লাাম্পি চর্মরোগ ছড়িয়ে পড়ায় গরু মারা যাচ্ছে, আড়াই হাজার আক্রান্ত সাঁথিয়ার খামারি-কৃষকরা আতঙ্কিত

পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার গ্রামাঞ্চলে গরুর ‘লাম্পি স্কিন ডিজিস’ (লাম্পি চর্মরোগ) ছড়িয়ে পড়ায় ইতোমধ্যে ৫টি গরু মারা গেছে এবং অন্তত: ২ হাজার ৭৩৫টি গরু আক্রান্ত হয়ে পড়ায় কৃষক ও গরু খামারিরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। এ রোগে আক্রান্ত গরুর সংখ্যা বাড়ছে এবং প্রযোাজন অনুযায়ী ভ্যাকসিন না পাওয়ায় গরু খামারিদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তারা জানান, এ নতুন রোগের বিস্তারের কারণে তারা গ্রাম পর্যায়ে কৃষকদের যথাসম্ভব চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন।উপজেলা প্রাণি সম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সাঁথিয়া উপজেলায় মোট গরুর সংখ্যা ১ লাখ ৩৬ হাজার ৭৬৬টি। এর মধ্যে গত দুই সপ্তাহে ২ হাজার ৭৩৫টি গরু চর্মরোগে আক্রান্ত হয়েছে।সাঁথিয়া উপজেলার গৌরী গ্রামের খামারি সেলিম রেজা বলেন, "গ্রামের প্রায় সব গরুই এ রোগে আক্রান্ত। আমি গরু নিয়ে খুবই চিন্তিত। পশু হাসপাতালের চিকিৎসকদের সময়মতো পাওয়া যাচ্ছে না, তাই বাধ্য হয়েই তারা গ্রামীণ ডাক্তারদের স্মরণাপন্ন হচ্ছেন।”
সাঁথিয়া পৌরসভার কালাইরা গ্রামের হাসান আলী বলেন, আমার গরু এ রোগে আক্রান্ত হওয়ায় আতঙ্কে ছিলাম, কবে গরু মারা যাবে। এ কারণে কসাইয়ের কাছে একটি গরু বিক্রি করেছি মাত্র ১৫ হাজার টাকা, যার মূল্য ছিল প্রায় ৯০ হাজার টাকা।একই গ্রামের কৃষক শের আলী বলেন, আমার ৯টি গরুর মধ্যে ৪টি এ রোগে আক্রান্ত। গরুর চিকিৎসায় প্রতিদিন প্রায় দুই হাজার থেকে আড়াই হাজার টাকা খরচ হচ্ছে।চরমাছখালী গ্রামের অটোরিকশা চালক জিয়ারুল বলেন, চার মাস আগে অনেক কষ্টে একটি গরু কিনেছিলাম কিন্তু আমার এক লাখ টাকা মূল্যের গরুটি নতুন রোগে মারা গেছে।সাঁথিয়া পৌরসভার গোপীনাথপুর গ্রামের জিতেন হালদার বলেন, আমার দু’টি গরু রয়েছে। কিছুদিন আগে প্রায় এক লাখ টাকা মূল্যের একটি ষাঁড় এ রোগে মারা গেছে।একই গ্রামের চাঁদ আলীর একটি গরু আট দিন আগে এ রোগের কারণে মারা যায়। এছাড়া গত সপ্তাহে সাঁথিয়া ফকিরপাড়া মহল্লার মোজাহার আলী বিশ্বাসের একটি ষাঁড় একই রোগে মারা গেছে। এ ব্যাপারে সাঁথিয়া উপজেলা উপ-সহকারী প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা (সম্প্রসারণ) শাহজাহান আলী বলেন, এ এলাকায় লাম্পি স্কিন ডিজিস ছড়িয়ে পড়ায় আমরা মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের গরুর চিকিৎসা দিচ্ছি।
বাঘা বাড়ি মিল্কভিটার উপ-ব্যবস্থাপক চিকিৎসক শরিফুল ইসলাম বলেন, এটি একটি ভাইরাসজনিত রোগ। দ্রুত বিস্তারের কারণে গরু ব্যাপকভাবে আক্রান্ত হচ্ছে। েেকাথাও কোথাও গরু মারা যাচ্ছে। এ রোগ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় দুগ্ধ শিল্প হুমকির মুখে পড়তে পারে।
সাঁথিয়া উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ভেটেরিনারি সার্জন ডা. ফারুক মিয়া জানান, অফিস থেকে খামারিদের পরামর্শ দেযা হচ্ছে এবং আক্রান্ত গরুর চিকিৎসা করা হচ্ছে। এই ভাইরাসজনিত রোগের কোনো নির্দিষ্ট ভ্যাকসিন বা চিকিৎসা নেই। তাই বিকল্প ভ্যাকসিন ব্যবহার করা হচ্ছে। এতে সুফল পাওয়া যাচ্ছে বলে যোগ করেন এই চিকিৎসক।
এমএসএম / এমএসএম

কুয়াকাটায় পরিচ্ছন্নতা ও পর্যটকবান্ধব সেবা নিশ্চিতকরণে রেস্তোরাঁ কর্মীদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা

রামুর বাঁকখালী নদীতে ভাসলো ঐতিহ্যবাহী কল্পজাহাজ

দোহারে স্বেচ্ছাসেবকদল নেতার বিরুদ্ধে অপপ্রচারের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

নওগাঁয় গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ; ৬ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা

ক্ষুদে ক্রিকেটার ঈসার পাশে কুড়িগ্রাম জেলা ক্রীড়া অফিস

সাংবাদিকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে রাজশাহীতে মানববন্ধন

কোনাবাড়ী থেকে নিখোঁজ গৃহবধূ নাটোর থেকে উদ্ধার

ভূরুঙ্গামারীতে অসহায় দরিদ্র উদ্যোক্তা মহিলাদের সেলাই বিষয়ক প্রশিক্ষনের শুভ উদ্বোধন

ডাকসুর এজিএস মহিউদ্দীন খানকে জয়পুরহাটে সংবর্ধনা

নরসিংদীতে নতুন করে ডেঙ্গু আক্রান্ত ৬ জন, হাসপাতালে ভর্তি ৩৮ জন

মেহেরপুরে ৩৫তম আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস উপলক্ষে র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

টঙ্গীতে শারীরিক প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্ট, মৈত্রী শিল্পে সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার পরিদর্শন
