কমিশনার কামাল হোসেনের গ্রেফতারের প্রতিবাদ ও মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন
ঈশ্বরদী পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডে জনপ্রিয় কমিশনার ও যুবলীগ সভাপতি কামাল হোসেন ও অসুস্থ্য ভাতিজা ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি হৃদয়ের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের, গ্রেফতারের প্রতিবাদ ও মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন ও শহরে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার সকালে তীব্র শীতকে উপেক্ষা করে ১ নং ওয়ার্ড এলাকার বিভিন্ন শ্রেণীপেশার প্রায় ৫/৬’শ নারী-পুরুষের পক্ষ থেকে এই বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শৈলপাড়া বারো কোয়ার্টার মাঠ থেকে বের হয়ে শহর প্রদক্ষিন করে। পরে মিছিলকারীরা পাবনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান বিশ^াস ওঈশ্বরদী পৌরসভার মেয়র ইসাহক আলী মালিথার বাড়ির সামনে বিক্ষোভ করে শ্লোগান দেয়।
বিক্ষোভ সমাবেশে এলাকাবাসীরা দাবি করে বলেন, পর পর দুইবারের নির্বাচিত কাউন্সিলর কামাল উদ্দিন বুধবার রাতে ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন না। অনার্স পড়ুয়া ছাত্রলীগ নেতা হৃদয় হোসেনও হত্যার ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত নয়। উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে কামাল উদ্দিন ও হৃদয় হোসেনের নামে মামলা দায়ের এবং তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। এলাকায় কামালের জনপ্রিয়তা ও ভাবমূর্তি বিনষ্টের পাশাপাশি আওয়ামী রাজনীতি ধ্বংসের জন্য মিথ্যাভাবে তাদের ফাঁসানো হয়েছে।
এই হত্যাকান্ডের সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক প্রকৃত আসামীদের গ্রেফতার এবং নির্দোষীদের মুক্তির দাবি জানানো হয়। কাউন্সিলর কামাল উদ্দিনের স্ত্রী শারমিন সুলতানা স্বপ্না, রেখা খাতুন, রীমা খাতুন প্রমূখ এসময় বক্তব্য রাখেন। তারা অভিযোগ করে বলেন, বুধবার রাতে বাড়ি থেকে ঐদু’জনকে তুলে নিয়ে যাওয়া হলেও মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে শুক্রবার সকালে।
এ বিষয়ে ঈশ্বরদী পৌরসভার মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইসাহক আলী মালিথা বলেন, কাউন্সিলর কামাল উদ্দিন পর পর দুইবারের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। আমি শতভাগ নিশ্চিত হত্যাকান্ডের সাথে কামালের কোন সম্পৃক্ততা নেই এবং ঘটনার ধারে কাছে সে ছিলো না। কি উদ্দেশ্যে কেন যে তার নামে মামলা দায়ের এবং গ্রেফতার হলো তা আমার বোধগম্য নয়। সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রকৃত সত্য উদঘাটনের দাবি জানান তিনি।
উল্লেখ্য,গত ৪ জানুয়ারি রাতে শহরের পশ্চিম টেংরি কড়ইতলা এলাকায় ইঞ্জিনচালিত ভটভটির সঙ্গে এক লেগুনা চালকের গ্লাাস ভাঙ্গা নিয়ে বিরোধের জের ধরে মামুন হোসেন (২৬) নামের এক রিকশাচালক গুলিতে নিহত হয়। একই ঘটনায় রকি হোসেন ও সুমন হোসেন নামের আরও দুজন আহত হন।
বৃহস্পতিবার রাত দেড়টার দিকে নিহত মামুনের মা লিপি খাতুন এ ঘটনায় বাদী হয়ে ঈশ^রদী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
শুক্রবার বিকেলে র্যাব-১২ পাবনা ক্যাম্পে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, মামলা হওয়ার পর র্যাব আসামিদের ধরতে অভিযানে নামে।
শুক্রবার দুপুরে শহরের শৈলপাড়া এলাকা থেকে মামলার প্রধান আসামি কামাল উদ্দিন এবং হৃদয় হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সুজন / সুজন