ইজিপিতে অনিহা,এলটিএম এ লুটপাটের মহোৎসব
পাহাড়তলী রেল কারখানায় কেনাকাটায় দুর্নীতি
রেলে পণ্য ও মেশিনারীজ ক্রয়ে লিমিটেড টেন্ডার মেথড (এলটিএম) ও ডিরেক্ট প্রকিউরমেন্ট মেথড (ডিপিএম) এর ওপর কড়া নিষেধাজ্ঞা চলছে গত ৩ বছরেরও বেশী সময়। অঘোষিত হলেও রেলের পূর্ব ও পশ্চিমাঞ্চলের ক্রয় দফতরগুলো সংসদীয় কমিটি, রেলের ডিরেক্টর জেনারেল ও অতিরিক্ত মহাপরিচালক (রোলিং স্টক) এর নির্দেশনা মানতে নারাজ। অভিযোগ রয়েছে, ইলেকট্রনিক গর্ভমেন্ট প্রকিউরমেন্ট (ইজিপি) তে ক্রয় করতে নারাজ পাহাড়তলীস্থ রেলওয়ে ক্যারেজ এন্ড ওয়াগন কারখানা কর্তৃপক্ষ। ডিএস তাপস ও ডব্লিওএমসি/ক্যারেজ রাশেদ লতিফের আমলে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরের সাঙ্গপাঙ্গরা উচ্চমূল্যে এলটিএম পক্রিয়ায় কাজ বাগিয়ে নিয়েছে। এখনও এই সিন্ডিকেট ভাঙ্গতে পারেনি বর্তমান ডিএস ও ডব্লিওএমসি। আর এলটিম ও ডিপিএম এর মাধ্যমে রেলের হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করছে এই চক্রের সদস্যরা। এতে সরবরাহকারীদের মাঝেও রয়েছে চাপা ক্ষোভ।
এদিকে, রেলওয়ে কারখানাগুলোতে ৮০ ভাগ ইজিপি কার্যকর করে জরুরি ভিত্তিতে মাত্র ২০ ভাগ ক্রয়ের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে এডিজি (আরএস)ও ডিরেক্টর ডিজেল এর পক্ষ থেকে ২০২০ সালের জুলাই মাসে। কিন্তু কারখানার উৎপাদন ঠিক রাখতে হলে জরুরি ভিত্তিতে ক্রয়ের নির্দেশনা বৃটিশ আমল থেকে। এপিপি অনুযায়ী এলটিএম কার্যকর করে কারখানা কর্তৃপক্ষ উচ্চমূল্যে ক্রয় প্রক্রিয়া কার্যকর করেছে
এ ব্যাপারে পাহাড়তলীস্থ রেলওয়ে ক্যারেজ এন্ড ওয়াগন সপ কারখাানার বিভাগীয় তত্বাবধায়ক (ডিএস) মোস্তাফিজুর রহমান সকালের সময়কে বলেন, আমি এখানে যোগ দিয়েছি অল্প কিছুদিন হলো। এখনো তেমন কেনাকাটা শুরু করিনি। আগের ডিএস যা অর্ডার করে গেছেন আমরা তা বাস্তবায়ন করছি। আমরা কেনাকাটা শুরু করলে ইজিপি বাস্তবায়ন করব।
অভিযোগ উঠেছে, প্রয়োজনীয় আইটেম ক্রয়ে ইজিপি সিস্টেমে এ্যানুয়েল প্রকিউরমেন্ট প্ল্যান (এপিপি) বন্ধ রেখেছে রেলওয়ে কারখানা। রেলের পূর্ব ও পশ্চিমাঞ্চলে নিবন্ধিত প্রায় ২ হাজার সরবরাহকারি ও ঠিকাদার ব্যবসা করতে পারছে না সন্ত্রাসীদের ঠেক বাণিজ্যের কারণে। বেকায়দায় রয়েছে বেশিরভাগ ব্যবসায়ী। এই কারখাানায় এলটিএম ক্রয় পদ্ধতি ছাড়াও ইজিপিতেও তেমন কোন দরপত্র নেই, যা সরবরাহকারিদের অংশগ্রহণের মাধ্যমে দরপত্র গ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি হবে। ২০২০ সালের ১ অক্টোবর সহকারি সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক (সদর) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান স্বাক্ষরিত চিঠি কার্যকর দীর্ঘ ৩ বছরেও কার্যকর হয়নি।
এ ব্যাপারে জানতে পাহাড়তলীস্থ রেলওয়ে ক্যারেজ এন্ড ওয়াগন সপ কারখাানার কার্য্য ব্যবস্থাপক (নির্মাণ) মোহাম্মদ আমীর হোসেনকে মোবাইলে কল ও ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়ে কোন সাড়া না পাওয়ায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।
জানা গেছে, ক্রয় সংক্রান্তে রেলের অনিয়ম ও দুর্নীতি বন্ধ করতে পাহাড়তলীস্থ প্রধান সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রকের পক্ষে অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা সহকারি সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক (সদর) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান এক অফিস স্মারক প্রকাশ করেছেন ২০২০ সালের ১ অক্টোবর। যা এখন পর্যন্ত কার্যকর হয়নি পাহাড়তলীস্থ রেলওয়ে কারখানায়। অথচ এ আদেশে বলা হয়েছিল, সরকারি ক্রয় বিধিমালা অনুযায়ী গোপনীয়তা রক্ষার্থে সতর্কতা মূলক প্রশাসনিক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা ও সাঁটানো হয়েছে বিভিন্ন ক্রয় শাখা ও সংশ্লিষ্ট দফতরে। ওই চিঠিতে বহিরাগত ও সরবরাহকারীদের উদ্দেশ্যে বলা হয়েছিল, পূর্বাঞ্চলীয় প্রধান সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রকের অধীনে ক্রয় বিভাগগুলোতে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট এ্যাক্ট (পিপিএ)-২০০৬ এবং পাবলিক প্রকিউরমেন্ট রুলস (পিপিআর)-২০০৮ অনুযায়ী বাংলাদেশ রেলওয়েতে গুরুত্বপূর্ণ ও প্রয়োজনীয় মালামালের ক্রয় কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। কিন্তু ইজিপি’তে ক্রয় প্রক্রিয়া চালু করেনি পাহাড়তলী কারখানা।
