চট্টগ্রামে নাছিরের বিকল্প নাছির-ই
চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের যতগুলো নেতা আছে তার মধ্যে বর্তমানে আলহাজ্ব আ.জ.ম. নাছির উদ্দীন-ই সবার সেরা। তাঁর সাথে তুলনা করা যায় এমন নেতা চট্টগ্রাম শহরে আর দেখা যায়না। নাছিরের তুলনা নাছির-ই। সম্প্রতি নগরীর কালামিয়া বাজার থেকে রিক্সা করে অফিসে যাওয়ার সময় এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন রিক্সার চালক রবিউল ইসলাম।
জানতে চেষ্টা করলাম আ.জ.ম. নাছিরের সম্পর্কে এমন মন্তব্য করার কারন। কেন আপনার এমন মনে হয়, আপনি কি উনার গ্রুপ করেন ? জবাবে তিনি বলেন আমি খেটে খাওয়া মানুষ, গ্রুপ বা রাজনীতি আমাদের জন্য বেমানান। পরিবার ও নিজের পেটের চাহিদার জোগান দিতেই দিন চলে যায় এর মধ্যে ওসবের আর সময় কোথায়? পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে বলেন আপনিও একটু চিন্তা করুন উনার দীর্ঘ রাজনীতির জীবনে কি পেলেন তা তিনি কখনো হিসেব করেননি ঠিকই কিন্তু দুহাত ভরে অন্যকে দিতে কখনো কার্পণ্য করেননি তিনি। তাঁর ভিতরে কোন হিংসা নেই, সকলের সাথে হাসিমুখে কথা বলেন, যেকোন কারো বিপদে নিঃস্বার্থভাবে ঝাঁপিয়ে পড়েন। উদাহরণ স্বরূপ তিনি বলেন দেখেন বৈশ্বিক মহামারি করোনার প্রকোপে যখন বিশ্ব দিশেহারা, অনেক বড় বড় নেতারা যখন হোম আইসোলেশনে, প্রাণের ভয়ে রাস্তায় দেখা মেলেনি কারো ঠিক সেই সময়ে তিনিই নগর চষে বেড়িয়েছেন। রাস্তায় রাস্তায় ওষুধ ছিটিয়েছেন, দরিদ্রদের ঘরে ঘরে পৌছে দিয়েছেন খাদ্য সামগ্রী, সহযোগীতা করেছেন চিকিৎসায়। দিনরাত অন্যের জন্য যেভাবে শ্রম দিয়েছেন সেখানে অন্য নেতারা নিজের বা দলের জন্য এমনটা করেনি। শুধু তাই নয় মেয়র নির্বাচনে তিনি যখন মনোনয়ন পাননি তখনো তিনি দলীয় কাজ থেকে বিন্দুমাত্র পিছপা হননি। দলের প্রার্থীকে জেতানোর জন্য তিনি যেভাবে দিনরাত পরিশ্রম করেছেন ভোটারদের কাছে ধর্ণা দিয়েছেন খোদ প্রার্থীও এতটা পরিশ্রম করেছে কিনা সন্দেহ আছে।
হ্যাঁ বলছিলাম নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক (৫ম) মেয়র আলহাজ্ব আবু জাহেদ মোহাম্মদ নাছির উদ্দীনের কথা যিনি আ.জ.ম. নাছির উদ্দীন নামে পরিচিত। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সহ-সভাপতি ও চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগেও তিনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে তিনি নানাভাবে সম্পৃক্ত।
১ জানুয়ারি ১৯৫৭ সালে চট্টগ্রামে জন্ম নেওয়া নাছির উদ্দীনের বাবা সৈয়দ মঈনুদ্দিন হোসাইন ছিলেন একজন শিক্ষানুরাগি এবং মা ফাতেমা জোহরা বেগম। পিতা-মাতা দুজনেই আর বেঁচে নেই।
১৯৭৩ সালে সরকারি মুসলিম উচ্চ বিদ্যালয়, চট্টগ্রাম থেকে মাধ্যমিক এবং পরবর্তীতে চট্টগ্রাম কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন আ.জ.ম. নাছির উদ্দীন।
রাজনৈতিক কর্মজীবন:
নাছির উদ্দীন বিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালীন সময়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মকাণ্ডে জড়িত হন। বিদ্যালয় শিক্ষার্থী হিসেবে যোগ দেন উনসত্তরের গণ অভ্যুত্থানের মিছিলে। ৭০ দশকের মাঝামাঝিতে নাছির উদ্দিন রাজনীতিতে সক্রিয় হন। ১৯৭৭ সালে, তিনি চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি এবং একই সাথে নগর ছাত্রলীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে ১৯৮০ এবং ১৯৮২ সালে চট্টগ্রাম নগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ১৯৮৩ এবং ১৯৮৫ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি হিসেবে নিযুক্ত হন। নাছির উদ্দীন পরপর দুইবার নগর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন। নভেম্বর ২০১৩ সালে নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মনোনীত হন। ২০১৫ সালের চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে তিনি মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হন এবং ৭ মে শপথ গ্রহণ করেন।
