এক বছরে ৩৫৯৫২ মামলা নিস্পত্তি করেছে চট্টগ্রামের সিএমএম আদালত
বিচার সংশ্লিষ্ট লোকবল সংকট, নানা কারনে তদন্তে দীর্ঘ সুত্রিতা, বাদী-সাক্ষীর গড় হাজিরা সহ নানা জটিলতা সত্ত্বেও গত এক বছরে (২০২২ সালে) ৩৫৯৫২ টি মামলা নিস্পত্তি করে, রেকর্ড সৃষ্টি করেছে চট্টগ্রামের সিএমএম আদালত। ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ পর্যন্ত হিসেব অনুযায়ী বিচারাধীন আছে ৫০,৯২৩টি মামলা, আর বিচারক আছে মাত্র ৮ জন। চট্টগ্রামের সিএমএম আদালতের নাজির আবুল কালাম আজাদ এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সিএমএম আদালত সুত্রে জানা গেছে, চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, চট্টগ্রাম এর অধীনে মাত্র ৮ জন ম্যাজিস্ট্রেট ২০২২ সালে ৩৫,৯৫২টি মামলা নিষ্পত্তি করেছেন। ২০২০ ও ২০২১ সালে কোভিড-১৯ জনিত কারণে নির্বিঘ্নে কাজ করতে না পারায় ২০১৯ সালে ভিত্তি বছর ধরে কাজ করা হয়। বছর শেষে পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০১৯ সালে ৩৩,০১৭টি মামলা নিষ্পত্তি হলেও ২০২২ সালে নিষ্পতির সংখ্যা ৩৫৯৫২টি মামলা। অর্থাৎ এক বছরে নিষ্পত্তি বেড়েছে ২৯৩৫টি মামলা। পাশাপাশি ২০২২ সালে এই আদালতে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৪,৩১,৩৭,৬৭৮ টাকা। তাছাড়া, ২০১৯ সালে ৭২৯১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। অন্যদিকে, ২০২২ সালে ২২১৮৪ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। অধিকন্তু, মামলা গ্রহণের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করায় ২০১৯ সালে তুলনায় ১৬০৫টি মামলা কম দায়ের হয়েছে ।
এব্যপারে সিএমএম আদালতের নাজির আবুল কালাম আজাদ বলেন, চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেটবৃন্দ অধিক সংখ্যক মামলা নিষ্পত্তি করে জনগণের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিতে কাজ করেছেন। কোভিড-১৯ জনিত পরিস্থিতিতেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিজ্ঞ বিচারকগণ নিয়মিত আদালতে নিরলসভাবে কাজ করেছেন এবং অদ্যাবধি কাজের ধারা অব্যাহত আছে। মাননীয় প্রধান বিচারপতি মহোদয় গত ১৯ জানুয়ারি ২০২২ সালের একটি আদেশমূলে ২৭ জানুয়ারির ০৫/২২ নং বিজ্ঞপ্তিমূলে দেশের ৮টি বিভাগের প্রত্যেক বিভাগের জন্য হাইকোর্ট বিভাগে কর্মরত একজন মাননীয় বিচারপতির সমন্বয়ে ”মনিটরিং কমিটি ফর সাব অরডিনেট কোর্টস” গঠন করেছে। বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট, হাইকোর্ট বিভাগের মাননীয় বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লা মহোদয়কে চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্ব প্রদান করেছেন।
চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিচারপতি মহোদয়ের তদারকি ও মূল্যবান দিক-নির্দেশনায় সিএমএম আদালতের ম্যাজিস্ট্রেটবৃন্দের কাজে নতুন গতির সঞ্চার করেছে। তবে কিছু প্রতিবন্ধকতাও আছে, এগুলোর সমাধান হলে কাজের গতি আরো বাড়বে বলে আশা করছি।
মামলা নিষ্পত্তিতে প্রতিবন্ধকতাসমূহ:
