মোছাঃ তাহরিমা খাতুন সিমি
শখের পণ্য নিয়ে কাজ শুরু করে আজ সফল ব্যবসায়
চাঁপাইনবাবগঞ্জের মেয়ে মোছাঃ তাহরিমা খাতুন সিমি ছোটবেলায় দেখেছেন মা ও কাজিনদের নকশীকাঁটা সেলাই করতে। পড়াশোনার পাশাপশি শখের বসে তিনি নিজেও কাজ করতেন। সেই হতেই কাজের হাতে খড়ি। কিন্ত, বিয়ের পর সংসারের নানা পারিপার্শ্বিকতায় সাধারণ গৃহিনীর মতো জীবন পার করতে থাকেন। ধীরে ধীরে তার সন্তানেরা বড় হতে থাকায় তার সাংসারিক দায়িত্ব কিছুটা কমে আসে। কোভিট ১৯ কালীন সিদ্ধান্ত নেন শখের পণ্য নিয়ে কাজ করার। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রতিষ্ঠা করলে ‘স্বদেশী নৈপুণ্য’ নামে একটি ফেইসবুক পেইজ। সফলতার সাথে পেইজটি পরিচালনার ৩ বছর পর আরেকটি পেইজ প্রতিষ্ঠা করেন পিউর টেস্ট নামে।
মোছাঃ তাহরিমা খাতুন সিমি দৈনিক সকালের সময়ের সাক্ষাতকারে বলেন, শুরুতে চ্যালেঞ্জিং ছিলো বিভিন্ন পণ্যের সোর্সিং করা, ডেলিভারী সিস্টেম আপডেট রাখা, অনলাইন সম্পর্কেও তেমন কোন ধারণা ছিল না। কিন্তু লেগে ছিলাম এবং আছি। এরপর অনলাইনে বিভিন্ন গ্রুপে, পেইজে এবং নিজের প্রোফাইলে অ্যাকটিভ থেকে শেখার পাশাপাশি নিজের পার্সোনাল ব্রান্ডিং তৈরি করেছি যা আমার উদ্যোগ এর কাজে লেগেছে। তিনি বলেন, পণ্যের বিশেষত্ব আকর্ষণীয় ডিজাইন আর গুণগত মান যা অন্য আর দশজনের থেকে নিখুঁত রাখার চেষ্টা করি। কাস্টমারদের কাছ থেকেও ফিডব্যক ভালো আসে। এছাড়াও প্রতি টা কাজের পেছনে সময় দেয়া হয়। তাড়াহুড়া করে কোন সিদ্ধান্ত নেই না। এক লাফে আকাশে উড়ার চেয়ে সমান্তরালে চলতেই পছন্দ, তাই অল্প কাজে সন্তুষ্টি নিয়ে চলতে চাই। ক্লাইন্ট এর সন্তুষ্টি আমার কাজের মেইন স্টাইল বলা যায়। মোছাঃ তাহরিমা খাতুন সিমি’র প্রতিষ্ঠানে পাওয়া যাচ্ছে ক্লদিং এর মধ্যে নকশীকাঁথা, থ্রি পিস, বেডসীট, বেবী নকশীকাঁথা এবং ফুড আইটেম এর মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সকল প্রকার সুস্বাদু আম, মাষকলাই ডাল, কিছু ফ্রোজেন আইটেম ইত্যাদি পাওয়া যায় পিউর টেস্ট পেইজে। মধ্যবিত্ত, উচ্চবিত্ত এবং শৌখিন মানুষেরা স্বদেশী নৈপুণ্য ও পিউর টেস্ট এর ক্রেতা।
মোছাঃ তাহরিমা খাতুন সিমি ৯০ শতাংশ কাজ নিজের হাতেই করেন। এছাড়াও পরিবার তাকে প্রয়োজনীয় সাহায্য করে থাকে। বাংলাদেশ সরকারের কাছে তিনি অনুরোধ জানান, ঐতিহ্যবাহী পণ্য নকশীকাঁথা বিদেশী ক্লাইন্ট এর কাছে সহজে পৌছানোর বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া এবং কৃষি পণ্য আম কে সারাবছর সংরক্ষণ এর মাধ্যমে কিভাবে বাজার জাত করা যায় সেই বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার।
Sunny / Sunny