ঢাকা শনিবার, ২ আগস্ট, ২০২৫

তাজমিনা আক্তার রুমা

যেভাবে উদ্যোক্তা হয়েছি


তানভীর সানি  photo তানভীর সানি
প্রকাশিত: ৩-৬-২০২৩ বিকাল ৫:৪৭

জন্ম সূত্রে আমার বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায়। আমার বাবা নাম মোঃ সাদেক খান। তিনি পেশায় একজন সরকারি চাকরিজীবী ছিলেন। বাবার চাকরির সুবাদে এক জেলা থেকে অন্য জেলায় ঘুরে বেড়ানোই ছিল আমাদের জীবন। ছোট বেলায় কিছুদিন ছিলাম খুলনায়। তারপর আমার বাবার আবার পোস্টিং হলো চট্টগ্রামে। এর মাঝে কিছুদিন থাকার পর কুমিল্লায় পোস্টিং। সে থেকে আমরা কুমিল্লায় স্থায়ী হয়ে গেলাম। আমি ছোটবেলায় কুমিল্লা ফরিদা বিদ্যায়তন থেকে মাধ্যমিক পাস করি। তারপর ওমেন্স কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক করেছি। ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে অনার্স শেষ করেছি। আমার বাবা মা খুবই সহজ সরল মনের মানুষ ছিলেন। আমরা ৬ ভাই বোন, ৩ বোন ৩ ভাই। বোনদের মধ্যে আমি ছোট। তাই ছোটবেলা থেকেই একটু চঞ্চল স্বভাবের মেয়ে ছিলাম। আমি সবার সাথে মিশতে ভালোবাসি। সবাইকে উপকার করতে ভালোবাসি। 
আমার উদ্যোক্তা হওয়ার পেছনে অনেকগুলো কারণ রয়েছে। প্রথম কারণ পরিবারের সবাই আমাকে অসম্মান করত। সবার ধারণা ছিল আমি কিছুই করতে পারব না। তারপর একটি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট বিজনেস শুরু করি। ব্যবসা ভালোই চলছিল। করোনাকালীন কঠিন বাস্তবতার সম্মুখীন  হই। আমি থমকে গেলাম, চুপসে গেলাম। কি করব, কি করব, ভেবে পাচ্ছিলাম না। তখন শুরু করি অনলাইন ব্যবসা। তারপর উদ্যোক্তার লাইভ শুরু করি। মানুষ সাধারণত সস ও মেওনেস এর বোতলগুলো ফেলে দেয়। আমি ভাবলাম এতসব সুন্দর বোতলগুলো ফেলে না দিয়ে কিভাবে কাজে লাগানো যায়? এরপর সসের বোতলগুলো পরিষ্কার করে ধুয়ে মুছে নিলাম। ঘরে পড়ে থাকা কিছু লেইছ, পুতি ছিল। বোতলগুলোর আদলে সুন্দর ফুলের টব, ব্যান্ডবক্সসহ আমার মতো করে কিছু তৈরি করতে শুরু করলাম। দেখতে ভালই লাগছিল। এরপর দেশীয় শতরঞ্জি আনা শুরু করলাম। ভালো সাড়া পেলাম। তারপর কুমিল্লার বিখ্যাত বাটিক সিল্ক, শাড়ি, সিলেটের মনিপুরী শাড়ি ইত্যাদি নিয়ে কাজ করতে শুরু করে ভালো সাড়া পাই। অনলাইনে একদিন আমাকে একজন প্রশ্ন করছিল- আপনার বাড়ি কোথায়? আমি হেসে উত্তর দিয়েছিলাম- আমার বাড়ি সারাদেশ। ভোক্তাদের সাথে ভালো সম্পর্ক তৈরি করার কারণে দুই বছরের মাথায় নিজেকে ব্যবসায়ী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারি। আমার উদ্যেগের বয়স এখন ২ বছর। আমার নিজের নামের সাথে, আমার স্বপ্নের পেইজের নাম মিলিয়ে রেখেছিলাম Ruma's Art. . আমার পণ্য ক্যাটাগরিতে আছে দেশীয় পণ্য বাটিক, সিল্ক শাড়ি, শতরঞ্জি ও মনিপুরী শাড়ি। উদ্যেক্তা জীবনের শুরুতে পরিবার, সমাজ এসব দিক থেকে বাধা পেয়েছি অনেক। আমি হার মানি নি। আমারি কাছের কিছু মানুষ কত গুঞ্জন, কত ব্যঙ্গ কথা শোনাত। তা প্রকাশের ভাষা নেই। আমি এ সবের কর্ণপাত করিনি । আমার সবচেয়ে বড় সাপোর্টার ছিল আমার ছেলে। ও আমাকে বলত- ‘তুমি এভাবে বসে বসে সময় কেন অপচয় করছ? মাম্মি কিছু একটা কর’ এই বলে বলে আমাকে কাজে লাগালো। নিজেকে একজন সফল নারী উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার জন্য কাজ করছি। আশা করছি সফল হবো। 

 

 

Sunny / Sunny

হোটেল ও রেস্টুরেন্ট শিল্পের সফল জাদুকর সুকান্ত সৈকত

শুরু হয়ে গেল রাঁধুনী নিবেদিত মাংসের সেরা রেসিপি ২০২৫ সিজন ৪ রান্নার প্রতিযোগিতা

অপরাজিতায় কবিতার শাড়ি 

ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাতকে শক্তিশালী করতে এসএমই ফাউন্ডেশন ও অক্সফ্যাম একসাথে কাজ করবে

ঈদ ফ্যাশন ফিক্সেশন এর উদ্বোধন

ভর্তার স্বাদ ও সাতকাহন 

মাসরুমের গুরুত্ব ও মাশরুমের উৎপাদন কৌশল শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা

আমার মমতাময়ী মা 

শেষ হলো আইডিয়া পিচিং কম্পিটিশন ক্রিয়েভেঞ্চার ৩.০

ছোট উদ্যোক্তা থেকে বড় উদ্যোক্তা হওয়ার প্লার্টফর্ম সম্পূর্ণা বাংলাদেশ

টিকটকে যে নারীরা অনুপ্রেরণা যোগায়

চল্লিশেই সফল ব্যবসায়ী- নিয়াজ মোর্শেদ এলিট

ইপি-উদ্যোক্তা প্ল্যাটফর্ম এর বিভিন্ন জেলায় পুষ্পস্তাবক অর্পণ -