অবৈধভাবে বাঙালি নদীর বালু উত্তোলনে বিলীন হচ্ছে ফসলী জমি

বগুড়ার শেরপুরে বাঙালী নদীর অংশে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে ভাঙছে নদীর পাড়। ফলে ফসলি জমি বিলীন হচ্ছে।
বাঙালি নদীতে বৈধ কোনো বালু মহাল নেই কিন্তু থেমে নেই বালু উত্তোলন। প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙলি দেখিয়ে বাঙালী নদীর অন্তত আটটি পয়েন্টে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবাধে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এতে করে নদী তীর ভেঙে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে ফসলি জমি। অজ্ঞাত কারণে নীরব ভূমিকা পালন করছে প্রশাসন। ফলে ভুক্তভোগী ও স্থানীয় এলাকাবাসীর মাঝে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। তারা অবিলম্বে এই অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
অবৈধভাবে বালুর উত্তোলন বন্ধ করার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড বগুড়ার নির্বাহী প্রকৌশলীর নিকট লিখিত আবেদন করেছেন বৈধ বালু মহালের ইজারাদার শেরপুর পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম হোসেন। অভিযোগে জানা যায়, শেরপুর উপজেলার মধ্যেদিয়ে বহমান বাঙালী নদী। এই অংশে কোনো বালু মহাল নেই। তবুও সুঘাট ইউনিয়নের বিনোদপুর হঠাৎপাড়া ও কল্যানী খেয়া ঘাটে তিনটি ও খামারকান্দি ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতারা বিলচাপরি, ঝাঁজর, বিলনথার, নলডাংঙ্গী গ্রামে শ্যালো মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে স্থানীয় প্রভাবশালী লিটন মিয়া, হাসেন আলী ও কামরুল ইসলামের নেতৃত্বে।
ভুক্তভোগী একাধিক কৃষক অভিযোগ করে বলেন, অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলনের কারণে নদীর তীরবর্তী ফসলি জমিতে ভাঙন শুরু হয়েছে।
এছাড়া নদীর অপরপ্রান্তে বিনোদপুর গ্রামে নবনির্মিত বেড়িবাঁধটিও হুমকির পড়েছে। এভাবে বালু উত্তোলন অব্যাহত থাকলে বাঁধেও ভাঙন দেখা দিতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেন। সেইসঙ্গে বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হলেও অজ্ঞাত কারণে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তারা। একইভাবে সরকার দলীয় নেতাদের নাম ভাঙিয়ে এলাকায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছেন স্থানীয় প্রভাবশালীরা।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে খোদ শেরপুর পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ইজারাদার গোলাম হোসেন দৈনিক সকালের সময় কে বলেন, সম্প্রতি ধুনট উপজেলার বথুয়াবাড়ী ও নান্দিয়ার পাড়া নদী খননের উত্তোলনকৃত বালুর টেন্ডার দেওয়া হয়। নিলামে অংশ নিয়ে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে ব্যাংক চালান ও ট্যাক্স-ভ্যাট পরিশোধ করে বালু ক্রয় করেছি। এতে সরকার বিপুল অঙ্কের টাকা রাজস্ব পেয়েছেন। অবৈধ বালু উত্তোলন ও বিক্রির কারণে সরকারি নিলামের বালু বিক্রি করা যাচ্ছে না। এতে ব্যবসায়িকভাবে চরম ক্ষতির মুখে পড়েছেন বলেন জানান তিনি।
বগুড়ার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমুল হক অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা স্বীকার করে দৈনিক দৈনিক সকালের সময়কে বলেন, বাঙালি নদীর শেরপুর অংশে আমাদের কোনো বালু মহাল নেই। তাই কেউ বালু উত্তোলন করলে সেটি অবৈধভাবে করছেন। তাই এই অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এমএসএম / এমএসএম

মধুখালীতে বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে র্যালি ও আলোচনা সভা

যৌথ বাহিনীর অভিযানে বিদেশি পিস্তল ও ম্যাগাজিন উদ্ধার

রাণীশংকৈলে ইয়াবা ও গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক

লালমনিরহাটে মাদক ব্যবসায়ীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

মোহনগঞ্জ হাসপাতালে সেবা বঞ্চিত হাওরপাড়ের দুই লাখ মানুষ

রায়গঞ্জ প্রেসক্লাবে আল আরাফাহ গ্রুপের অনুদান প্রদান

বগুড়ায় ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ডাকাতির ঘটনায় ৭ জন গ্রেফতার

হাটহাজারীতে জশনে জুলুস পবিত্র ঈদ-এ- মিলাদুন্নবী পালিত

রাজশাহীতে ৬ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

ছাতকে ধর্ষন মামলার আসামী রুহুল গ্রেফতার

চিতলমারীতে বিএনপি’র স্থায়ী কার্যালয়ের উদ্বোধন

প্রবাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে হাটহাজারীর এক ব্যক্তির মৃত্যু

রৌমারীতে অসাধু সার ডিলারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল
Link Copied