এদিকে, সরকারি কার্যক্রম পরিচালনায় বিভিন্ন পর্যায়ে তথা সরকারি ক্রয় বিধি মোতাবেক ও গোপনীয়তা রক্ষা করার বিধান রয়েছে। ক্রয় শাখাসমূহে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও কর্মচারী ব্যতীত সর্বসাধারণের প্রবেশ নিষেধ। শুধু তাই নয়, কোন ধরনের দরপত্রে অংশগ্রহণকারী বা সরবরাহকারীগণের এমনকি প্রতিনিধিদের অনধিকার প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষেধ করা হয়েছিল। এছাড়া ক্রয় দফতরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার পূর্ব অনুমতি ব্যতীত প্রধান সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক দফতরের কর্মকর্তা ও কর্মচারী ছাড়া কেউ ক্রয় শাখায় প্রবেশ করতে পারবেন না। শুধু তাই নয়, ক্রয় সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সরবরাহকারী বা তার প্রতিনিধিকে প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার সঙ্গে পূর্ব অনুমতি অথবা নিযুক্তি নিয়ে সাক্ষাত করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল ওই চিঠিতে। কিন্তু কোন শর্তই আদৌ কার্যকর হয়নি। কারন ক্রয় বিভাগের কর্মরতরা সরবরাহকারীর সঙ্গে রেখে কাজ করতে পছন্দ করেন।
কিন্তু এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য ডিভিশনাল ইনভেন্ট্রি কন্ট্রোল (ডিআইসি), অতিরিক্ত প্রধান সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক (ক্রয়), ডিস্ট্রিক কন্ট্রোলার অব স্টোরস (ডিসিওএস) জেনারেল, ক্রয়-১, ক্রয়-২ ও পরিদর্শন বিভাগকে বিষয়টি শাখার প্রবেশদ্বারে নোটিস আকারে ঝুলিয়ে দেয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছিল। এছাড়াও এসিস্ট্যান্ট কন্টোলার অব স্টোরসকে (ক্রয়-১, ক্রয়-২ ও ক্রয়-৪), এম এ্যান্ড এস শাখার এসও-১ এবং ২ এর দফতরে অফিস স্মারকটি নিশ্চিত করতে বলা হয়েছিল। ওই চিঠির অনুলিপি অতিরিক্ত মহাপরিচালক (আরএস), সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক পূর্ব ও পশ্চিমের দফতরে প্রেরণ করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত শর্তগুলো নোটিসে আর দেওয়ালে সাঁটানোর মধ্য দিয়েই অকার্যকর রয়েছে। ফলে কার্যকর হয়নি কারখানার ইজিপি ক্রয় প্রক্রিয়া।
এব্যপারে কথা বলতে পাহাড়তলীস্থ রেলওয়ে ক্যারেজ এন্ড ওয়াগন সপ কারখাানার সাবেক বিভাগীয় তত্বাবধায়ক (ডিএস) ও বর্তমানে রেলওয়ে পুর্বাঞ্চলের প্রধান যন্ত্র প্রকৌশলী (সিএমই) তাপস কুমার দাশের অফিসে গিয়ে সাক্ষাৎ পাওয়া যায়নি। মুঠোফোনে কল ও ক্ষুদেবার্তা দিয়েও কোন সাড়া না পাওয়ায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।
এমএসএম / এমএসএম
থামছেই না ছড়াও, দখল করে ভবন নির্মাণ কাজ
বাঁশখালীতে রিক্সা চালক শ্রমিক কল্যাণ ইউনিয়ন নির্বাহী কমিটির বার্ষিক সাধারণ সভা
নোয়াখালীতে যৌন-প্রজনন স্বাস্থ্য ও লিঙ্গ ভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধ সভা
চাঁপাইনবাবগঞ্জ -২ এ,ধানের শীষের কান্ডারী ইঞ্জি: মাসুদ'কে চায় সাধারণ মানুষ ও বিএনপি'র নেতাকর্মীরা
পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে শ্রমিক দলের আহ্বায়ক জুয়েলের বিরুদ্ধে কমিটি বাণিজ্যের অভিযোগ
কাউনিয়ায় মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টায় পিতা পুলিশের হাতে
বাঁশখালীতে জমি বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত, গ্রেপ্তার-৩
নন্দীগ্রামে সিএনজি চালককে অপহরণ ও মুক্তিপণ নিয়ে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ
সুবর্ণচরে আশার আলো সমাজ কল্যাণ সংগঠনের বৃক্ষরোপন কর্মসূচি
সহকারী এটর্নি জেনারেল হলেন পেকুয়ার কেএম সাইফুল ইসলাম
৭ই নভেম্বর উদযাপন ও খন্দকার নাসিরের মনোনয়ন এর দাবিতে মধুখালী বিএনপির জরুরী সভা
ভোলা-১ আসনে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করবে বিজেপি, নির্বাচনি প্রচার ও র্যালী অনুষ্ঠিত