ঢাকা রবিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৫

শেফ নিক্কনের তৈরি খাবার খেয়েছেন কাতারের কিং 


ফয়েজ রেজা  photo ফয়েজ রেজা
প্রকাশিত: ১৬-৭-২০২৩ বিকাল ৬:১২

বাংলাদেশের শেফ নিক্কন আহমেদ পিয়াস। বর্তমানে কাজ করছেন বেলজিয়ামে। ইউরোপীয়ান পার্লামেন্টে অ্যাম্বাসী অব কুয়েতে গত ১ বছর ধরে কাজ করছেন তিনি। এর আগে তিনি কাতার ডিপ্লোমেটিক ক্লাবে শেফ হিসেবে কাজ করেছেন।  বাংলাদেশের যে কোন প্রফেশনাল শেফ এর জন্য যা অনেক সম্মান ও গৌরবের। নিক্কনের জন্ম ঢাকার নবাবগঞ্জে। তাঁর বাবা জয়নাল আবেদিন। মা পারভীন আক্তার। নিক্কনের মা যখন মারা যায়, তখন তাঁর বয়স ছিল মাত্র ২ বছর। এরপর তাঁর বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করেন। সে মায়ের কাছে কাটে তাঁর ছোটবেলা। নবাবগঞ্জের বান্দুরা হাসনাবাদ স্কুলে পড়েছেন শৈশবে। এরপর  তিনি উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন বান্দুরা হলিক্রস স্কুল এন্ড কলেজ থেকে। এরপর ঢাকার ইস্টার্ন প্লাজার একটি রেস্টুরেন্টে কাজের মাধ্যমে তাঁর পেশা জীবনের শুরু হয়। এরপর ঢাকা শেরাটন হোটেল, ঢাকা রিজেন্সি হোটেল, হোটেল কক্স টুডে, দুবাই ডব্লিউ হোটেলে কাজ করে অভিজ্ঞতা অর্জন করেন তিনি। ছোটবেলায় মা মারা যাওয়ার পর সৎ মায়ের কাছে কাটে কিছুদিন। এরপর তিনি বাসা থেকে বের হয়ে যান। ছোট বয়সে কেন তিনি বাসা থেকে বের হয়ে গেলেন, অনুমান করে নিতে হবে আপনাদের। জীবনের সব গল্প সহজ ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। প্রতিটি অর্জনের পেছনে থাকে সংগ্রামের গল্প। যারা নিজের পায়ে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখে, তাঁদর সব কষ্টের গল্প সহ্য করার ক্ষমতা থাকেনা সবার। নিক্কনের জীবনের গল্পটি, ঘুরে দাঁড়ানোর গল্পটি তাই অন্য যে কোন সংগ্রামী জীবনের গল্প থেকে একটু আলাদা। সম্পূর্ণ নিজের দেখা স্বপ্ন, নিজের চেষ্টায় শিক্ষা এবং নিজের পরিশ্রমের কারণে নিক্কন আজ এ পর্যায়ে আসতে পেরেছেন। ২০০৮ সালে নিক্কনের বাবার মৃত্যু হয়। এরপর তিনি দেশের বাইরে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি এখন শেফ হিসেবে যেখানে কাজ করছেন, বাংলাদেশের বহু শেফ এর আজীবনের স্বপ্ন সেখানে কাজ করা। নিক্কন তা সম্ভব করতে পেরেছেন তাঁর জীবনের ইচ্ছা শক্তির জন্য। ২০১৯ সালে কাতারে প্রতিযোগিতায় গোল্ড মেডেল পেয়েছেন নিক্কন। কাতারের কিং নিক্কনের তৈরি করা খাবার খেয়েছেন। কাতারের কিং যে খাবার খেয়েছেন, বাংলাদেশের সাধারণ মানুষকে তিনি তৈরি করে খাওয়াতে চান সে খাবার। এ জন্য বাংলাদেশে একটি রেস্টুরেন্ট দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন। বাংলাদেশের মানুষের জীবন মানের যে উন্নতি ও অগ্রগতি হয়েছে, খাবারের মানে সে উন্নয়ন ও অগ্রগতির ছাপ রাখতে চান তিনি।

Sunny / Sunny