আদালতের স্বল্পতাঃ
সিএমএম আদালতে এই মুহূর্তে বিচারকাজ ও মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে প্রধান প্রতিবন্ধকতা হচ্ছে বিচারক সংকট। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকার ১৬ টি থানা চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এর আওতাধীন। কিন্তু এখানে সর্বমোট ম্যাজিস্ট্রেট কর্মরত আছেন মাত্র ৮ জন। এখানে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ৫০৯২৩টি। এর মধ্যে আমলী ফাইলে মামলার সংখ্যা ২০১৬৭টি এবং বিচার ফাইলে মামলার সংখ্যা ৩০৭৫৬টি। ফলে, গড়ে ম্যাজিস্ট্রেট প্রতি মামলার সংখ্যা ৬৩৬৫টি। আমলী ফাইলে গড়ে ম্যাজিস্ট্রেট প্রতি মামলার সংখ্যা ২৫২১টি। বিচার ফাইলে গড়ে ম্যাজিস্ট্রেট প্রতি মামলার সংখ্যা ৩৮৪৪টি। আমলী ফাইলে এই বিপুল সংখ্যক মামলা নিয়ে ম্যাজিস্ট্রেটদেরকে দীর্ঘ সময় কাজ করতে হয়। ফলশ্রুতিতে, বিচার ফাইলের মামলায় পর্যাপ্ত সময় দেওয়া যায় না এবং ডায়েরিতেও স্থান সংকুলান হয় না। এমতাবস্থায় একেকটি মামলায় ৮/৯ মাস পরপর তারিখ পড়ে। এখানে উল্লেখ্য যে, ২০২২ সালে চট্টগ্রাম সিএমএম আদালতে সর্বমোট ৩৮৪৬৫টি মামলা দায়ের হয়েছে। এই বিপুল সংখ্যক মামলায় অভিযোগকারীর জবানবন্দি গ্রহণ, তদন্ত প্রতিবেদন যাচাই ও নারাজি দরখাস্ত নিষ্পত্তি, জামিন শুনানী, রিমান্ড শুনানী, জিম্মা দরখাস্ত শুনানী, ১৬৪ ধারা ও ২২ ধারায় জবানবন্দি লিপিব্ধকরণ ইত্যাদি বিভিন্ন কাজে অনেক সময় ব্যয় হয়। তাছাড়া, টিআই প্যারেড, মাদক ধ্বংসকরণ ও এফিডেভিড এর কাজেও ম্যাজিস্ট্রেটগণ নিয়োজিত থাকেন। ফলে, বিচার ফাইলের মামলায় এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে এবং যথাসময়ে বিচারকাজ শেষ করা অসম্ভব হয়ে পড়ে। প্রত্যেক ম্যাজিস্ট্রেটের গড়ে ৬৩৬৬ টি করে মামলা রয়েছে বিচার ও আমলী আদালতে। এটা অত্র ম্যজিস্ট্রেসী তো অবশ্যই, মাথাপিছু বিচারক হিসেবে সম্ভবত সর্বোচ্চ সংখ্যক মামলা। জুডিসিয়াল ম্যাজিট্রেট কোর্ট চট্টগ্রামে চৌকি আদালতসহ মামলার পরিমাণে ম্যাজিস্ট্রেট প্রতি মামলার হার ১০০০ টির মতো। বিগত ১০ বছরে সিএমএম কোর্ট চট্টগ্রামে কোন আদালতে পদ সৃষ্টি হয়নি, অন্যদিকে সম্প্রতি চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিট্রেট কোর্ট চট্টগ্রামে ২টি পদ সৃজন করা হয়েছে। বিপুল পরিমাণ আমলী মামলার কাজগুলো নিষ্পত্তি হিসেবে বিবেচিত হয়না। তবে সিএমএম কোর্টে প্রতিদিন ১৬টি থানার জি.আর ও সি.আর মামলার আমলী বিষয়- জামিন শুনানী, নারাজী শুনানী, রিমান্ড শুনানী, আসামী ও সাক্ষীর জবানবন্দী গ্রহণ ইত্যাদি কাজে মূল সময় ব্যয় হয়; তাই কেবল মামলা নিষ্পত্তির সংখ্যা দিয়ে ম্যাজিস্ট্রেদের কাজের পরিমাণ নির্ণয় করা যাবে না। সিএমএম হিসেবে প্রতিদিন মাননীয় হাইকোর্ট বিভাগের বেইল বন্ড সম্পাদনে প্রায় ২ ঘন্টা সময় ব্যয় হয়। প্রশাসনিক কাজ আলাদা ভাবে করতে হয়। গ্রাম আদালত আইন, ২০০৬ ও পৌর মীমাংসা বোর্ড আইন মহানগর এলাকাগুলোতে কার্যকর নয়। এ কারণে পেনাল কোডের ৩২৩, ৫০৬, ৪২৭ ধারাসহ কম শান্তির মামলাগুলো মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটগণকে বিচার করতে হচ্ছে। গ্রাম আদালত কর্তৃক বিচার্য মামলার পরিমাণ এ মুহূর্তে সিএমএম আদালতে ১০ হাজারের বেশী। ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২২ সালে মামলা দায়েরের পরিমাণ কিছুটা কমেছে কারণ একই অপরাধের ক্ষেত্রে ২টি মামলা যেমন- ডাকাতির প্রস্তুতি ও অস্ত্র আইনের অধীনে মামলা দায়ের আমরা কিছুটা কমাতে সক্ষম হয়েছি।
