ঢাকা বুধবার, ২৭ আগস্ট, ২০২৫

হোল্ডিং নাম্বার ও ট্যাক্সের নামে বাণিজ্যের অভিযোগ


বাঁশখালী প্রতিনিধি photo বাঁশখালী প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ৬-১২-২০২২ দুপুর ৩:৩৯

চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে চলছে হোল্ডিং নাম্বার ও ট্যাক্স আদায়ের নামে বাণিজ্য,অনিয়ম যেন লোকচক্ষুর অন্তরায়।হোল্ডিং নাম্বার ও ট্যাক্স আদায়ে অতিরিক্ত টাকা হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে।

৫ ডিসেম্বর(সোমবার)হোল্ডিং নাম্বার ও ট্যাক্স আদায় নামে বাণিজ্যের অভিযোগ নিয়ে স্থানীয় সচেতন মহল জুড়ে চলছে নানান আলোচনা-সমালোচনা,হোল্ডিং নাম্বার ও ট্যাক্স আদায় নামে বাণিজ্য চলমান থাকলেও দেখার কেউ নেই পুরো বাঁশখালীতে,গত কয়েকদিন যাবত ট্যাক্স আদায়ের নামে উপজেলার সাধনপুরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে স্থানীয় বসবাসরত মানুষের ঘরে ঘরে গিয়ে হোল্ডিং নাম্বার ও ট্যাক্স আদায়ে স্থানীয় গ্রাম পুলিশদের সাথে নিয়ে বেসরকারি সংস্থার কিছু লোকজনের দৌঁড়াত্ব দেখা যায়।

ঘরপ্রতি আদায় করছে ৮শ থেকে ১ হাজার টাকারও বেশি।সরকার দেশের মানুষের দূঃখ দূর্দশার বিবেচনা করে দেশজুড়ে প্রদান করছে বয়স্ক ভাতা,বিধবা ভাতা, পুঙ্গ ভাতাসহ আরো বহু অর্থ সহয়তা কিন্তু এরই মধ্যে বাঁশখালীর বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে প্রতিটি ঘরের মালিকদের কাছ থেকে হোল্ডিং নাম্বার প্রদানের নামে ট্যাক্স আদায় বাণিজ্য।আর এই ট্যাক্স আদায় কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার লোকজন।

এই ট্যাক্স বাণিজ্য সংক্রান্তে পুরোপুরি জ্ঞাত নন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি মহল।কেন বা কিসের ট্যাক্স সেটার কোন সঠিক তথ্যও নেই,অথচ ঘর প্রতি সর্বনিম্ন ২শ থেকে শুরু করে ৮শ টাকা আদায় করছে আদায় কারীরা,সুযোগ বুঝে ঘর প্রতি ১ থেকে দেড় হাজার টাকাও হাতিয়ে নিচ্ছে তারা।এমন অভিযোগও ভুক্তভোগীদের।বিনিময়ে ঘর মালিকদের কাছ থেকে এই টাকা আদায় করে যাচ্ছে।বিনিময়ে ঘর মালিকদের দিচ্ছে টাকা আদায়ের নীল রংয়ের একটি রশিদ।

এব্যাপারে সাধনপুর ইউপির ১ নং ওয়ার্ডের মেম্বার মশিউর রহমান ও ৪ নং ওয়ার্ডের মেম্বার দেলোয়ার হোসেন জানান ডিজিটাল হোল্ডিং নাম্বার ও  ট্যাক্স আদায় বাবত যে টাকা আদায় করা হচ্ছে তা সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক আদায় করা হচ্ছে,এবিষয়ে সচিব, উপসচিব  এবং ইউনও সহ সবাই অবগত আছে,আর যারা আদায় করছে তারা ইউনিয়ন পরিষদ কতৃক অনুমোদিত লোক,পরিষদ একটি বালাম বই থাকবে,সেখানে ট্যাক্সদাতাদের নাম ঠিকানা ও মোবাইল নাম্বারসহ থাকবে।ইউনিয়ন পরিষদের সাথে একটা চুক্তি হয়েছে সেই চুক্তির ভিত্তিতে আদায় করা হচ্ছে বলে জানান তারা।

কোন ধরনের চুক্তি হয়েছে? জানতে চাইলে ইউপি সদস্যরা জানান এবিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদে মিটিং হয়েছে এই মিটিং সিদ্ধান্ত হয়েছে যে কুড়ে ঘর প্রতি ১শ টাকা,সেমিপাকা ঘর প্রতি ২শ টাকা এবং ২/৩তলা বিশিষ্ট ঘর প্রতি ৩শ টাকা করে আদায় করা হচ্ছে।বকেয়া বাবত যে টাকা আদায় করছে তা কিসের? তখন মেম্বার দেলোয়ার বলেন হয়তো আগের বছরের বকেয়া আছে তাই হতে পারে, তবে এবিষয়ে জানেননা বলে জানান মেম্বার দেলোয়ার।

