ঢাকা বুধবার, ৫ নভেম্বর, ২০২৫

ডিও লেটারে নয়, চাকরি হতে হবে মেধার ভিত্তিতেঃ মে.জে. ইবরাহিম


এসএম পিন্টু, চট্টগ্রাম ব্যুরো photo এসএম পিন্টু, চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশিত: ২-৯-২০২২ দুপুর ৩:১০

বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অবঃ) বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম (বীর প্রতীক) বলেছেন আমাদের দেশে অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় ডিও লেটারের (উবসর- ঙভভরপরধষ খবঃঃবৎ বা সরকারী অফিসে বেসরকারী পত্র  ) ক্ষমতা বলে চাকরি, বদলী এমনকি পদোন্নতিও হয়ে থাকে কিন্তু আমি এই বিষয়টি মোটেও সাপোর্ট করিনা।  কারন দেশের উন্ননের স্বার্থে মেধার মুল্যায়ন অত্যন্ত জরুরী। যে জাতি যত বেশি মেধাবী সে জাতি তত বেশি উন্নত। কেউ যদি ডিও লেটারের মাধ্যমে চাকরি পেয়ে যায় সেক্ষেত্রে মেধাবীদের বঞ্চিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই আমি বা আমরা যদি কখনো সরকার পরিচালনার দায়িত্ব পাই সেক্ষেত্রে ডিও লেটার প্রথা বাতিল করে দেওয়ার চেষ্টা করব। চাকরি হতে হবে মেধার ভিত্তিতে।
সম্প্রতি চট্টগ্রাম নগরীর নাসিরাবাদ এলাকায় তাঁর বাসভবনে দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও করনীয় বিষয় নিয়ে একান্তে আলাপকালে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন ডিও লেটার একধরণের ঘুষ বাণিজ্য, এমপি, মন্ত্রী বা তাদের পিএস, আত্মীয় স্বজন কাউকে না কাউকে খুশি করেই এই ডিও লেটার নিতে হয়। সেখানেও অনৈতিক লেনদেন থাকতে পারে। এক্ষেত্রে মেধাবীরা ডিও লেটারের আশা করবেনা, তারা নিজেদের যোগ্যতায় সফলতা অর্জনের চেষ্টা করবে। দেশ ও জাতির উন্নয়নে মেধা ও মেধার সঠিক প্রয়োগ করতে হবে আর একজন মেধাবী যদি তার মেধাকে প্রয়োগের সুযোগ না পায় তা হলে সে জাতি দুর্ভাগা। যদি এই প্রথা বাতিল করা হয় তাহলে সকলেই নিজেকে মেধাবী করে গড়ে তোলার জন্য পড়া-লেখায় মনযোগী হবে এতে একদিকে যেমন মেধাবীর সংখ্যা বাড়বে অন্যদিকে কমবে অপরাধ প্রবণতা। আর ডিও লেটারের মাধ্যমে চাকরি হলে আমাদের ব্যক্তিগত সম্পর্কের নিচে চাপা পড়ে থাকে মেধা। প্রমোশন, বদলী নতুন চাকরী পাওয়া সবক্ষেত্রেই ডিও লেটারকে প্রাধান্য দেওয়া হয় যা কোনভাবেই কাম্য নয়। এই প্রচলন থেকে বেরিয়ে এসে মেধাবীদের সুযোগ দেওয়া উচিত। তাই আমরা ক্ষমতায় গেলে ডিও লেটার প্রথা বাতিল করে দিব।
ক্ষমতায় গেলে দেশ ও জাতির স্বার্থে আর কি কি পদক্ষেপ নিতে পারেন জানতে চাইলে তিনি বলেন দেশের মানুষ অনেক কষ্টে আছে আর সেই কষ্ট লাঘব করতে আমাদের আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে।
কিভাবে কষ্ট লাঘব করা যায় এমন প্রশ্নে তিনি বলেন রাজনীতিতে মুল্যবোধ প্রায় বিলুপ্তির পথে চলে গেছে, হারানো মুল্যবোধ ফিরিয়ে আনতে হবে। মুখ দেখে নয় কর্মের মুল্যায়ন করতে হবে। অকর্মার ঢেঁকিদের বাদ দিয়ে যারা কাজের কাজী তাদের কর্মের পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। একজন ভাল লোক যখন চালকের আসনে বসবেন তখন তিনি সবসময় ভালটাই চিন্তা করবেন, অন্যায় অনিয়মকে প্রশ্রয় দিবেননা। বর্তমানে প্রশাসন, আইন শৃঙ্খলা বাহীনি এমনকি বিচার বিভাগেও রাজনৈতিক প্রভাবে প্রভাবিত হওয়ার মতো ঘটনা ঘটছে। আমরা চাই এসব দফতর সম্পুর্ণ রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত থাকবে। কারো দায়িত্বের উপর কেউ হস্তক্ষেপ করবেনা। ফলে কেউ অন্যায় আবদার করতে পারবেনা আর নিজেরাও অন্যায় করতে সাহস করবেনা। ফলে জনসাধারণ শান্তিতেই থাকবে।
বাজার পরিস্থিতির প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন দ্রব্যমুল্যের উর্ধ্বগতির ফলে নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তরা এমনিতেই কষ্টে আছে, তার উপর জ্বালানী তেলের দাম বৃদ্ধির ফলে নিত্যপণ্যের দাম নাগালের বাইরে চলে গেছে। এই পরিস্থিতিতে সরকার আরো কৌশলী ভুমিকা নিতে পারতো। যেমন ডিজেলের দাম অপরিবর্তীত রেখে পেট্রোল অকটেনের দাম বাড়াতে পারতো ফলে দ্রব্যমুল্যের উপর তেমন একটা প্রভাব পড়তোনা। 
টিসিবির পণ্য ক্রয়ে ভোগান্তির কথা তুলে ধরে তিনি বলেন একটা কার্ড নিয়ে ২/১শ টাকা বাঁচানোর জন্য মানুষ ঘন্টার পর ঘন্টা লাইন ধরে দাঁড়িয়ে থাকে এতে করে প্রচুর কর্মঘন্টা নষ্ট হয়। এই সময়টাতে সে কাজ করতে পারলে আরো বেশি টাকা রোজগার করতে পারতো। আমরা মনে করি নিম্নবিত্তদের জন্য রেশনিং পদ্ধতি চালু করলে এই কষ্ট অনেকটাই লাঘব হবে   
কুইক রেন্টাল চুক্তির মাধ্যমে সরকারের হাজার হাজার কোটি টাকা অপচয় হয়েছে বা এখনো হচ্ছে এধরণের চুক্তি বাতিল করে জনহিতকর চুক্তিকে প্রাধান্য দিতে হবে। 
শিক্ষার সিলেবাসে ধর্ম শিক্ষাকে বাধ্যতামুলক করার প্রয়োজনীয়তা আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন নিজের মনকে খারাপ কাজ থেকে দূরে রাখতে এবং শিষ্টাচার আদব-কায়দা ছোটকাল থেকেই যারা শিখে বড় হয় তারা কখনো বিপথে যায়না আর প্রত্যেকের ধর্মই তাদের সেই শিক্ষা দিয়ে থাকে।
নারী শিক্ষার ক্ষেত্রে শুধু উপবৃত্তি নয় তাদের মনিটরিং করতে হবে যাতে এসএসসির আগে কোন নারী ঝড়ে না পরে তাহলে এসএসসির পরে সে নিজেই তার শিক্ষার ব্যপারে সচেতন হবে এবং দেশের সকল মা-ই শিক্ষিত হবে আর মায়েরা শিক্ষিত হলে তাদের সন্তানরাও শিক্ষিত হবে এবং আমরা অচিরেই একটি উন্নত ও শিক্ষিত জাতিতে পরিনত হবো। তখন কেউ আমাদের পিছনে ফেলে রাখতে পারবেনা।  
দেশের প্রতিটি বিভাগীয় শহরে একটি উচ্চ আদালত ভবন থাকার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন দেশের প্রায় ১৭ কোটি মানুষেয় জন্য একটা উচ্চ আদালত আছে যা ঢাকায় অবস্থিত। দেশের প্রতিটি বিভাগীয় শহরে একটি করে উচ্চ আদালত ভবন করতে পারলে বিচারপ্রার্থী মানুষের দুর্ভোগ কমার পাশাপাশি ঢাকার উপর চাপ অনেকটা কমে যাবে বলে আমি মনে করি। ঢাকা বর্তমানে একটি যানজটের শহর হিসেবে পরিচিত। প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ কর্মঘন্টা নষ্ট হয় এই শহরে। তাই যত দ্রুত সম্ভব যানজট নিরসন করতে হবে। দেশের প্রধান কার্যালয়গুলো ঢাকাতে হওয়ায় সারাদেশের মানুষকে বাধ্য হয়ে ঢাকায় যেতে হয়। তাই আমরা যদি দেশের সকল বিভাগীয় শহরে কিছু কাজ ছেড়ে দিতে পারি তাহলে ঢাকার ওপর চাপ কমবে।

এমএসএম / এমএসএম

থামছেই না ছড়াও, দখল করে ভবন নির্মাণ কাজ

বাঁশখালীতে রিক্সা চালক শ্রমিক কল্যাণ ইউনিয়ন নির্বাহী কমিটির বার্ষিক সাধারণ সভা

নোয়াখালীতে যৌন-প্রজনন স্বাস্থ্য ও লিঙ্গ ভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধ সভা

চাঁপাইনবাবগঞ্জ -২ এ,ধানের শীষের কান্ডারী ইঞ্জি: মাসুদ'কে চায় সাধারণ মানুষ ও বিএনপি'র নেতাকর্মীরা

পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে শ্রমিক দলের আহ্বায়ক জুয়েলের বিরুদ্ধে কমিটি বাণিজ্যের অভিযোগ

কাউনিয়ায় মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টায় পিতা পুলিশের হাতে

বাঁশখালীতে জমি বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত, গ্রেপ্তার-৩

নন্দীগ্রামে সিএনজি চালককে অপহরণ ও মুক্তিপণ নিয়ে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ

সুবর্ণচরে আশার আলো সমাজ কল্যাণ সংগঠনের বৃক্ষরোপন কর্মসূচি

সহকারী এটর্নি জেনারেল হলেন পেকুয়ার কেএম সাইফুল ইসলাম

৭ই নভেম্বর উদযাপন ও খন্দকার নাসিরের মনোনয়ন এর দাবিতে মধুখালী বিএনপির জরুরী সভা

ভোলা-১ আসনে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করবে বিজেপি, নির্বাচনি প্রচার ও র‍্যালী অনুষ্ঠিত

বগুড়ায় চালককে হত্যা করে অটোরিক্সা ছিনতাই