পাটগ্রামে বীর মুক্তিযোদ্ধা নিহতের ঘটনায় মামলা

লালমনিরহাটের পাটগ্রামে বীর মুক্তিযোদ্ধা, অধ্যক্ষ (অবসরপ্রাপ্ত) এম ওয়াজেদ আলী নিহতের ঘটনায় শনিবার দিবাগত রাতে নিহত ওয়াজেদ আলীর ছোট ছেলে রিফাত হাসান বাদী হয়ে পাটগ্রাম থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় ফাতেমা প্রি-ক্যাডেট অ্যান্ড কিন্ডার গার্টেনের সহকারি শিক্ষক ও প্রতিবেশী নাহিদুজ্জামান প্রধান বাবুকে প্রধান (১ নম্বর) এবং অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামী করা হয়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, বীর মুক্তিযোদ্ধা, পাটগ্রাম মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ (অবসরপ্রাপ্ত) ও ফাতেমা প্রি-ক্যাডেট অ্যান্ড কিন্ডার গার্টেনের পরিচালক এম ওয়াজেদ আলী গত শুক্রবার রাত ৯ টা ১৫ মিনিটে ভাগনে পাটগ্রাম উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রুহুল আমীন বাবুলের রসুলগঞ্জ গ্রামের পাটগ্রাম সরকারি হুজুর উদ্দিন বালিকা বিদ্যালয় সংলগ্ন বাড়িতে যান। রাত সাড়ে ৯ টায় ভাগনের বাড়ি থেকে পাটগ্রাম পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের নিউ পূর্বপাড়ার নিজ বাসার দিকে যেতে থাকেন এম ওয়াজেদ আলী। এ সময় একই এলাকার প্রতিবেশী আব্দুস সামাদের ছেলে নাহিদুজ্জামান প্রধান বাবু ও অজ্ঞাতনামা আসামীরা ওয়াজেদ আলীর পথরোধ করে পিঠে, বাম বাহুতে, কপালে ও গলায় ছুরিকঘাত করে। এতে তিনি গুরুত্বর জখম হয়ে মাটিতে পড়ে যান। স্থানীয়রা চিৎকার শুনে ছুটে এসে আহত অবস্থায় ওয়াজেদ আলীকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
ফাতেমা প্রি-ক্যাডেট অ্যান্ড কিন্ডারগার্টেন সূত্র জানায়, নাহিদুজ্জামান প্রধান বাবু ফাতেমা প্রি-ক্যাডেট অ্যান্ড কিন্ডারগার্টেনে ১ বছর আগে সহকারী শিক্ষক হিসাবে যোগ দেন। প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক হিসাবে দায়িত্বে ছিলেন এম ওয়াজেদ আলী। প্রায় ৮-৯ মাস আগে কিন্ডারগার্টেনের একটি শ্রেণির ছাত্র/ছাত্রীদের পরীক্ষার খাতায় নম্বর দেওয়ার জন্য বাড়িতে নিয়ে যায় নাহিদুজ্জামান। এরপর হতে নাহিদুজ্জামান নিয়মিত কিন্ডারগার্টেনে আসত না। একাধিকবার খাতা চেয়ে না দেওয়ায় বাধ্য হয়ে পরিচালক (ওয়াজেদ আলী) তার বাড়িতে গিয়ে খাতা গুলো নিয়ে আসেন। ধারণা করা হচ্ছে, খাতা জমা না দেওয়া বা আনতে গিয়ে পরিচালকের সাথে সহকারি শিক্ষক নাহিদুজ্জামানের তর্ক-বির্তকের ঘটনায় ক্ষোভে এ হত্যাকান্ড ঘটাতে পারে নাহিদুজ্জামান।
শুক্রবার রাতে এ ঘটনার (ওয়াজেদ আলীকে ছুরিকাঘাতের পর) পর থেকে নাহিদুজ্জামানকে এলাকায় পাওয়া যাচ্ছে না। তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরটিও বন্ধ রয়েছে। নাহিদুজ্জামান প্রধান বাবুর মা নুরজাহান বলেন, নাহিদুজ্জামান ছুরি মেরেছে কি না আমরা তো দেখিনি। আমার ছেলে একা এ কাজ করতে পারবে না। ঘটনার দিন সন্ধার পর নাহিদুজ্জামানের সাথে অপরিচিত দুইজন ছেলে আমাদের বাড়ির কাছে এসেছিল। প্রিন্সিপালকে ছুরি মারার পর অনেকে বাবুকে খুঁজতেছিল। এ সময় বাবুর বাবা বাবুকে মোবাইলে কথা বললে সে জানায়, আমি মুন্সিরহাট এলাকায়। ঘটনার সময় ওইখানে উপস্থিত ছিলাম বলে লাইন কেটে দেয়। এরপর থেকে আর যোগাযোগ নাই।
জানতে চাইলে পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক- মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এজাহার নামীয় আসামী ও অজ্ঞাত আসামীদের ধরতে অভিযান চলছে। দ্রুত গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে বলে আশা করছি।
এমএসএম / এমএসএম

গাছের ডালে ঝুলন্ত অবস্থায় ডেকোরেশন কর্মীর লাশ উদ্ধার

কুড়িগ্রারে রৌমারীতে সেচ্ছাসেবক দলের কর্মী সভা অনুষ্ঠিত

চৌগাছায় পনিতে ডুবে আড়াই বছরের শিশু আবু বক্করের মৃত্যু

কালীগঞ্জে দুই মাদক কারবারী আটক

হাতিয়ায় চেয়ারম্যান ঘাট-নলচিরা নৌরুটে নতুন সি-ট্রাক উদ্বোধন

গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথে থাকবো- মোস্তাফিজুর রহমান

রাজশাহীর সেই বহিস্কৃত এসআই ২ দিনের রিমান্ডে

রাজশাহীতে আদিবাসীদের ভয় দেখিয়ে উচ্ছেদের প্রতিবাদে মানববন্ধন

হাসিনার শাসন ইতিহাসের জঘণ্যতম অধ্যায়: অধ্যাপক মুজিবুর রহমান

ছাত্রদলের উগ্র ও সন্ত্রাসী স্লোগানের প্রতিবাদে সাভারে ছাত্রশিবিরের বিক্ষোভ

পটুয়াখালীর জেলের জালে ৪৪ কেজির কোরাল, বিক্রি ৬৬ হাজার টাকায়

কোটালীপাড়ায় পাগলা কুকুরের কামড়ে আহত ১৫, আতঙ্কে এলাকাবাসী

লোহার খাঁচায় বন্দি পায়েরা সেতু
Link Copied