এই ব্যাপারে সাধনপুর ইউপি চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন কামাল বলেন,হোল্ডিং ট্যাক্স আদায়ের বিষয়ে জানতে চাইলে আপনি অফিসে আসিয়েন,এই বিষয়ে আরো কয়েকজন সাংবাদিক ফোন দিয়েছিল তাদেরকে আমি চিনিনা তবে কে করাচ্ছে তা জানি।

ইতিপূর্বে বাঁশখালীতে ভোটার হালনাগাদ কালীন সময়ে নতুন ভোটারদের কাছ থেকে চৌকিদারি ট্যাক্স হিসেবে জনপ্রতি ২০০-৩০০ টাকা করে আদায় করা হয় প্রতিটি ইউনিয়নে।একই পরিবারের একাধিক সদস্য নতুন ভোটার হিসেবে ভোটার আবেদন করাকালীন সময়ে প্রতি সদস্যদের কাছ থেকে আদায় করা হয়েছে ওই চৌকিদারি ট্যাক্স,এরই মধ্যে নতুন ভাবে আদায় করা হচ্ছে হোল্ডিং নাম্বার প্লেট ও হোল্ডিং ট্যাক্স।

এবিষয়ে একজন বিজ্ঞ- আইনজীবী বলেন, স্থানীয় সরকার অধিনে ইউনিয়ন পর্যায়ে চৌকিদারি ট্যাক্স আদায় করে থাকে,তাও নির্দিষ্ট নিয়ম মোতাবেক, হোল্ডিং নাম্বার প্লেট হয়তো সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভা এলাকায় থাকে কিন্তু ইউনিয়ন পর্যায়ে তা কখনো ছিলোনা,বিগত ২০০৪ সালের পর থেকে কিছু কিছু এলাকায় এই অভিযোগ শুনেছি,এখন নতুন ভাবেই আবারও শুনা যাচ্ছে,সেটা আইনগত কতটুকু গ্রহণযোগ্য তা আইন না দেখে সঠিক বলা যাচ্ছনা বলে জানান আইনজীবী। 

এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাঈদুজ্জমান চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান হোল্ডিং নাম্বার ও হোল্ডিং ট্যাক্স আদায়ের বিষয়ে আমি অবগত নই,এই বিষয় আপনি ইউপি চেয়ারম্যানদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন, যেহেতু আমি সেই বিষয়ে জানেননা বলে জানান সাঈদুজ্জমান চৌধুরী।

উল্লেখ্য ইতিপূর্বে ২০০৪ সাল থেকে প্রতি পাঁচ বছর পর পর বিভিন্ন বেসরকারি এনজিও সংস্থার লোকজন বিভিন্ন ইউনিয়নের প্রতিটি ঘরে ঘরে এসে ৫০-১৫০/- টাকা বা তার চেয়ে আরো বেশি টাকা আদায় করে হোল্ডিং নাম্বার প্লেট দিয়ে যায় কিন্তু সেই নাম্বার প্লেটের ইউনিয়ন পরিষদের হোল্ডিং বালামের সাথে কোন মিলামিল ছিলনা,তাতেও স্থানীয় গ্রাম পুলিশ সদস্যরা ও ইউনিয়নের মেম্বার - চেয়ারম্যানরা ট্যাক্স আদায়কারীদের সহযোগীতা করেছিল,আর বর্তমানের ইউনিয়ন পরিষদের লোকজন তাদের সাথে রয়েছে। এতে স্থানীয়দের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে অতিরিক্ত টাকা এমন অভিযোগ স্থানীয়দের।

 

প্রীতি / প্রীতি

দুই সাংবাদিকের উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচী ও প্রতিবাদ সমাবেশ পালিত

পলিথিন ও প্লাস্টিক বর্জন করে চটের ব্যাগ ব্যবহার করুন- কৃষি ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

সোনাগাজীতে পুলিশের বিশেষ অভিযানে গরু চোরসহ গ্রেফতার-০৪, চোরাই গরু উদ্ধার

সীমান্তে বিপুল পরিমান অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার

ভূরুঙ্গামারীতে বিএনপির নেতাদের নামে অপপ্রচারের প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে

রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে এভাবেই নষ্ট হচ্ছে পৌরসভার অর্ধ কোটি টাকার সম্পদ

টাকার বিনিময়ে সনদ বিক্রি, শিক্ষার্থী নেই তবুও চলছে এমপিওভুক্ত কলেজ

জয়পুরহাটে ব্র্যাকের উদ্যোগে ১৩৯ জন গ্রাহকের মাঝে তেলাপিয়া মাছের পোনা বিতরণ

নেছারাবাদে স্থানীয় চার যুবকের সাহসে টাওয়ার থেকে উদ্ধার মানসিক ভারসাম্যহীন যুবক

তারাগঞ্জে ভুল চিকিৎসায় গরুর মৃত্যু, খামারীর লিখিত অভিযোগ

টাঙ্গাইলে স্বর্ণকারের বাড়িতে ডাকাতির মূলহোতা'সহ ৭ ডাকাত গ্রেপ্তার

কুমিল্লায় ভন্ড রাজার বাগের আস্তানা বন্ধের দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল

চট্টগ্রামে ছিনতাইয়ের ঘটনায় চুরি মামলা, উদ্ধারকৃত দুই সিএনজি গায়েব!