কর্ণফুলী নদীর বুকে বালুর চর, নৌ চলাচলে দুর্ভোগ

রাঙামাটি কাপ্তাই উপজেলার মধ্য দিয়ে বয়ে গেছে অপরূপ কর্ণফুলী নদী। যে নদীর উৎপত্তিস্থল ভারতের মিজোরাম সীমান্তের লুসাই পাহাড়। সেখান থেকে শুরু হয়ে কাপ্তাই, রাঙ্গুনিয়া সহ বেশ কয়েকটি উপজেলার মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া কর্ণফুলী বঙ্গোপসাগরে গিয়ে সরাসরি মিলিত হয়েছে। তবে কর্ণফুলী নদীর কাপ্তাই উপজেলার বেশ কিছু স্থানে জেগে উঠেছে বালুর চর। জেগে উঠা এই চরের ফলে কাপ্তাইয়ের কিছু অংশে গিয়ে দেখা যায় কর্ণফুলী নদীর মাঝখানেও এখন হাঁটু পরিমাণ পানি। এমন পরিস্থিতিতে নদীতে নৌ চলাচল, যাত্রী পারাপার সহ ব্যাপক সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। বিশেষ করে ইঞ্জিনচালিত নৌকাগুলো আটকা পড়ছে প্রতিনিয়ত।
গত মঙ্গলবার উপজেলার কর্ণফুলী নদীর থানাঘাট, লিচুবাগান, মিশন হাসপাতাল এলাকা সহ কয়েকটি ঘাটের বিভিন্ন স্থানে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ইঞ্জিনচালিত বোটগুলো হাটু পানিতে আটকা পড়ে রয়েছে। যারফলে নৌ পারাপারে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যাত্রী এবং চালকদের।
দীর্ঘবছর ধরে কর্ণফুলী নদীতে যাত্রী পারাপার করছে কাপ্তাই থানা ঘাট এলাকার নৌকার মাঝি রুস্তুম আলী। তিনি জানান, নদীতে পানি না থাকায় বর্তমানে যাত্রী পারাপার করতে আমাদের অনেক হিমশিম খেতে হচ্ছে। বিশেষ করে এই দুর্ভোগের ফলে প্রয়োজন ছাড়া মানুষ তেমন একটা নদী পারাপার হতে চায়না। যার ফলে আমাদের আয় রোজগার অনেক কমে গেছে। আর এইভাবে এর আগে আমরা কর্ণফুলী নদীতে চর জেগে উঠতে দেখেনি।
কাপ্তাই মিশন হাসপাতাল ঘাটের বোট চালক আব্দুর রহমান, ইউসুফ মোল্লা সহ বেশ কয়েকজন মাঝী জানান, দিন দিন কর্ণফুলী নদীর মাঝখানে যেভাবে চর জেগে উঠছে তাতে এখন থেকে যদি কোন ব্যবস্থা গ্রহন করা না হয় তবে ভবিষ্যতে আরো ব্যাপক সমস্যা সৃষ্টি হবে। এবং আমাদের এই পেশা হয়তো ছেড়ে দিতে হবে।
এদিকে প্রায় প্রতিদিনই কর্ণফুলী নদী পার হতে হয়, নারানগিরি এলাকার বাসিন্দা থোয়াইসু প্রু মারমা, কল্যানী দাশ সহ বেশকয়েকজন যাত্রী। তারা সবাই বলেন, নদীতে চর জেগে উঠার ফলে অনেক মাঝী বোট চালাতে চান না। এতে নদী পার হওয়ার জন্য ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করে থাকতে হয় আমাদের। বিশেষ করে কর্ণফুলী নদীতে জোয়ারে পানি বাড়লে তখন কিছুটা পারপার হওয়া গেলেও ভাটার সময় একদম নদীতে পানি শুকিয়ে যায়। তখন দুর্ভোগ চরমে পৌঁছায়। স্থানীয় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী শওকত আলী জানান, তিনি সবসময় রাইখালী কৃষি ফার্ম থেকে বিভিন্ন কৃষি পণ্য কিনে এনে দোভাষী বাজারে বিক্রি করেন। কিন্তু বর্তমানে মালামাল আনতে অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
এছাড়া কর্ণফুলী নদীর পারেই অবস্থিত নারানগিরি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়। বিদ্যালয়টির কয়েকজন শিক্ষক জানান, বর্তমানে তীব্র তাবদাহ এবং দীর্ঘ দিনের অনাবৃষ্টিতে নদীতে পানির প্রবাহ একদম কমে গেছে। বিকালে জোয়ার আসলে তখন নদীতে পানি বাড়ে। আর তখনই মানুষ নদী পারাপারসহ নদী কেন্দ্রীক বিভিন্ন কাজকর্ম করে থাকেন। তবে টানা বৃষ্টিপাত না হলে কিংবা এইরকম তীব্র তাবদাহ চলমান থাকলে মানুষের দুর্ভোগ আরো বাড়ার আশংকা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
এবিষয়ে রাঙামাটি জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী তয়ন কুমার ত্রিপুরার সাথে কথা হলে তিনি জানান, ইতিমধ্যে কর্ণফুলী নদীর ১০ কিলোমিটার এলাকায় ড্রেজিং কার্যক্রম চলছে। পরবর্তীতে কাপ্তাইয়ের নারানগিরি থেকে চট্টগ্রামের কালুরঘাট ব্রীজ পর্যন্ত সম্পূর্ণটায় ড্রেজিং এর আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে বলে তিনি জানান।
এমএসএম / এমএসএম

গোপালগঞ্জে দিনব্যাপী পালিত কর্মসূচিতে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস

শ্রীমঙ্গলে গণঅভ্যুত্থান দিবসের বিজয় র্যালিতে মানুষের ঢল

গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে বারহাট্টায় বিএনপির বিজয় মিছিল

ঢাকা জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ৮২ শহিদ পরিবার এবং ১৪৮৩ জন জুলাই যোদ্ধাকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়

ফ্যাসিবাদের পতন ও ছাত্র জনতার বিজয়ের বর্ষপতি উপলক্ষে নাগরপুরে বিএনপি’র বিজয় র্যালি

নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটিতে গণঅভ্যুত্থান দিবস পালন

জুলাই গণঅভ্যুত্থান উপলক্ষে খোকসা'তে বিজয় মিছিল ও আলোচনা সভা

সিংগাইরে বিএনপির দুই গ্রুপের বিজয় র্যালি

শহীদদের রক্তের সাথে বেঈমানী করে রাজনীতি সম্ভব নয় -বিজয় র্যালিতে এম.এ. মতিন

পটুয়াখালীতে নানা আয়োজনে পালিত হয়েছে জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস

গণঅভ্যুত্থান দিবসে সাটুরিয়ায় বিজয় র্যালী ও আলোচনা সভা

পাটগ্রামে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে ১ জনের কারাদণ্ড

লোহাগড়ায় বিএনপির উদ্যোগে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস পালন
Link Copied