ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এ কে এম গোলাম রব্বানীর বিশেষ উদ্যোগে সৌন্দর্য ফিরে পেয়েছে টিএসসি

ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক কার্যকলাপ কেন্দ্র। শিক্ষক-শিক্ষিকা, ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে একাডেমিক শিক্ষা ও জ্ঞানের পাশাপাশি অন্যান্য জ্ঞান, সুকুমারবৃত্তির চর্চা প্রয়োজনে ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা লাভ করে।
১৯৬১ সালে কার্জন হলের ক্ষুদ্র পরিসরে টিএসসির কর্মকাণ্ড শুরু হয়। গ্রিসের বিশ্বখ্যাত নকশাকারী প্রতিষ্ঠান ডকসিয়াডিস অ্যাসোসিয়েটস কনসালট্যান্ট লিমিটেড এথেন্সের নকশা ও পরিকল্পনা অনুযায়ী ৩.৭০ একর জায়গায় টিএসসি কমপ্লেক্সের নির্মাণ কাজ শুরু করে। তদানীন্তন পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকার ও যুক্তরাষ্ট্রের ফোর্ড ফাউন্ডেশনের আর্থিক সহযোগিতায় কেন্দ্রটি প্রতিষ্ঠিত হয়। ভবনটির নির্মাণ কাজ শেষ হয় ১৯৬৬ সালে। টিএসসির মূল কার্যক্রম শুরু হয় মূলত ১৯৬৭-৬৮ থেকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণকেন্দ্র টিএসসিতে রয়েছে সংস্কৃতি চর্চার জন্য অত্যাধুনিক অডিটোরিয়াম, একটি মাঠ ও অনেকগুলো সাংস্কৃতিক সংগঠন। অতিরিক্ত যানজট, বহিরাগতদের আনাগোনা, ভাসমান দোকান এই সবকিছু মিলেই টিএসসি যেন তার সৌন্দর্য হারিয়ে ছিলো, অবশেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের বিশেষ উদ্যাগে প্রাণ ফিরে পেল টিএসসি। টিএসসিতে প্রায়ই আমরা লক্ষ্য করতাম বিভিন্ন রকমের খাবারের দোকান, মূলত টিএসসির চারপাশে বসানো ভ্রাম্যমাণ এই সকল খাবারের দোকানের কারণে টিএসসির রাস্তায় প্রচন্ড যানজট সৃষ্টি হতো, এই যানজটের ভোগান্তির স্বীকার হতে হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের, এক হলে থেকে আরেক হলে যেতে ভীষণ সময়ক্ষেপণ হতো, বিষয়টি সকলকে নজরে আসলেও এই বিষয় নিয়ে কারো কোনো মাথাব্যথা ছিলো না৷ অবশেষে দীর্ঘ যানজট, ভাসমান দোকান এবং টিএসসির সৌন্দর্য বর্ধনে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর গোলাম রব্বানী স্যারের বিশেষ উদ্যোগে প্রক্টরিয়াল টীম টিএসসির ভাসমান সকল দোকান অপসারণ করেন, ভাসমান দোকানগুলো অপসারণের কারণে সৌন্দর্য ফিরে পেয়েছে টিএসসি। নেই কোনো যানজট, নেই কোনো ক্লান্তি অবশেষে মনে হয় প্রাণ ফিরে পেল টিএসসি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী দৈনিক সকালের সময়কে বলেন, " ভাসমান দোকানের কারণে টিএসসির রাস্তাগুলো সরু হয়ে যেতো, টিএসসিতে সন্ধ্যার পর আসতেও অনেক সময় লাগতো, এখন সকল ভাসমান দোকান তুলে দেওয়ায় রাস্তায় ঠিকভাবে চলাচল করা যাচ্ছে এবং টিএসসির পরিবেশ সুন্দর লাগতেছে। আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর গোলাম রব্বানী স্যারসহ টিএসসির সৌন্দর্য বর্ধনের সাথে সম্পৃক্ত প্রত্যেককে ধন্যবাদ জানাই।"
সরেজজমিনে গিয়ে দেখা যায়, টিএসসির সেই দীর্ঘযানজট আর নেই, নেই টিএসসির ভাসবান সেই দোকানগুলো, চারপাশের পরিবেশ ছিলো ফাঁকা।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর গোলাম রব্বানী দৈনিক সকালের সময়কে বলেন, " ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীদের জন্যই আমরা কাজ করি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে সবসময় আমরা কাজ করে গেছি এবং ভবিষ্যতে কাজ করে যাবো।
এমএসএম / এমএসএম

মাতামুহুরি নদীতে গোসলে নেমে সাবেক চবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু

রাজনৈতিক দুষ্টচক্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দখলে নিয়েছে: শিক্ষা উপদেষ্টা

শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় এনটিআরসিএর বড় সিদ্ধান্ত

সাইবার বুলিং ও নিরাপত্তাহীনতায় চাকসু নির্বাচনে সীমিত নারী প্রার্থীর অংশগ্রহণ

বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর লক্ষাধিক টাকার টাইলস আত্মসাত

পিডি নিয়োগে প্রথম হয়েও বাদ শেকৃবি অধ্যাপক , নিয়ম ভেঙে প্রকল্প পেলেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা

পবিপ্রবির নতুন উদ্যোগে নারী শিক্ষার্থীদের জন্য স্থায়ী নামাজ রুম

ডিআইইউতে আন্তর্জাতিক সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন সম্পন্ন

গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তিপূর্ণ ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ভিপি মৃদুল, জিএস রায়হান

আইএফপিআরআই ও সার্ক কৃষি কেন্দ্রের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর

ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি'তে শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক সম্মেলন BIM 2025

চাকসু নির্বাচনে ব্যালট নম্বর প্রকাশ, আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু
