শ্যামা

আমাদের জাতীয় পাখি দোয়েলের কাজিন বলা হয় সুকণ্ঠী পাখি শ্যামাকে। দু’জনেই একই ‘গণ’ (পরিবার) এর পাখি। বৈশিষ্ট্যেও আছে অনেক মিল। দোয়েল ও শ্যামার এক ‘গণ’। শ্যামার বৈজ্ঞানিক নাম কপসাইকাস মালাবারিকাস। বৈজ্ঞানিক নামটা কিন্তু হয় ‘ল্যাটিন’ শব্দ। এই ল্যাটিন শব্দ দিয়ে পাখিদের বৈজ্ঞানিক নামটি দেওয়া হয়েছে এবং সারা পৃথিবী এটি অনুসরণ করে।
পৃথিবীতে বিভিন্ন প্রজাতির দোয়েল ও শ্যামা পাওয়া গেলেও আমাদের দেশে মাত্র একটি প্রজাতির দোয়েল এবং একটি প্রজাতির শ্যামা পাওয়া যায়। দেশে যেহেতু একটাই প্রজাতির দোয়েল ও শ্যামা রয়েছে; তাই মুখে বলার সময় তাদের শুধু ‘দোয়েল’ এবং শুধু ‘শ্যামা’ বললেই চলে। কিন্তু লিখতে হলে পুরো নামটা বলতে হবে। আমরা সুস্পষ্টভাবে পাখি দু’টিকে আলাদাভাবে চেনার জন্য ইংরেজি নামের সঙ্গে মিলিয়ে বাংলা নামকরণ করেছি ‘উদয়ী দোয়েল’ এবং ‘ধলা-কোমর শ্যামা’।
এদের খাদ্য তালিকায় রয়েছে বিভিন্ন কীটপতঙ্গ ও পোকা। শ্যামার দৈর্ঘ্য ২৫ সেন্টিমিটার এবং ওজন ৩৩ গ্রাম। এদের পিঠ কালো, পেট লাল ও কোমর সাদা। পুরুষের মাথা, বুক, পিট, ডানা ও লেজ চকচকে কালো এবং পিট ঘন লাল। স্ত্রীর বর্ণ কিছুটা ফিকে। পেট উজ্জ্বল বাদামি-পাটকিলে। লেজের পালকের উপরিভাগ কালো, নিম্নাংশের বেশির ভাগ সাদা, অগ্রভাগ কালো ও হাল্কা বাদামি। লেজের পালকের পাশেই রয়েছে সাদার টান। ঠোঁট হালকা কালো, পা হালকা গোলাপি। চোখের মণি হালকা বাদামি।
স্ত্রী-পুরুষ পাখি দেখতে একই রকম। শ্যামাকে অনেকে দোয়েল বলে ভুল করেন। এদের লম্বা লেজটা না থাকলে এ ভুলটা আরও বেশি বোধ হতো। শ্যামা গায়ক পাখি। কণ্ঠটা ভীষণ মধুর। এরা অন্য পাখিদের কণ্ঠ নকল করতে ওস্তাদ। একেবারে হুবহু নকল করতে পারে। গভীর জঙ্গল এদের পছন্দ। গোসল করে নিয়মিত। বেশ ঝকঝকে দেখায় তাই। রোদ এদের শত্রু। যতটা সম্ভব ছায়া-শীতল স্থানে থাকতে পছন্দ করে।
শ্যামা পতঙ্গভুক পাখি। মাটির পতঙ্গ ওদের বেশি পছন্দ। মাটির ওপর পড়ে থাকা পাতা উল্টিয়ে খাবার খোঁজে। এদের প্রজনন সময় এপ্রিল থেকে জুন। সময়টা এলে পুরুষ পাখি অনবরত মিষ্টি সুরে গান গাইতে থাকে। মিলন শেষে গাছের কোটরে বাসা বানায়। কোটর স্বল্পতার কারণে মাটির কাছাকাছি পেয়ালা আকৃতির বাসা বানায়। বাসার ভেতর ঘাস, লতাপাতা দিয়ে নরম গদি তৈরি করে ডিম পাড়ে। ডিমের সংখ্যা ৩-৪টি। ডিম ফুটতে সময় লাগে ১৩-১৫ দিন।
শ্যামা শুধু বনেই পাওয়া যায়। এরা একেবারে বনের পাখি। নিজের এলাকার গাছের ডালে বসে এলাকাটিকে নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখতে সারাদিন ধরে গান করতে গাইতে থাকে। তবে তার গানের স্বর মৃদু। স্বর শুনে বনে হাঁটার সময় আমরা বুঝতে পারি এটি শ্যামার ডাক। এখন এগুলো আমাদের বনে কমে গেছে।
প্রীতি / প্রীতি

সুফি ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, ভাবাদর্শ প্রতিষ্ঠার ১ যুগ পার করল সুফি স্পিরিচুয়াল ফাউন্ডেশন

ব্যতিক্রমী ধারার আলো নেভার পথে

টেকসই কৃষির জন্য চাই জৈব বালাইনাশক

ঈদযাত্রা হোক দুর্ঘটনামুক্ত

রমজানে ভ্রমণে যে বিষয় মেনে চলা জরুরি

সুস্থ থাকার জন্য কেমন পানির ফিল্টার নির্বাচন করবেন

সাপের ক্ষিদে মেটাতে পাখিশূন্য দ্বীপ

একদিনের ট্যুরেই ঘুরে আসুন চীনামাটির পাহাড়ে

আধ্যাত্মিকর যাত্রা পথে সুফি মেডিটেশন এর গুরুত্ব

খাজা ওসমান ফারুকীর কুরআন দর্শন

খাজা ওসমান ফারুকীর সুফি তত্ত্বের নিদর্শন

'আরএনএস রাজিম একজন সফল ফ্রিল্যান্সার ও উদ্যোক্তার গল্প'
