উলিপুরে বাঁশ শিল্পের পণ্য বিক্রির ধুম পড়েছে
কুড়িগ্রামের উলিপুরে বাঁশের তৈরি পণ্য বিক্রির ধুম পড়েছে। বাঁশ শিল্প বাঙালি সংস্কৃতির একটি বড় অংশ। আমন ধানের আমেজ উঁকি দিতে না দিতেই বাঁশের তৈরি পণ্যের কদর বেড়েছে।
সরেজমিন উপজেলার উলিপুর পৌর বাজারে গিয়ে দেখা যায় বাঁশের তৈরি পণ্যের বিক্রির ধুম পড়েছে। বিভিন্ন ধরনের বাঁশের তৈরি পণ্য নিয়ে বসে আছে। বাঁশের তৈরি পণ্য ক্রয় করতে উপছে পড়া ভীড় দেখা যায়। কেউ কিনছেন ডালি, কুলা আবার কেউ চাইলন, টালা। এভাবে বিভিন্ন ধরনের বাঁশের তৈরি পণ্য কেনা-বেচা করতে দেখা যায়। আমন ধানের উৎসবের আমেজ আসতে না আসতেই এ সকল বাঁশের তৈরি পণ্যের ব্যাপক চাহিদা বেড়েছে। বিক্রেতারা অনেক লাভের আশা নিয়ে বিক্রি করছেন। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে বাঁশের তৈরি পণ্য এসে উলিপুর পৌর বাজারে বেচা-কেনা করা হয়। বাঁশের তৈরি পণ্য গুলো বিভিন্ন দরে বিক্রি হচ্ছে। তার মধ্যে মাটি কাটা ডালি ৫০ টাকা থেকে ৯০ টাকা, ভাতের বড় ডালি ৮০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা, ঝাড়ু ৩০ টাকা ৫০ টাকা, কুলা ৬০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা, চাইলন ৪০ টাকা থেকে ৭০ টাকা, মুরগীর টোপা ১২০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা, কবুতরের খাচা ৮০ টাকা থেকে ১২০ টাকা, ধারাই ২৫০ টাকা থেকে ৯০০ টাকা, ডারকি ২৫০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা, চেলি ডালি ৪০ টাকা থেকে ৬০ টাকা, হাত পাখা ২০ টাকা থেকে ৪০ টাকা, পাল্লা ১৫০ থেকে ২০০ টাকা, টালা ২৫ টাকা থেকে ৪০ টাকা, গরুর মুখের টোপা ১৫ টাকা ২০ টাকা, মাছ রাখা খলাই ৫০ টাকা থেকে ৭০ টাকা, ঝাপি ২০০ টাকা থেকে ২৫০ টাকা, মাছ ধরা পলো ৩০০ টাকা থেকে ৩৫০ টাকা এবং মাছ ধরা ভাইর ৪০০ টাকা থেকে ৬৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে বলে জানান বিক্রেতারা।
বাঁশের তৈরি পণ্য বিক্রেতা আলমগীর হোসেন জানান, উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা বাঁশের তৈরি পণ্য পাইকেরিতে কিনে পৌর বাজারে বিক্রি করি। এখানে সপ্তাহে দু'দিন হাট বসে। প্রতি হাটে প্রায় ১০ হাজার ২০ হাজার টাকা দিয়ে বিভিন্ন ধরনের পণ্য ক্রয় করি তা বিক্রি করে প্রায় ১ হাজার থেকে ২ হাজার টাকা লাভ করি। তিনি আরও বলেন এখন এ সব পণ্য বিক্রির মৌসুম আসতেছে। এ মৌসুমে অনেক টাকা আয় করতে পারব বলে জানান তিনি। তবে ক্রেতারা চাহিদার বেশি পণ্য ক্রয় করেননা বলে জানান তিনি।