শুধু নগর আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের অনেক নেতার আদর্শই নয় এই নাছির, গোপনে গোপনে ভালবাসেন বিরোধী রাজনীতি পক্ষের অনেকেই। নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেকেই মনে করেন রাজনীতির কারনে অনেকেই অনেক ধরনের কথা বলেন তবে বাস্তবতা হলো উনি (নাছির) তুলনামুলকভাবে একজন ভালো রাজনীতিবিদ, একজন ভালো মনের মানুষ। দল মতের বাইরে গিয়েও তিনি অনেক সময় মানুষের উপকার করে থাকেন। তারা বলেন সম্প্রতি বিএম ডিপোর ঘটনার সময় তিনি এলাকায় ছিলেননা কিন্তু বাইরে থেকেও খবরা-খবর নিয়েছেন। সেবামুলক কাজ করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন নেতা-কর্মীদের। এলাকায় ফিরেই ছুটে গিয়েছেন আহতদের চিকিৎসায় সহায়তার জন্য। এমনকি নিজের খরচে চিকিৎসা করানোর দায়িত্বও নিয়েছেন অনেকের।
নগর আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা জানান সমাজ সেবার পাশাপাশি সমানতালে দলীয় কর্মকাণ্ডও চালিয়ে যাচ্ছেন এই আ.জ.ম. নাছির। তিনি সাধারণ সম্পাদক হওয়ায় আওয়ামী লীগের দূর্গে পরিনত হয়েছে চট্টগ্রাম। উনার সময়ে অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে শহরের সবগুলো আসন উপহার দিয়েছেন আওয়ামী লীগকে। এমনকি যেকোন নির্বাচনে দলীয় কোন্দলের বাইরে গিয়ে নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জন করেছেন সফলভাবে। দলের মাঝে সৃষ্ট বিভাজন নিরসন কল্পে সকলকে সাথে নিয়ে এবার সফলভাবে চালিয়ে যাচ্ছেন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সম্মেলন। কোন প্রভাবে প্রভাবিত না হয়ে সাধারণ কাউন্সিরদের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত করছেন নেতৃত্ব।
তিনি নিজেকে প্রচারে যতটা না ব্যস্ত তার চেয়েও ব্যস্ত থাকেন সরকারের উন্নয়নমুলক কর্মকাণ্ডগুলো জনসম্মুখে তুলে ধরতে। রাজনৈতিক বিরোধী পক্ষের মিথ্যাচারে যাতে সরকারকে ভুল না বুঝেন জণসাধারণ সেই দিকেও নজর রাখছেন তিনি। বেকারত্ব দুর করে অর্থনৈতিক উন্নতিতেও তিনি আছেন এগিয়ে। সক্ষম বেকারদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও অক্ষমদের আর্থিক সহায়তা করেও সুনাম কুড়িয়েছেন এই নেতা। ফলে চট্টগ্রামে আ.জ.ম. নাছির উদ্দীনকে কারো সাথে তুলনা করা যায়না কারন তাঁর বিকল্প তিনি নিজেই।
এমএসএম / এমএসএম
থামছেই না ছড়াও, দখল করে ভবন নির্মাণ কাজ
বাঁশখালীতে রিক্সা চালক শ্রমিক কল্যাণ ইউনিয়ন নির্বাহী কমিটির বার্ষিক সাধারণ সভা
নোয়াখালীতে যৌন-প্রজনন স্বাস্থ্য ও লিঙ্গ ভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধ সভা
চাঁপাইনবাবগঞ্জ -২ এ,ধানের শীষের কান্ডারী ইঞ্জি: মাসুদ'কে চায় সাধারণ মানুষ ও বিএনপি'র নেতাকর্মীরা
পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে শ্রমিক দলের আহ্বায়ক জুয়েলের বিরুদ্ধে কমিটি বাণিজ্যের অভিযোগ
কাউনিয়ায় মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টায় পিতা পুলিশের হাতে
বাঁশখালীতে জমি বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত, গ্রেপ্তার-৩
নন্দীগ্রামে সিএনজি চালককে অপহরণ ও মুক্তিপণ নিয়ে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ
সুবর্ণচরে আশার আলো সমাজ কল্যাণ সংগঠনের বৃক্ষরোপন কর্মসূচি
সহকারী এটর্নি জেনারেল হলেন পেকুয়ার কেএম সাইফুল ইসলাম
৭ই নভেম্বর উদযাপন ও খন্দকার নাসিরের মনোনয়ন এর দাবিতে মধুখালী বিএনপির জরুরী সভা
ভোলা-১ আসনে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করবে বিজেপি, নির্বাচনি প্রচার ও র্যালী অনুষ্ঠিত