আমার প্রতিষ্ঠান যেভাবে শুরু হয়েছিল

ফাহিমা সুলতানা পারভীন
স্বাত্তাধিকারি
রাইয়ান’স ভ্যারাইটিস কালেকশন
ছোটবেলা থেকে সবসময়ই চাইতাম নিজের একটি পরিচয় থাকবে। বাবাও চাইতেন তার সাত ছেলে,মেয়ে স্ব-নির্ভর হবে। এজন্য বাবা আমাদের সবাইকে মাষ্টার্স করিয়েছেন। বিয়ের আগে বেশ কয়েক বছর স্কুল ও কলেজে শিক্ষকতা করেছি। পাশাপাশি এলএলবিতে পড়াশুনা করতাম। বিশেষ কারণে এলএলবি শেষ করা হয়নি। সবসময়ই চাইতাম নিজে কিছু করবো। কিন্তু কি করবো বুঝতে পারতাম না। ছোটবেলায় ইচ্ছে হতো ব্যাংকার হবো। এছাড়াও উচ্চতা ভালো থাকার কারণে আর্মিতে, পুলিশে জয়েন হতেও বলতো অনেকে। কিন্তু বেশি পরিশ্রম করা বা ট্রেনিং করা ভালো লাগতো না। এছাড়াও শিক্ষকতা ভালো লাগতো সেটা হতে পেরেছি।
আগে অনলাইনে প্রচুর কেনাকাটা করতাম। কারণ বাসা থেকে খুব একটা বের হওয়া হতো না। প্রথমত বাড়ির বউ বের হোক সেটা পছন্দ করতো না। দ্বিতীয়ত আমার সন্তান রাইয়ান কে আমার পুরো সময় দিতে হয়। আমার জীবনের সব কিছু আমার সন্তান। তাকে রেখে কিছু করার চিন্তাও করতে পারতাম না। ছেলের থেরাপি, স্কুল সব কিছু আমাকেই করতে হতো। দূরে স্কুল থাকায় সারাদিন লেগে যেতো স্কুলে যাওয়া আসার পিছনেই। ছেলে হাটতে পারতো না। সেজন্য কোলে করে বাসে নিতে হতো। আমার ব্যাগ, ছেলের স্কুল ব্যাগ আর ছেলে থাকতো আমার কোলে। এভাবেই কয়েক বছর পার হয়ে যায়।
২০২০ সালে যখন পুরো পৃথিবী স্তম্ভ। মানুষ ছিলো গৃহবন্দী। ঠিক তখনই আমার কাজের শুরু। প্রথমে বিছানার চাদর নিয়ে ব্যবসা শুরু করি। কারণ বিভিন্ন ধরনের বিছানার চাদর ভীষণ পছন্দ করতাম। সেজন্য বিছানার চাদর নিয়েই কাজ শুরু করা। বুজতে পারতাম শুধু ইচ্ছে থাকলেই হবেনা। আমাকে অনেক কিছু শিখতে হবে, জানতে হবে। অনেক কিছু অনলাইন ভিত্তিক। হতাশাগ্রস্ত জীবন থেকে ফিরে আসতে হবে। এরইমধ্যে ছোট বোনের ইনভাইটে যুক্ত হই বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অনলাইন প্লাটফর্ম উইতে। সেখানে প্রচুর পোস্ট পড়ি নানা উদ্যোক্তাদের। অভিজ্ঞতা অর্জন করি ৩ মাস। এরপর সোসিং করে কাজ শুরু করি। নিজে তখন কাজ করতাম না বিভিন্ন কারিগরদের দ্বারা কাজ করাতাম। কারণ ছেলেকে নিয়ে আমার নিজের কাজ করা সম্ভব ছিল না। কাজ করিয়ে এরপর পোস্ট করি উইতে। ব্যাপক সাড়া পাই ছয় মাসে আড়াই লাখ টাকা বিক্রী হয়। তারপর ধীরে ধীরে এর পরিধি বাড়াতে থাকি। যা কিছু করা হতো সবকিছুই অনলাইনে। কারণ আমি বের হই, কাজ করি তা কেউ চাইতো না। এরইমধ্যে অনেক বাধা-বিপত্তি আসে তবুও পিছপা হইনি। ধৈর্য ধরে এগিয়ে চলেছি। সন্তানকে সময় দিয়ে যতটুকু সময় পেতাম নিজেকে দিতাম, নিজের পেইজকে দিতাম। হঠাৎ করেই ২০২১ সালে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়েছি। লান্সে ইনফেকশন ছিল ৬০ শতাংশ। হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম অনেক দিন। সুস্থ হয়ে আবার কার্যক্রম শুরু করি। তবে এবার বেশ ক্ষতি হয়। কিছুদিন যেতে না যেতেই আক্রান্ত হই ডেঙ্গু জ্বরে। ২২ হাজার প্লাটিলেট নিয়ে আবার হাসপাতালে ভর্তি হই। ২০২১ সালটা এভাবেই যায়। তবে পরিবর্তন আসে ২০২২ সাল থেকে। বছর জুড়েই আসতে থাকে সফলতা। ব্যবসা আবার শুধু করি সুন্দরভাবে। ছেলে ছোট হওয়াতে বর্তমানে অফলাইনেই ব্যবসা পরিচালনা করছি। স্বপ্ন দেখি ছেলে বড় হলে অফ লাইনে একটি শোরুম দিবো।
Sunny / Sunny

হোটেল ও রেস্টুরেন্ট শিল্পের সফল জাদুকর সুকান্ত সৈকত

শুরু হয়ে গেল রাঁধুনী নিবেদিত মাংসের সেরা রেসিপি ২০২৫ সিজন ৪ রান্নার প্রতিযোগিতা

অপরাজিতায় কবিতার শাড়ি

ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাতকে শক্তিশালী করতে এসএমই ফাউন্ডেশন ও অক্সফ্যাম একসাথে কাজ করবে

ঈদ ফ্যাশন ফিক্সেশন এর উদ্বোধন

ভর্তার স্বাদ ও সাতকাহন

মাসরুমের গুরুত্ব ও মাশরুমের উৎপাদন কৌশল শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা

আমার মমতাময়ী মা

শেষ হলো আইডিয়া পিচিং কম্পিটিশন ক্রিয়েভেঞ্চার ৩.০

ছোট উদ্যোক্তা থেকে বড় উদ্যোক্তা হওয়ার প্লার্টফর্ম সম্পূর্ণা বাংলাদেশ

টিকটকে যে নারীরা অনুপ্রেরণা যোগায়

চল্লিশেই সফল ব্যবসায়ী- নিয়াজ মোর্শেদ এলিট