উপজেলার বালাবাড়ি থেকে পণ্য ক্রয় করতে আসা সমর আলী (৭৫) বলেন, আমি বিভিন্ন ধরনের বাঁশের তৈরি পণ্য ক্রয় করতে এসেছি। এগুলো আমি গ্রামে গ্রামে বিক্রয় করব। তিনি বলেন আমি মাত্র ৬'শ থেকে ৭'শ টাকার পণ্য ক্রয় করব। এসব পণ্য গ্রামে বিক্রয় করলে ২'শ থেকে ৩'শ টাকা আয় হবে তা দিয়ে কোন রকম সংসার চালাব। আমি বৃদ্ধ হয়েছি আমি কোন কাজ করতে পারিনা আমাকে কেউ কাজ দেয়না তাই এভাবেই কোন রকম চলি বলে জানান তিনি। তিনি বলেন এখন এ সব পণ্যের কদর কমে গেছে। এখন প্লাস্টিক পণ্য সামগ্রী দিয়ে ভরে গেছে। তাই এ ঐতিহ্যবাহী শিল্পকর্মটি দেশ থেকে বিলুপ্ত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
এ বিষয়ে পৌর পণ্য বাজারের ইজারাদার আব্দুস সালাম বলেন, বর্তমান এসব পণ্য বিক্রয়ের মৌসুম আসতেছে তাই এখন অনেক চাহিদা বেড়েছে। তবে আগের মত তেমন চাহিদা নেই। কারণ প্লাস্টিকের পণ্য বাঁশের তৈরি পণ্যের চাহিদা কমিয়ে দিয়েছে। তিনি বলেন আগে এ পৌর বাজারে হাটের দিনে ১০০ থেকে ২০০ টি পর্যন্ত পণ্যের দোকান থাকত। বর্তমান ২৫ থেকে ৩০ টির বেশি পণ্যের দোকান দেখা যায় না। বাঁশের তৈরি পণ্য প্রায় বিলুপ্তির পথে এ বিষয়ে তিনি বলেন, একসময় ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত গ্রামীণ পল্লিতে বাঁশের চটা দিয়ে বিভিন্ন জিনিস তৈরি করা হতো। পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও এ কাজে সামিল হতো। আর হাটবারে স্থানীয় বাজারে এমনকি বাড়ি বাড়ি ফেরি করে এসব বাঁশ-বেতের পণ্য বিক্রি হতো। কিন্তু সময়ের ব্যবধানে এ শিল্পের মূল উপকরণ বাঁশের মূল্য বৃদ্ধিতে বাঁশ-বেতের কারিগররা তাদের পেশা ধরে রাখতে হিমশিম খাচ্ছে। ফলে বেকার হয়ে পড়েছে গ্রামীণ কারিগররা। অনেকেই আবার এ পেশা ছেড়ে চলে যাচ্ছে অন্য পেশায়।
এমএসএম / এমএসএম
কুমিল্লা-৯ আসনে ডঃ সরওয়ার ছিদ্দিকীর নেতৃত্বে নির্বাচনি প্রচারে বাইক র্যালি
কাউনিয়ায় নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
একটি সুন্দর ও নিরাপদ বাংলাদেশ গড়তে ধানের শীষে ভোট দিন: মুহাম্মদ শাহেদ
মীর হেলালকে এমপি প্রার্থী করায় চট্টগ্রামে দোয়া মাহফিল
কোটালীপাড়ায় গভীর রাতে গোয়ালঘর ভেঙে ৫ গরু ডাকাতি, নিঃস্ব কৃষক দম্পত্তির আহাজারি
চন্দনাইশে বিনামূল্যে চক্ষু শিবির অনুষ্ঠিত
বাড়িয়াঘোনায় হালদার পানিতে প্লাবন থেকে রক্ষায় স্যুইচগেট স্থাপনের দাবিতে মানববন্ধন
স্ত্রীকে ডিজেল ঢেলে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা মামলার প্রধান আসামি গ্রেফতার
সাভারের বেদে পল্লিতে হামলা, একই পরিবারের নারীসহ আহত ৩
ভূররুঙ্গামারী উপজেলা প্রেসক্লাবে বই উপহার দিলেন ডাক্তার মোঃ মিলন
দখল–দূষণে ১৪০ ফুট ডাকাতিয়া নদী সঙ্কুচিত হয়ে ৪০–৬০ ফুট, ভাঙ্গা ব্রিজে দুর্ঘটনার ঝুঁকি
মৎস্য রপ্তানীর নীতিমালা ও প্রস্তুতিতে সরকার কাজ করবে: উপদেষ্টা ফরিদা আখতার