লাইসেন্সের শর্ত ভঙ্গ করে টাওয়ার ইন-এ মদ বিক্রি!
দেশের প্রচলিত আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে লাইসেন্সের শর্ত ভঙ্গ করে মদ বিক্রি করছে নগরের জুবিলী রোডে অবস্থিত টাওয়ার ইন হোটেলে। পারমিট ছাড়াই যারতার হাতে তুলে দিচ্ছে মদের বোতল। মদের সহজলভ্যতার ফলে এই নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ছে স্কুল কলেজে পড়ুয়া শিক্ষার্থী ও যুবসমাজ। আর বিক্রির হিসাবে কাটছাট করে রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে বিরাট অংকের টাকা। এসব দেখবালের জন্য নিয়োজিত সরকারি সংস্থা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের নজরদারি থাকার কথা থাকলেও মাসিক উৎকোচের বিনিময়ে তারা তা নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা না করে উল্টো অপকর্মে সহায়তা করছে বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন মদ বিক্রয়ের সাথে জড়িত একাধিক ব্যাক্তি।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সুত্রে জানা যায়, নগরীর জুবিলী রোডে অবস্থিত হোটেল টাওয়ার ইন এ আবস্থিত রেস্টুরেন্টে আগত কাস্টমারদের কাছে মদ বিক্রির অনুমতি রয়েছে। কিন্তু পারমিট না থাকা কোন ব্যাক্তির মদ বিক্রি না করতে সুনির্দিষ্টভাবে বলা হয়েছে। গান পরিচালনা করার জন্যও লাগবে অনুমতি আবার রেস্টুরেন্ট বার থেকে পার্সেলও বিক্রি করা যাবেনা। যে পারমিটের বিপরীতে যে পরিমান মদ বিক্রি করবে তা ওই পারমিটে অন্তর্ভুক্ত করে রাখার বাধ্যাদকতা রয়েছে। আর এসব কাজগুলো ঠিকমতো করছে কিনা তা দেখার জন্য মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের নির্ধারিত কর্মকর্তাও আছে। কিন্তু তা কাগজে কলমেই সীমাবদ্ধ। বাস্তবে এই নিয়মগুলো না মানছে মদের ক্রেতা ও ব্যবসায়ীরা, না মানছে খোদ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।
এসব ব্যপারে জানতে সাংবাদিকের পরিচয় গোপন করে হোটেল টাওয়ার ইন’র বারে গিয়ে দেখা যায় অনুমতি না থাকা সত্ত্বেও নারী শিল্পীদের দিয়ে গানের অনুষ্ঠান পরিচালনা করা হচ্ছে। মদপান করতে আসা ব্যক্তিদের কাছে পারমিটের ব্যপারে কোন কিছু জিজ্ঞাসা না করেই ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী মদের গ্লাস তুলে দিচ্ছে নির্দ্বিধায়। অনেকে মদপান করে মাতাল হয়ে শিল্পীদের বখশিশের নামে দু’হাতে টাকা খরচ করে চলছেন। আবার কিছুক্ষণ নিচে দাঁড়ালেই চোখে পড়ছে পার্সেল বিক্রির দৃশ্য। সেখানেও মানা হচ্ছেনা শর্ত যে কেউ টাকা দিলেই তাদের হাতে তুলে দিচ্ছে মদের বোতল। এতে আইনের ব্যত্যয় ঘটলেও তাদের যেন তাতে কিছই এসে যায়না।
এব্যপারে ছদ্মবেশে বারের কয়েকজন পরিবেশকের সাথে কথা বললে তারা জানায়, এখানে আইন মেনে কেউ মদের ব্যবসা করেনা। আইন মেনে ব্যবসা করলে রেস্টুরেন্টের ভাড়ার টাকাও তুলতে পারবেনা। তাহলে আইন না মেনে ব্যবসা করলে আপনাদের কোন সমস্য হয় কিনা জানতে চাইলে তারা বলেন, এখানে কে সমস্যা করবে? মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের দায়িত্বশীল ব্যক্তি থেকে শুরু করে সাংবাদিক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নিয়মিত উৎকোচ দিয়ে ব্যবসা করি।
এব্যপারে জানতে চাইলে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর চট্টগ্রামের বিভাগী অতিরিক্ত পরিচালক মজিবুর রহমান পাটোয়ারী বলেন, লাইসেন্সের শর্ত ভঙ্গ করে ব্যবসা করার কোন সুযোগ নাই। যদি এমনটি হয়ে থাকে তবে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে যেহেতু মেট্রো এলাকার দেখাশোনা করেন উপপরিলক, আপনি তার সাথে একটু কথা বলতে পারেন।
এব্যপারে জানতে চাইলে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মেট্রো কার্যালয়ের উপপরিচালক মুকুল জ্যোতি চাকমা মাসিক উৎকোচ গ্রাণের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমরা কোন অনিয়মকে সমর্থন করিনা এবং কারো কাছ থেকে কোন মাসোয়ারাও গ্রহণ করছিনা। যদি কেউ বলে থাকে তবে তা সেটা তাদের ব্যপার। আর হোটেল টাওয়ার ইন নয় যেকোন প্রতিষ্ঠানই যদি লাইসেন্স এর শর্ত ভঙ্গ করে তবে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এমএসএম / এমএসএম
থামছেই না ছড়াও, দখল করে ভবন নির্মাণ কাজ
বাঁশখালীতে রিক্সা চালক শ্রমিক কল্যাণ ইউনিয়ন নির্বাহী কমিটির বার্ষিক সাধারণ সভা
নোয়াখালীতে যৌন-প্রজনন স্বাস্থ্য ও লিঙ্গ ভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধ সভা
চাঁপাইনবাবগঞ্জ -২ এ,ধানের শীষের কান্ডারী ইঞ্জি: মাসুদ'কে চায় সাধারণ মানুষ ও বিএনপি'র নেতাকর্মীরা
পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে শ্রমিক দলের আহ্বায়ক জুয়েলের বিরুদ্ধে কমিটি বাণিজ্যের অভিযোগ
কাউনিয়ায় মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টায় পিতা পুলিশের হাতে
বাঁশখালীতে জমি বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত, গ্রেপ্তার-৩
নন্দীগ্রামে সিএনজি চালককে অপহরণ ও মুক্তিপণ নিয়ে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ
সুবর্ণচরে আশার আলো সমাজ কল্যাণ সংগঠনের বৃক্ষরোপন কর্মসূচি
সহকারী এটর্নি জেনারেল হলেন পেকুয়ার কেএম সাইফুল ইসলাম
৭ই নভেম্বর উদযাপন ও খন্দকার নাসিরের মনোনয়ন এর দাবিতে মধুখালী বিএনপির জরুরী সভা
ভোলা-১ আসনে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করবে বিজেপি, নির্বাচনি প্রচার ও র্যালী অনুষ্ঠিত