ঢাকা শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

লামার ফাসিয়াখালীতে রাত চলে পাহাড় কাটা, প্রসাশন যেন না জানে


ইসমাইল হোসেন, লামা photo ইসমাইল হোসেন, লামা
প্রকাশিত: ১১-১২-২০২২ বিকাল ৫:৪০
লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের আড়াই মাইল নামক স্থানে পাহাড় কাটার মহোৎসব।
লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের আড়াই মাইল নামক স্থানে পাহাড় কাটার মহোৎসব।
বান্দরবান জেলার লামা উপজেলার ফাসিয়াখালী ইউনিয়নে রাত হলেই প্রসাশনের চোখ ফাকি দিয়ে চলছে পাহাড় কাটার মহোৎসব। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে প্রশাসনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে প্রকাশ্যে চলছে পাহাড় কাটা। এতে পাহাড়ের পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য দিন দিন বিপন্ন হচ্ছে, ঝুঁকির মুখে পড়ছেন পাহাড়-টিলায় বসবাসকারী জনগোষ্ঠী। ভারি ভারি যন্ত্রের কোপে সমান করা হচ্ছে পাহাড়। নষ্ট হচ্ছে পরিবেশের ভারসাম্য।
 
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার ফাসিয়াখালী ইউনিয়নে আড়াই মাইল নামক স্থানে সাত একর জায়গায় জুড়ে দেওয়া হয় টিনের ভেড়া। রহস্য জনক টিনের ভেড়ার ভিতরে ডুকতেই দেখা যায় পাহাড় কাটার মহোৎসব। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েক জন স্থানীয় জানান, বিদেশি সংস্থা থেকে হাসপাতাল বানানোর জন্য পাহাড় কাটছে স্থানীয় মেম্বার রহিম ও হাসেম। টিলার মাটি যেভাবে কেটে নেওয়া হচ্ছে তাতে আমাদের জীবন হুমকির মুখে পড়েছে। বর্ষা শুরু হলে যেকোন সময় ধষে পড়বে আমাদের ঘরবাড়ি।
 
সত্যতা যাচাইয়ের জন্য রহিম মেম্বার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি পাহাড় কাটার বিষয়টি শিকার করেন। অনুমতি নেওয়া হয়েছে কিনা প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, অনুমতি কে দিবে! আপনি নিয়ে দিবেন? আপনারা আমরা মিলে সমঝোতার মাধ্যমে তো করে ফেলতে পারি । আর এই জায়গা আমার আমি হাসেম কে বিক্রি করে দিয়েছি, যেহেতু জায়গা আমার ছিলো পাহাড় কাটা দায়িত্ব আমাকে দিয়েছে।বিষয়টি নিয়ে হাসেমের সাথে যোগোযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমিতো মেম্বার ভাইকে দায়িত্ব দিয়েছি। আপনি ওনার থেকে জেনে নিন।
 
ফাসিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর হেসেন বলেন, আমাকে এলাকাবাসী অভিযোগ করেছে রহিম মেম্বার নাকি রাত হলে পাহাড় ও বালু উত্তোলন করে, আমি বিষয়টি উপজেলা প্রসাশনকে জানাবো।লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোস্তাফা জাবেদ বলেন, আমার আসলে বিষয়টা জানা ছিল না আপনার থেকে অবগত হয়েছি। পার্বত্য অঞ্চলে পাহাড় কাটা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ রয়েছে আমরা যদি প্রমাণ পাই তাহলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
 
পরিবেশ অধিদপ্তর বান্দরবানের সহকারি পরিচালক মোঃ ফখর উদ্দিন চৌধুরী বলেনঃ- বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ ধারা ৬ এর (খ) স্পষ্ট বলা হয়েছে যে, কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কতৃর্ক সরকারী বা আধা-সরকারী বা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন বা দখলাধীন বা ব্যক্তিমালিকানাধীন পাহাড় ও টিলা কর্তন বা মোচন করা যাবে না।  আমরা যদি প্রমান পাই সংরক্ষিত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করিব।
 

এমএসএম / প্রীতি

রাণীশংকৈলে শিক্ষক সমিতির সম্মেলন অনুষ্ঠিত

নড়াইলে তারুণ্যের উৎসব অনুষ্ঠিত

বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভেঙে শহীদ আবু সাঈদের ছবি প্রতিস্থাপন

শিবগঞ্জে বকেয়া টাকা চাওয়ায় দোকানীকে কুপিয়ে জখম

দুমকিতে শিক্ষকদের বন্ধনে ক্রিকেট টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত

আ.লীগের মাস ব্যাপী কর্মসূচির প্রতিবাদে কোনাবাড়ি থানা ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল

এস আলম গ্রুপের শ্রমিক দিয়ে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপি কমিটির বিরুদ্ধে মানববন্ধন

বাঁশখালীতে সাজা-পরোয়ানার পলাতক আসামী জ্যাকর গ্রেফতার

অপহৃত কাঠুরিদের মুক্তিপণ দাবি,আতঙ্কের হাজারো মানুষ

ছাত্রলীগের বিচার চেয়ে নাগরপুরে ছাত্রদলের স্মারকলিপি

শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞানমনস্ক হতে হবে : সিলেট বিভাগীয় কমিশনার

মাদারীপুর জেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয় ভাংচুর

ইসলাম ধর্ম কটুক্তি কারী সেই বিএনপি নেতাকে বিএনপির প্রাথমিক সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার