উলিপুরে বোরোর ক্ষেত নিয়ে দিশেহারা কৃষক

কুড়িগ্রামের উলিপুরে বিভিন্ন এলাকায় বোরো ক্ষেতে 'নেক ব্লাস্ট' রোগের আক্রমনে কৃষকেরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে। এ রোগের কারণে ধানের শীষ শুকিয়ে সাদা ও পাকার মত হয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে ২৮ ও ২৯ ধানে এ রোগ বেশি দেখা দিয়েছে। অন্যান্য জাতের ধানের ক্ষেতেও এ রোগ দেখা দিয়েছে। কীটনাশক প্রয়োগ করেও কোনো লাভ না হওয়ায় নিরাশ হয়ে পড়েছেন কৃষকেরা।
উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা যায়, এবারে উপজেলায় পৌরসভা সহ বোরো ধান চাষের লক্ষ্য মাত্রা প্রায় ২২ হাজার ২শ ৬৫ হেক্টর। যা অর্জিত হয়েছে ২২ হাজার ৯'শ ৯৫ হেক্টর। বোরো ধান উৎপাদন লক্ষ্য মাত্রা প্রায় ৯৪ হাজার ৮'শ ৪৮.৯ মেট্রিক টন। উপজেলায় নেক ব্লাষ্ট রোগ আক্রান্ত হয়েছে প্রায় ৩.৫ হেক্টর। এবারে ধানের উৎপাদন লক্ষ্য মাত্রার ব্যাঘাত ঘটবে বলে জানান উপজেলা কৃষি অফিস।
সরেজমিন উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, অধিকাংশ এলাকায় ব্রি-২৮,২৯, জাতের ধান আক্রান্ত হয়েছে। পাকতে শুরু হওয়া ধানক্ষেত গুলোতে আক্রমণ করেছে 'নেক ব্লাস্ট' রোগ। এ রোগের প্রভাবে ক্ষেতের ধানের শীষ আস্তে আস্তে সাদা হয়ে ধান চিটায় পরিণত হচ্ছে। অনেক জমির বোরো ধানের শিষ সাদা হয়ে গেছে। শীষের গোড়ায় প্রথমে এ রোগ দেখা দিয়ে ক্রমান্বয়ে তা পুরো শীষকে গ্রাস করে ফেলেছে। এ অবস্থায় কৃষকেরা দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। আগামী দু-সপ্তাহের মধ্যে উপজেলার অধিকাংশ এলাকার পাকা বোরো ধান কাটতে পারার উপযোগি হলেও 'নেক ব্লাস্ট' সংক্রমণ হওয়ায় ভালো ফলন নিয়ে শঙ্কা তাদের।
উপজেলার পৌরসভার নাড়িকেলবাড়ি এলাকার আবুল হোসেন বলেন, আমি ২৮ ধান প্রায় ৫৫ শতক জমিতে লাগিয়েছি। সম্পূর্ণ ধানের ক্ষেত নেক ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত হয়ে ধানের শীষ সাদা হয়েছে। এসময় স্থানীয় কীটনাশক ও সার ব্যবসাযীর পরামর্শে ওষুধ স্প্রে করি কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। কয়েকদিনের মধ্যে জমির সব ধান সাদা হয়ে গেছে। এখন ওই জমিতে একটি ধান আর হবে না। আমি ধান না পেলে পরিবার পরিজন নিয়ে কিভাবে চলব উপায় পাচ্ছিনা। একই এলাকার মকবুল হোসেন, গোলজার মিয়া ও লুৎফার রহমান সহ আরও অনেকে একই কথা বলেন।
উপজেলার হাতিয়া এলাকার গাবুরজান এলাকার আয়নাল মিয়া ৪০ শতক জমিতে ২৮ জাতের ধান লাগিয়েছেন। শুরু থেকে ধানের বাম্পার ফলন থাকলেও এখন নেক ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত হয়েছে। কীটনাশক প্রয়োগ করেও কোন কাজে আসেনি। সম্পূর্ণ জমির ধান পাতান হয়ে গেছে। একই এলাকার জয়নাল আবেদিন ২৯ জাতের ধান ৩৫ শতকে লাগিয়েছেন তিনিও একই কথা বলেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ও কৃষিবিদ মোশারফ হোসেন বলেন, প্রকৃতির বিরুপ আবহাওয়া জনিত কারণে এবার আগাম বৃষ্টি পাত হওয়ার ফলে ধানের শীষের গোড়া পচে শীষ খাদ্য ও পানি না পেয়ে শুকিয়ে ‘নেক ব্লাস্টার’ ছত্রাক রোগের সৃষ্টি হয়েছে। ব্রি ধান-২৮, ২৯ জাতের বোরো ধানে নেক ব্লাস্ট রোগের আক্রমণ বেশি হওয়ায় রোগ প্রতিকারের জন্য উপজেলা কৃষি বিভাগ মাঠ পর্যায়ে ধানের গাছে ব্লাস্ট আক্রমণের পূর্বেই কৃষকদের ছত্রাক নাশক স্প্রে করার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সরকারি ভাবে সহযোগিতা আসলে যথাযথ ভাবে তালিকা করে কৃষকদের মাঝে বিতরণ করা হবে।
এমএসএম / এমএসএম

মিরসরাইয়ে দাড়িয়ে থাকা কাভার্ড ভ্যানের পেছনে বাসের ধাক্কায় নিহত হেলপার

জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে কুষ্টিয়ায় মাসিক রাজস্ব সভা অনুষ্ঠিত

রায়পুরে সরকারি খাস জমিতে অবৈধ স্থাপনা, উচ্ছেদে ধীরগতি

জমির জন্য বৃদ্ধ দম্পতিকে আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগ

শ্রীপুর পৌর শহরে পরিচ্ছন্নতা অভিযান

আত্রাইয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার অপসারণ ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

জয়পুরহাটে আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা

মেহেরপুরে আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

হাটহাজারী সাব রেজিস্টার অফিসে মূল দলিলের পাতা গায়েব করে ভুয়া পাতা সংযুক্ত

আগামী নির্বাচনে তারেক রহমানকে সংসদীয় ৫ আসনে উপহার দিতে মীর হেলাল উদ্দিনের বিকল্প নাই -গিয়াস উদ্দীন

১৪৫ কোটি টাকার ফেরিঘাটে নেই ফেরি, সরকারের নতুন চিন্তা

জলবায়ু পরিবর্তনের ছোবল: স্বাস্থ্যঝুঁকি মোকাবিলায় সন্দ্বীপে কর্মশালা

টুঙ্গিপাড়ায় মধুমতি সংযোগ খাল কচুরিপানায় বন্ধ, দুর্ভোগে এলাকাবাসী
Link Copied