ঢাকা শনিবার, ২ আগস্ট, ২০২৫

শীলা আহম্মেদ

কয়েক দফায় লোকসানের সম্মুখীণ হয়েও সফল নারী উদ্যোক্তা


তানভীর সানি  photo তানভীর সানি
প্রকাশিত: ১৩-৮-২০২৩ দুপুর ৩:৫৩

জামালপুরের সমভ্রান্ত পরিবারের মেয়ে এবং বউ শীলা আহম্মেদ। হস্তশিল্পের রাজধানী বলা হয় জামালপুরকে। তিনি সেই জেলারই মেয়ে। কাজ করছেন হ্যান্ড স্টিচ, নকশীকাঁথা, চাদর, শাড়ী, থ্রীপিছ, টুপিছ ইত্যাদি আরও কিছু নিয়ে। শুরুতে সম্ভ্রান্ত পরিবারের বউ হয়ে একজন ব্যবসায়ী হয়ে উঠা কঠিন ছিলো অন্য আর দশটা নারী উদ্যোক্তার মতোই। তবুও তিনি চাইতেন আত্মপরিচয়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে। সেই আকাঙ্খা থেকেই ১৯৯৯ সালে শুরু হয় তার উদ্যোক্তা জীবন। কিন্তু তখন নিজেকে সেভাবে প্রকাশ ও প্রচার করেননি তিনি। সংসারের সব কাজ শেষে পরিবারের অন্যরা যখন বিশ্রামে যেত তখন তিনি তাঁর সন্তানকে ঘুম পাড়িয়ে কাজে চলে যেতেন। তাঁর অবসর আর বিশ্রামের সময়টা তার প্রতষ্ঠানকেই দিতেন। শীলা আহম্মেদ তার স্বামীকে বলে তারই ভাড়া দেওয়া রুমগুলো থেকে একটি রুম নিয়ে তার ব্যবসা পরিচালনা করে যাচ্ছিলেন। কিন্তু, তাঁর সফলতায় অন্যকেউ ঈর্ষার রোষানলে পরে ২০০৫ সালে কয়েক দফায় লক্ষাধিক টাকার লোকসানের সম্মুখিন হন শীলা আহম্মেদ। কয়েক দফায় লোকসান  হওয়ায় ভীষণ ভাবে ভেঙে পড়েন তিনি। একবার ভেবে ছিলেন ব্যবসা আর করবেন না। কিন্তু বেশিদিন বসে থাকতেও পারেননি। তাঁর উদ্যোক্তা মন তাকে বেশিদিন বসে থাকতে দেয়নি এমনটাই বলেন শীলা আহম্মেদ।

তিনি বলেন, তাঁর একটি অভ্যাস ছিলো স্বামীর থেকে টাকা চেয়ে নেওয়ায় অস্বস্তি লাগতো। স্বাধীনভাবে পরিবারের ও নিজের জন্য খরচ করতে পছন্দ করতেন তিনি। তাই হাত গুটিয়ে বসে না থেকে আবারও শুরু করলেন তার ব্যবসা। তিনি আরও বলেন, আমি শুধু আমার কথাই ভাবিনি, সমাজে পিছিয়ে পরা নারীদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। অনেকেই আমার সেলাই এর কাজ করে নিজেরাই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক হয়েছেন। অনেক নারীই সংসারের হাল ধরেছেন। কেউ নিজে কিছু করে স্বাধীনভাবে জীবন যাপন করছে। শীলা আহম্মেদ ২০১৭ সালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘নকশা’ প্রতিষ্ঠা করেন। সততা, বিশ্বাস, ধৈয্য ও পরিশ্রম ফলে একটু একটু করে পরিচিতি পেতে থাকে ‘নকশা’ পেইজটি। দেশীয় পণ্য ও কোয়ালিটি সম্পন্ন পণ্য নিয়ে কাজ করছেন। ক্রেতা প্রায় প্রায় সব শ্রেণির ক্রেতারা তার পেইজ থেকে পণ্য ক্রয় করে। সারা দেশে কুরিয়ারের মাধ্যমে তিনি পণ্য পাঠিয়ে থাকেন। ভবিষ্যতে তিনি তার প্রতিষ্ঠানকে আরও বড় করতে চান এবং অধিক লোকের কর্মসংস্থানের ব্যাবস্থা করতে চান। শীলা আহম্মেদ বলেন, আমার জেলা, দেশের জন্য কাজ করে যেতে চাই। একটা করে গ্রাম উন্নত হলে এর প্রভাব উপজেলা, জেলা তারপর সারা দেশেই পরবে এমনটাই বিশ্বাস করেন তিনি।

 

Sunny / Sunny

হোটেল ও রেস্টুরেন্ট শিল্পের সফল জাদুকর সুকান্ত সৈকত

শুরু হয়ে গেল রাঁধুনী নিবেদিত মাংসের সেরা রেসিপি ২০২৫ সিজন ৪ রান্নার প্রতিযোগিতা

অপরাজিতায় কবিতার শাড়ি 

ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাতকে শক্তিশালী করতে এসএমই ফাউন্ডেশন ও অক্সফ্যাম একসাথে কাজ করবে

ঈদ ফ্যাশন ফিক্সেশন এর উদ্বোধন

ভর্তার স্বাদ ও সাতকাহন 

মাসরুমের গুরুত্ব ও মাশরুমের উৎপাদন কৌশল শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা

আমার মমতাময়ী মা 

শেষ হলো আইডিয়া পিচিং কম্পিটিশন ক্রিয়েভেঞ্চার ৩.০

ছোট উদ্যোক্তা থেকে বড় উদ্যোক্তা হওয়ার প্লার্টফর্ম সম্পূর্ণা বাংলাদেশ

টিকটকে যে নারীরা অনুপ্রেরণা যোগায়

চল্লিশেই সফল ব্যবসায়ী- নিয়াজ মোর্শেদ এলিট

ইপি-উদ্যোক্তা প্ল্যাটফর্ম এর বিভিন্ন জেলায় পুষ্পস্তাবক অর্পণ -