এক সময়ের বিএনপির ক্যাডার এখন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা
এক সময়কার বিএনপির দাপুটে নেতা রাজপথের লড়াকু সৈনিক বিএনপির শীর্ষ ক্যাডার মো. আলিফ এখন দারুস সালাম থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক। গত ১০ জুলাই দারুস সালাম থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোহাম্মদ ইসলাম স্বাক্ষরিত দলীয় প্যাডে তার নাম ঘোষণা করা হয়। দারুস সালাম থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের কমিটিতে এরকম ঘটনা এটিই নতুন নয়, এর আগেও দারুস সালাম থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোহাম্মদ ইসলাম আরেক বিএনপি নেতা এবং সিটি কর্পোরেশনের সরকারি চাকরিজীবী মো. জামালকে দারুস সালাম থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা বানিয়েছিলেন। এটি তৎকালীন বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা এবং টিভি চ্যানেলে সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর ওই নেতা চাকরিচ্যুত হন এবং মোহাম্মদ ইসলাম দলীয় চাপের মুখে তাকে বহিষ্কার করতে বাধ্য হন ।
দারুস সালাম থানা এলাকায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের বিভিন্ন কর্মীর কাছ থেকে জানা যায়, মোহাম্মদ ইসলাম টাকার বিনিময় জামায়াত-বিএনপির সক্রিয় সদস্যদের আশ্রয়-প্রশ্রয় এমনকি দলের পোস্ট দিয়ে থাকেন।
এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মো. ইসাক সকালের সময়কে বলেন বাংলাদেশ স্বেচ্ছাসেবক লীগ যারা করছে তারা ছাত্রলীগ থেকেই এসেছে। এ ধরনের কর্মকাণ্ড করার মতো স্বেচ্ছাসেবক লীগের কোনো নেতাকর্মীর সুযোগ নাই। তবে এখন যে কমিটি আছে এটি আমি আসার আগে হয়েছে। আমি আসার পর নতুন করে কোনো কমিটি হয়নি। তাই এ বিষয়টি আমি সঠিকভাবে বলতে পারছি না। তবে আমি বিষয়টি সুষ্ঠুভাবে দেখব এবং দেশের মানুষকে এতটুকু আশ্বস্ত করতে চাই, বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগে এ ধরনের অনুপ্রবেশকারী থাকবে না।
রাজধানীর দারুস সালাম থানা এলাকায় তৃণমূল পর্যায়ের আওয়ামী লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের বিভিন্ন কর্মীর কাছ থেকে জানা যায়, স্বেচ্ছাসেবক লীগের নব্য নেতা মো. আলিফ এক সময় বিএনপি নেতা এসএ খালেকের ক্যাডার ছিলেন এবং তিনি আওয়ামী লীগের বিভিন্ন কর্মীর ওপর হামলা এবং নির্যাতন করছেন। এর প্রমাণস্বরূপ তৎকালীন সময়ের বিভিন্ন ছবিও সকালের সময়ের হাতে এসেছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নির্মল দে সকালের সময়কে বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিল না। তবে বিষয়টি আমি গুরুত্বসহকারে দেখব এবং এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটলে বাংলাদেশ স্বেচ্ছাসেবক লীগ অবশ্যই তার বিরুদ্ধে দলীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের একটি বৃহত্তর রাজনৈতিক দল এবং একটি অন্যতম রাজনৈতিক সংগঠন। তাই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এ ধরনের কর্মকাণ্ড কখনই প্রশ্রয় দেয়নি এবং ভবিষ্যতেও দেবে না ।
দারুস সালাম থানা এলাকার আওয়ামী লীগের সকল নেতাকর্মীর চাওয়া, দলে এমন কোনো নেতা নির্ধারণ করা হোক যে টাকার বিনিময়ে পদ বাণিজ্য করবে না, যা দল এবং দেশের জন্য ক্ষতিকর হয়। তাই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে শক্তিশালী করার জন্য এ ধরনের অনুপ্রবেশকারীকে দলে প্রশ্রয়দাতাকে দল থেকে বহিষ্কার করে বাংলাদেশের ১ নাম্বার রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে আরো শক্তিশালী করা দরকার।
এ বিষয়ে দারুস সালাম থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মো. ইসলামের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি।
এমএসএম / জামান
দু’জন উপদেষ্টার পদত্যাগ, ভোগাবে উপদেষ্টা পরিষদকে নতুন নিয়োগ অপরিহার্য
বিটিসিএল এর হিন্দু কর্মচারীকে চাঁদার দাবিতে বিশেষ অঙ্গ কেটে ভারতে পাঠানোর হুমকি
এনা পরিবহনের মালিক এনায়েত উল্লাহর বিরুদ্ধে ১০৭ কোটি টাকার মানিলন্ডারিং মামলা সিআইডি’র
অধরায় গৃহায়ণের প্রশাসক
অনিশ্চয়তায় নির্বাচন
পায়রা বন্দর সংযোগ সড়ক প্রকল্পে উন্নয়ন কাজে স্থবিরতা
দুর্নীতির টাকায় কোটিপতি চসিকের মোরশেদ
রকিবুল হাসান রনি ও তার পরিবারের ভয়ঙ্কর প্রতারণার জাল
পাপ্পীর কানাডা ও আমেরিকার ভিসা বাতিলের আবেদন
আপিল বিভাগের নিদের্শনা অমান্য করে জনবল নিয়োগ
ঘুষ কেলেংকারীতে ১৫ দিন খালি চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের চেয়ার
ওয়েস্টার্ন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের এমডির বিচার চেয়ে ফের দুদকে আবেদন