ঢাকা মঙ্গলবার, ৭ অক্টোবর, ২০২৫

শব্দ দূষণ রোধে ঢাবি শিক্ষার্থীদের মৌন সমাবেশ


পল্লব রানা পারভেজ photo পল্লব রানা পারভেজ
প্রকাশিত: ২৪-৯-২০২২ দুপুর ১:৭

শব্দ দূষণ প্রতিরোধের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে মৌন সমাবেশ করেছে শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা বিভিন্ন ধরনের ব্যানার, পোস্টার ও সচেতনামূলক প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন।

শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এ সমাবেশের আয়োজন করে পরিবেশবাদী সংগঠন গ্রীন ভয়েস-র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে  গ্রীন ভয়েসের আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল কাদের জিলানী দৈনিক সকালের সময়কে বলেন, শব্দ দূষনে বিশ্বের শীর্ষ শহর এখন ঢাকা। জাতিসংঘের পরিবেশ কর্মসূচির (ইউএনএপি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। এছাড়াও এই প্রতিবেদনে  আরো স্থান রয়েছে  রাজশাহীর। শব্দ দূষণ একটি সরব ঘাতক। এটি নীরব ঘাতক প্রকৃতপক্ষে এটি প্রকাশ্যেই মানুষকে ক্ষতি করছে।

আর এ শব্দ দূষণের কারণে উচ্চরক্তচাপ, অনিদ্রা, শ্রবণশক্তি হ্রাস, মনোসংযোগ কমে যাওয়া, মাথাব্যথা ও মাথা ধরার জটিলতায় ভুগছে নগরবাসী। শুধু তাই নয়, রাজধানীবাসীকে খিটখিটে মেজাজ, বিরক্তি বোধসহ অস্বাভাবিক আচরণ করার মতো মানসিক ও দৈহিক নানা সমস্যার পড়তে হচ্ছে। আর এই সমস্যা তীব্র হয়ে উঠেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। বিশেষ করে কাজী মোতাহার হোসেন ভবনের সামনে আমাদের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাশে রাস্তায় অসংখ্যা বহিরাগত যানবাহন ও উচ্চ মাত্রায় মাইক অথবা সাউন্ড বক্স আওয়াজের ফলে। এর ফলে শিক্ষার্থীরা ক্লাসের মনোযোগ,  শারীরিক ও মানসিক সমস্যায় ভুগতে থাকে।  আমি একজন ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগে ছাত্র হিসেবে আমাদেরকে দৈনিক ৪-৫ টা করে ক্লাস করতে হয়, কিন্তু ক্লাসে যাওয়ার পরে ১ টা ক্লাসের পড়েই আর মনোযোগ বসে না চারদিকের নানান কোলাহলের কারণে।    

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শব্দদূষণ রোধে কর্তৃপক্ষের করণীয় হতে পারে বলে আমি মনে করি, ‘গাড়ি বা যানবাহনের শব্দ কোনো ভাবেই ৬০ ডেসিবলের বেশি হতে পারবে না এই আইন জারি করে কঠোর ভাবে পর্যবেক্ষনে রাখা, বহিরাগতদের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ এবং শব্দ দূষণকারীদের শাস্তির আওতায় আনা গেলেই শব্দদূষণ রোধ করা যাবে।’

তিনি আরও বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ এবং শব্দ দূষণকারীদের শাস্তির আওতায় আনা গেলেই শব্দ দূষণ রোধ করা যাবে। আমরা এ সমাবেশের মাধ্যমে বার্তা দিতে চাই যে, শব্দ দূষণ করে পরিবেশ বিপর্যয় না ঘটিয়ে জীবন পরিচালনা করতে হবে।

উল্লেখ্য, প্রকৃতি, পরিবেশ ও জীবন বাঁচানোর অঙ্গীকার নিয়ে ‘যুবরাই লড়বে সবুজ পৃথিবী গড়বে’ স্লোগানে ২০০৫ সালে যাত্রা শুরু করে গ্রিন ভয়েস। পরিবেশ সচেতনতার পাশাপাশি সংগঠনটি সমাজসেবামূলক বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে প্রশংসনীয় ভূমিকার জন্য দিনদিন তরুণ ছাত্র ও যুবসমাজের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বর্তমানে দেশের প্রায় অধিকাংশ জেলা, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সংগঠনটির কার্যক্রম চলমান।

এমএসএম / এমএসএম

মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা ১২ ডিসেম্বর

মাতামুহুরি নদীতে গোসলে নেমে সাবেক চবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু

রাজনৈতিক দুষ্টচক্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দখলে নিয়েছে: শিক্ষা উপদেষ্টা

শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় এনটিআরসিএর বড় সিদ্ধান্ত

সাইবার বুলিং ও নিরাপত্তাহীনতায় চাকসু নির্বাচনে সীমিত নারী প্রার্থীর অংশগ্রহণ

বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর লক্ষাধিক টাকার টাইলস আত্মসাত

পিডি নিয়োগে প্রথম হয়েও বাদ শেকৃবি অধ্যাপক , নিয়ম ভেঙে প্রকল্প পেলেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা

পবিপ্রবির নতুন উদ্যোগে নারী শিক্ষার্থীদের জন্য স্থায়ী নামাজ রুম

ডিআইইউতে আন্তর্জাতিক সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন সম্পন্ন

গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তিপূর্ণ ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ভিপি মৃদুল, জিএস রায়হান

আইএফপিআরআই ও সার্ক কৃষি কেন্দ্রের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর

ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি'তে শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক সম্মেলন BIM 2025

চাকসু নির্বাচনে ব্যালট নম্বর প্রকাশ, আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু