হরিরামপুরে প্রকাশ্যেই চলছে জাটকা আহরণ-ক্রয়-বিক্রয়

একদিন পরেই জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০২৩, এছারাও ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে গত ১ নভেম্বর ২০২২ থেকে আগামী ৩০ জুন ২০২৩ পর্যন্ত আট মাস জাটকা আহরণ, পরিবহন, মজুদ, ক্রয়-বিক্রয় ও বাজারজাতকরণ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু এ আইন উপেক্ষা করেই মানিকগঞ্জের হরিরামপুর পদ্মানদীর বিভিন্ন পয়েন্টে জাটকা নিধনের মহা উৎসব চলছে।
সরজমিনে দেখা যায়-কাঞ্চনপুর, গোপিনাথপুর, আন্ধারমানিক খেয়াঘাট সংলগ্ন পদ্মার চরের পেছনে,ধুলশুরা পদ্মানদীর মাঝে নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল দিয়ে দিনে এবং রাতের আধারে অবাধে জাটকা নিধন করছে জেলেরা। আর এই সব জাটকা আহরণ করে উপজেলার বিভিন্ন আড়ৎ,হাট-বাজারে প্রকাশ্যে বিক্রয়ও করছে তারা। দেখা যায়, আন্ধারমানিক আড়ৎ এবং বাহাদুরপুর ঘাটের আড়তে এনে ডাকে তুলে বিক্রিও করছেন এইসব জাটকা। এসব জাটকা পাইকারি দরে বেপারিরা কিনে এনে উপজেলার বিভিন্ন ছোট-বড় হাট-বাজারে বিক্রিও করছেন প্রকাশ্যেই। এসব দেখেও প্রশাসন ও মৎস্য বিভাগ নীরব ভূমিকা পালন করছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। এতে সরকারের ইলিশের উৎপাদনের উদ্যোগ ভেস্তে যাচ্ছে।
উপজেলার আন্ধারমানিক,বাহাদুরপুর ঘাটে ট্রলারঘাটে থাকা বেশ কিছু জেলেদের সাথে কথা বলে জানা যায়, মা-ইলিশ রক্ষা অভিযান প্রশাসনের পক্ষ থেকে যে রকম কঠোরভাবে পালন করা হয়, জাটকা অভিযানে সে রকম কঠোরতা নেই। তাই তারা নির্বিঘ্নে জাটকা নিধন করছেন। জাটকা ধরা নিষিদ্ধ হলেও প্রশাসনের ঢিলেঢালা ভাবের কারণে এই সুযোগে যে যার মতো জাটকা ধরছেন এবং বিক্রি করছেন।
কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের কুশিয়ারচর গ্রামের জাটকা আহরণ করার সময় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জেলে জানান, আমরা গরীব মানুষ, বৈধ-অবৈধ হিসাব করিনা, যখন তারা অভিযান দিবে, তখন আমরা ঘন্টাখানেক আগেই জানি। আমগো লোক আছে, তারা আমগো আগেই কইয়া দেয়। জাটকা ধরা নিষিদ্ধ থাকা সত্তেও কেন আহরণ করছেন কেন? এ কথা বলায় তিনি আর কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।
মানিকগঞ্জ থেকে পাইকারি দামে মাছ কিনতে আসা এক ব্যবসায়ী রতন জানান, বাজারে জাটকা বিক্রি করতে কোনো নিষেধাজ্ঞা দেয় কি-না জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, বাজারে জাটকা বিক্রিতে তেমন কোনো সমস্যা হয় না। তারপরও নদী থেকে জেলেরা ধরেন বিধায় তাঁরা কিনে আননি। আপনারা এতো জ্বালাইলে এই আড়তে আর মাছ কিনতে আমু না।
ভাওয়ারডাঙ্গী পদ্মাপাড়ের হোটেল ব্যাবসায়ী আশরাফুল ইসলাম শাওন বলেন- আমরা পদ্মাপাড়ের মানুষ, এমনিতেই ইলিশ মাছ পাইনা। তারপরেও প্রকাশ্যেই জাটকা নিধন,ক্রয়-বিক্রয় হচ্ছে। কেউ কিছু বলেনা।
আন্ধামানিক ট্রলারঘাটের নোকার মাঝি- মোঃ হাসেম জানান- পদ্মানদী থেকে প্রকাশ্যে কারেন্ট জাল দিয়ে জাটকা মেরে আন্ধারমানিক আড়তে প্রকাশ্যে নিয়মিত বিক্রি করছে জেলেরা। দেখেও দেখে না কেউ। এগুলো বন্ধ করা দরকার।
ভোরবেলা ডাকে জাটকা বিক্রয় করা নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক আড়ৎদার জানান, জাটকা ধরায় সরকারের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও মৎস্য বিভাগ জাটকা সংরক্ষণে নদীতে অভিযানের কিছু সময় পূর্বেই জেলেরা টের পেয়ে সটকে পড়ে। চোর-পুলিশ খেলার মতই, এগুলো না করে নদীতে ভালোভাবে অভিযান দিলেই জাটকা ধরা বন্ধ হবে। অন্যথায় সরকারের এ উদ্যোগ কোনো কাজে আসবে না।
হরিরামপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ ফরমান আলী জানান, আমি এই দপ্তরে নতুন যোগদান করেছি। উপজেলার সব জায়গা চিনিনা। জাটকা নিধণকারী জেলেদের বিরুদ্ধে এবং কারেন্টজালের বিরুদ্ধে খুব দ্রতই নিয়মিত অভিযান দেয়া হবে।
এমএসএম / এমএসএম

মিরসরাইয়ে দাড়িয়ে থাকা কাভার্ড ভ্যানের পেছনে বাসের ধাক্কায় নিহত হেলপার

জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে কুষ্টিয়ায় মাসিক রাজস্ব সভা অনুষ্ঠিত

রায়পুরে সরকারি খাস জমিতে অবৈধ স্থাপনা, উচ্ছেদে ধীরগতি

জমির জন্য বৃদ্ধ দম্পতিকে আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগ

শ্রীপুর পৌর শহরে পরিচ্ছন্নতা অভিযান

আত্রাইয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার অপসারণ ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

জয়পুরহাটে আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা

মেহেরপুরে আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

হাটহাজারী সাব রেজিস্টার অফিসে মূল দলিলের পাতা গায়েব করে ভুয়া পাতা সংযুক্ত

আগামী নির্বাচনে তারেক রহমানকে সংসদীয় ৫ আসনে উপহার দিতে মীর হেলাল উদ্দিনের বিকল্প নাই -গিয়াস উদ্দীন

১৪৫ কোটি টাকার ফেরিঘাটে নেই ফেরি, সরকারের নতুন চিন্তা

জলবায়ু পরিবর্তনের ছোবল: স্বাস্থ্যঝুঁকি মোকাবিলায় সন্দ্বীপে কর্মশালা

টুঙ্গিপাড়ায় মধুমতি সংযোগ খাল কচুরিপানায় বন্ধ, দুর্ভোগে এলাকাবাসী
Link Copied