আউট সোর্সিংয়ের নামে রেলের অর্থ অপচয়
আউটসোর্সিং এর নামে বাংলাদেশ রেলওয়ের কোটি কোটি টাকা লুটপাট করছে একটি সংঘবদ্ধ চক্র। অনভিজ্ঞ মাথা গনা শ্রমিক সাপ্লাই করে সরকারি এই সংস্থা থেকে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মোটা অংকের টাকা উত্তোলন করে নিলেও কাংখিত শ্রম বা সেবা দিতে পারছেনা ওই শ্রমিকেরা। এই জন্য আউট সোর্সিং বন্ধ করে আগের মতো টিএলআর (অস্থায়ী কর্মচারী) পদ্ধতিতে শ্রমিক নেওয়ার দাবি ওঠছে রেলের শ্রমিকদের মাঝে।
আউট সোর্সিং বা ঠিকাদারের মাধ্যমে শ্রমিক নিয়োগের আত্নঘাতি সিদ্ধান্ত পরিহারের দাবীতে রেলমন্ত্রী, রেল সচিব এবং রেলওয়ে মহা পরিচালক বরাবরে গত ২৮ ডিসেম্বর পূর্বাঞ্চলের মহা ব্যবস্থাপকের মাধ্যমে রেলওয়ের রেজিষ্টার্ড ট্রেড ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দ একটি স্মারকলিপি প্রদান করেছেন। বাংলাদেশ রেলওয়ে শ্রমিক কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদের ব্যনারে স্মারকলিপিতে স্বাক্ষর করেছেন জাতীয়তাবাদী রেলওয়ে শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক এম আর মনজু, রেলওয়ে রানিং স্টাফ শ্রমিক কর্মচারী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মুজিবুর রহমান, রেলওয়ে শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সবুর, রেলওয়ে শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, রেলওয়ে এমপ্লয়িজ লীগের সভাপতি কাজী আনোয়ারুল হক, কারিগর পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এসকে বারী, রেল জাতীয় শ্রমিক পার্টির সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান।
এবিষয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ে শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক এম আর মঞ্জু বলেন আউট সোর্সিং এর শ্রমিক সরবরাহ করার জন্য প্রথমত ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়। ঠিকাদাররা মাথাপিছু ক্ষেত্রবিশেষ ৫৫০ ও ৫৭৫ টাকা দৈনিক হাজিরা নিয়ে থাকেন। আর শ্রমিকদের দিয়ে থাকেন মাসে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা অর্থাৎ প্রতি মাসে একজন শ্রমিক থেকে ঠিকাদার নিচ্ছে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা। এভাবে ২৫০০ শ্রমিক থেকে মাসে কয়েক কোটি টাকা আয় করছে কিন্তু সরকার টাকা খরচ করলেও প্রত্যাশিত শ্রম দিতে পারছেনা আউট সোর্সিং এর সেই শ্রমিকরা। কারন ঠিকাদারেরা মুলত জনপ্রতি হিসেব করে শ্রমিক সরবরাহ করে থাকেন। সেখানে সেই শ্রমিকের কোন অভিজ্ঞতা আছে কিনা, সে সেই কাজ করতে পারবে কিনা তা বিবেচনা করা হয়না। আবার ১০ জন অনভিজ্ঞ শ্রমিকও অভিজ্ঞ একজন শ্রমিকের সমান কাজ করতে পারেনা বরং তারা অন্যের কাজে বিঘ্ন ঘটায়। আবার এসব লোক দিয়ে কাজ করানোর ফলে প্রায় সময়ই ঘটে থাকে দুর্ঘটনা। আর এসব শ্রমিকদের কাজের প্রতি কোন দায়বদ্ধতাও থাকেনা, ঠিকমত কাজ করতে কিছু বললে পরেরদিন তাকে আর পাওয়া যায়না সেখানে নতুন একজনকে এনে দেয়া হয় আবার তাকে শিখিয়ে পড়িয়ে নিতে সময়ের অপচয় হয়। যেহেতু রেলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই টেকনিক্যাল বিষয় থাকে তাই কাজের অভিজ্ঞতা থাকাটা জরুরী। টিএলআর পদ্ধতিতে যাদের নেওয়া হয়েছে তারা অনেকদিন ধরেই কাজ করছেন তাদের একটা অভিজ্ঞতা হয়েছে। আবার চাকরী স্থায়ী হতে পারে এই আশায় তারা কাজকে গুরুত্ব দিয়ে থাকে। তাই রেলেকে লোকসানের হাত থেকে বাঁচাতে ও অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে আউট সোর্সিং বন্ধ করে আগের টিএলআর পদ্ধতিতে লোকবল নিয়োগের আহবান জানাচ্ছি।
এই বিষয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ে পুর্বাঞ্চলের মহা ব্যবস্থাপক (জিএম) জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আউট সোর্সিং বন্ধ করে টিএলআর পদ্ধতিতে শ্রমিক নেওয়ার জন্য শ্রমিক নেতারা আমার মাধ্যমে ডিজি মহোদয়ের নিকট স্মারকলিপি দিয়েছেন। আমি তা ফরোয়ার্ড করে দিয়েছি। বিষয়টি অনেক উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্ত তাই এখানে আমাদের কিছু করার নেই। ডিজি মহোদয় হয়তোবা মন্ত্রী মহোদয়ের সাথে কথা কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
এমএসএম / এমএসএম
থামছেই না ছড়াও, দখল করে ভবন নির্মাণ কাজ
বাঁশখালীতে রিক্সা চালক শ্রমিক কল্যাণ ইউনিয়ন নির্বাহী কমিটির বার্ষিক সাধারণ সভা
নোয়াখালীতে যৌন-প্রজনন স্বাস্থ্য ও লিঙ্গ ভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধ সভা
চাঁপাইনবাবগঞ্জ -২ এ,ধানের শীষের কান্ডারী ইঞ্জি: মাসুদ'কে চায় সাধারণ মানুষ ও বিএনপি'র নেতাকর্মীরা
পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে শ্রমিক দলের আহ্বায়ক জুয়েলের বিরুদ্ধে কমিটি বাণিজ্যের অভিযোগ
কাউনিয়ায় মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টায় পিতা পুলিশের হাতে
বাঁশখালীতে জমি বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত, গ্রেপ্তার-৩
নন্দীগ্রামে সিএনজি চালককে অপহরণ ও মুক্তিপণ নিয়ে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ
সুবর্ণচরে আশার আলো সমাজ কল্যাণ সংগঠনের বৃক্ষরোপন কর্মসূচি
সহকারী এটর্নি জেনারেল হলেন পেকুয়ার কেএম সাইফুল ইসলাম
৭ই নভেম্বর উদযাপন ও খন্দকার নাসিরের মনোনয়ন এর দাবিতে মধুখালী বিএনপির জরুরী সভা
ভোলা-১ আসনে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করবে বিজেপি, নির্বাচনি প্রচার ও র্যালী অনুষ্ঠিত