এফিডেভিট আরেকটি কাজ যা কখনো নিষ্পত্তি হিসেবে বিবেচিত হয় না কিন্তু প্রতিদিন ২ জন ম্যাজিস্ট্রেটকে কমপক্ষে ২ ঘন্টা করে সময় দিতে হয় এর পেছনে। প্রতিদিন সিএমএম আদালতে সি. আর ও জি.আর মামলা দায়েরের পরিমাণ প্রায় ১৩০ টি। সে অনুযায়ী মামলা বৃদ্ধি রোধ করতে প্রত্যেক ম্যাজিস্টেটকে প্রতিদিন ১৬.২৫টি মামলা নিষ্পত্তি করতে হবে, যা বাস্তবিকভাবে দুরুহ।
সহায়ক কর্মচারী সংকট:
সিএমএম আদালতে এই মুহূর্তে ৭৬ জন সহায়ক কর্মচারী রয়েছে। এর মধ্যে প্রতিটি আদালতে একজন বেঞ্চ সহকারী, একজন অফিস সহায়ক ও একজন স্টেনো টাইপিস্ট রয়েছেন। প্রতিটি আদালতে গড়ে ৬৩৬৫টি মামলার বিপরীতে মাত্র ৩ জন সহায়ক কর্মচারী অপ্রতুল। ৩ জন সহায়ক কর্মচারীর মাধ্যমে এই বিপুল সংখ্যক মামলায় যথাযথভাবে “কেস ম্যানেজমেন্ট” অত্যন্ত কঠিন।
তদন্তে দীর্ঘসূত্রিতা
অনেক মামলায় লক্ষ্য করা যায় যে, বছরের পর বছর সময় অতিবাহিত হলেও তদন্ত প্রতিবেদন সময় মতো দাখিল করা হয় না। ফলে, মামলার গতি শুরুতেই মন্থর হয়ে যায়। মেডিকেল সনদ, ডিএনএ রিপোর্ট ইত্যাদি দাখিলেও বিলম্ব হয়ে থাকে। সময় মত মেডিকেল সার্টিফিকেট, ময়না তদন্ত প্রতিবেদন, ফরেনসিক, রিপোর্ট যথাসময়ে পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে অনেক মামলার প্রতিবেদন দাখিলে বিলম্ব হচ্ছে। বিশেষ করে ধর্ষণের মামলায় ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্ট প্রাপ্তিতে বিলম্ব হওয়ায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলেও বিলম্ব হয়।
সাক্ষীর অনুপস্থিতি:
সমন জারী, গ্রেফতারী, হুলিয়া ও ক্রোকি পরোয়ানা (পিএন্ডএ), সাক্ষীর প্রতি সমন, সাক্ষীর প্রতি ওয়ারেন্ট তামিলে বিদ্যমান সমস্যা মামলা নিষ্পত্তিতে দীর্ঘসূত্রিতা সৃষ্টি করছে। তাছাড়া, সিএমএম আদালতের সাক্ষীরা বেশিরভাগ মহানগর এলাকার অস্থায়ী বাসিন্দা হওয়ায়, ঠিকানা পরিবর্তনের কারণে পরবর্তীতে এই ধরণের সাক্ষীদের হাজির করা কঠিন হয়ে যায়।
অপর্যাপ্ত 'লজিস্টিক সাপোর্ট:
পর্যাপ্ত 'লজিস্টিক সাপোর্ট' অধিক সংখ্যক মামলা নিষ্পত্তি ও বিচারকাজে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। চট্টগ্রাম সিএমএম আদালতে গত ২ বছর যাবৎ বিচারকদের যাতায়াতের জন্য কোনো গাড়ি নেই। ফলে, সময় মতো অফিসে উপস্থিত হওয়ার ক্ষেত্রে ও বাসায় ফেরার পথে বিজ্ঞ বিচারকগণ ভোগান্তির শিকার হন।
পক্ষদের মামলা ধরে রাখার প্রবণতা:
চট্টগ্রাম সিএমএম আদালত বিচারাধীন মামলার পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে ও বিচারকাজ পরিচালনাকালে লক্ষ্য করা গিয়েছে অনেক মামলায় পক্ষগণের মধ্যে মামলা ধরে রাখার প্রবণতা আছে। ফলে, যেকোনো মামলা নিস্পত্তিতে সময় ক্ষেপণ হচ্ছে।
