডিআরটি প্রশিক্ষণ এর উদ্বোধন

রাণীশংকৈলে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চুরির ঘটনা ঘটেই চলেছে

নড়াইলে গণঅধিকার পরিষদের উদ্যোগে তুলারামপুর ব্রিজের সৌন্দর্যবর্ধন উদ্বোধন

রাণীনগরে রাইডো ব্রেইন ব্যাটল কুইজ প্রতিযোগিতার উদ্বোধন

অভয়নগরে ৫২তম গ্রীষ্মকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধন, অব্যবস্থাপনার অভিযোগ

নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে দালালের দৌরাত্ম, অভিযানে ৭ দালালের কারাদন্ড

শিবচরে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

সাতকানিয়া কেরানীহাটের মাছ বাবুল গ্রেফতার

কোটালীপাড়ায় শরীরে আগুন দিয়ে প্রবাসীর স্ত্রীর আত্মহত্যা

আশুলিয়ায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে ইয়াবা ও গাঁজাসহ ৫ জন মাদক ব্যবসায়ী আটক

সিংড়ায় যুবদল নেতার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক দোকান দখলের অভিযোগ