উল্লেখ্য জনগণের কাঙ্খিত ন্যায়বিচার নিশ্চিত ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ১৯৭৯ সালে চট্টগ্রাম চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের যাত্রা শুরু হয়। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের ১৬ টি থানা চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের আওতাধীন। আদালত সমূহের বিচারকদের মধ্যে বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিসের একজন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ, চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) হিসেবে এবং একজন যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ পদমর্যাদার বিচারক অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (এসিএমএম) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তাছাড়া, বিচার বিভাগের সিনিয়র সহকারী জজ পদমর্যাদার ৬ জন বিচারককে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (১ম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট) হিসেবে পদায়ন করা হয়। আদালতের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা এবং জনগণকে আদালত সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সেবা প্রদানের লক্ষ্যে বিভিন্ন বিভাগ রয়েছে। যেমন- নেজারত বিভাগ, হিসাব বিভাগ, অনুলিপি বিভাগ, রেকর্ড বিভাগ, স্টোর বিভাগ, লাইব্রেরী বিভাগ। প্রতিটি বিভাগের দায়িত্বে একজন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের সাথে সহায়ক কর্মচারীগণ নিয়োজিত রয়েছেন। বর্তমানে অত্র ম্যাজিস্ট্রেসীতে সর্বমোট ৭৬ সহায়ক কর্মচারী কর্মরত রয়েছে।
এমএসএম / এমএসএম
থামছেই না ছড়াও, দখল করে ভবন নির্মাণ কাজ
বাঁশখালীতে রিক্সা চালক শ্রমিক কল্যাণ ইউনিয়ন নির্বাহী কমিটির বার্ষিক সাধারণ সভা
নোয়াখালীতে যৌন-প্রজনন স্বাস্থ্য ও লিঙ্গ ভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধ সভা
চাঁপাইনবাবগঞ্জ -২ এ,ধানের শীষের কান্ডারী ইঞ্জি: মাসুদ'কে চায় সাধারণ মানুষ ও বিএনপি'র নেতাকর্মীরা
পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে শ্রমিক দলের আহ্বায়ক জুয়েলের বিরুদ্ধে কমিটি বাণিজ্যের অভিযোগ
কাউনিয়ায় মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টায় পিতা পুলিশের হাতে
বাঁশখালীতে জমি বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত, গ্রেপ্তার-৩
নন্দীগ্রামে সিএনজি চালককে অপহরণ ও মুক্তিপণ নিয়ে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ
সুবর্ণচরে আশার আলো সমাজ কল্যাণ সংগঠনের বৃক্ষরোপন কর্মসূচি
সহকারী এটর্নি জেনারেল হলেন পেকুয়ার কেএম সাইফুল ইসলাম
৭ই নভেম্বর উদযাপন ও খন্দকার নাসিরের মনোনয়ন এর দাবিতে মধুখালী বিএনপির জরুরী সভা
ভোলা-১ আসনে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করবে বিজেপি, নির্বাচনি প্রচার ও র্যালী অনুষ্ঠিত