ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪

সফলতার আলোয় আলেয়া জামান


ফয়েজ রেজা  photo ফয়েজ রেজা
প্রকাশিত: ১৩-৮-২০২৩ দুপুর ৪:৫২

ছোটবেলায় অধ্যাপনা করার স্বপ্ন দেখতেন আলেয়া জামান। লেখাপড়ার প্রতি তাঁর যে প্রচণ্ড আগ্রহ ছিল, সে আগ্রহ তাঁকে শিক্ষক বা অধ্যাপক হওয়ার স্বপ্ন দেখাত। সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করার পর তাঁর বাবা আশরাফ আলী তাঁকে বিয়ে দেন। সেই থেকে তাঁর স্বামী বদরুজ্জামান রিটন এর সাথে তাঁর সংসার জীবনের শুরু হয়। এরপর চার মাসের সন্তান কোলে নিয়ে তিনি বিএ পাশ করেন। সন্তান কোলে নিয়ে লেখাপড়া করা এবং পরীক্ষায় পাশ করার উদাহরণ এ দেশে নতুন নয়। তবে ৩টি সন্তানের যত্ন ও লেখাপড়া করানোর পাশাপাশি নিজে পড়াশোনা করা এবং একজন উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার দৃষ্টান্ত অবশ্যই প্রশংসার দাবি রাখে। আলেয়া জামান যে কাজটি করেছেন দীর্ঘ ১৩ বছরে।  আলেয়া জামান এর প্রতিষ্ঠানের নাম রে কালেকশন। যা তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন ২০১০ সালে।

আলেয়া জামান জানান- অল্প বয়সে বিয়ে হওয়ার কারণে ছোটবেলার স্বপ্ন ধামাচাপা পড়ে যায় সংসারের ভেতরে। বিয়ের আগে নিজের পোশাক নিজে ডিজাইন করে পরতাম। সে অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে প্রথমে ঘর থেকে শুরু করি পোশাকের ব্যবসা। পরিচিত আত্মীয় স্বজনদের বাসায় দাওয়াত করে খাওয়াতাম আর নিজের নকশা করা পোশাক দেখিয়ে বিক্রি করতাম। নিজের নকশা করা পোশাক বিক্রি করে অর্থনৈতিক লাভের চেয়ে বেশি পেতাম প্রশংসা। এসব প্রশংসাকে অবলম্বন করেই পোশাক নকশার প্রতি আমার আগ্রহ বাড়তে থাকে। আমার নকশা করা পোশাকের প্রতি মানুষের আগ্রহ বাড়তে থাকে। এভাবেই আমাদের উদ্যোগের শুরু। এরপর ঢাকার বিভিন্ন প্রদর্শনীতে পণ্য নিয়ে অংশ নিতাম। এভাবে একবার ভারতে একটি প্রদর্শনীতে অংশ নেওয়ার সুযোগ পাই। সেসময় ভারতের প্রদর্শনীতে আলেয়া জামান নিজের নকশা করা যত পোশাক নিয়ে গিয়েছিলেন, তার সবই বিক্রি হয়ে যায়। এসব পোশাক বিক্রি করে তিনি যে টাকা পেয়েছিলেন, সে টাকা দিয়ে তিনি ভারত থেকে বিভিন্ন নকশার পোশাক কিনে আনেন। যেহেতু তিনি নিজে পোশাক নকশা করতে পারতেন এবং পোশাকের নকশা সম্পর্কে তাঁর ধারণ ছিল, তাই ভারত থেকে পোশাক কেনার সময় আকর্ষণীয় ক্যাটালগের উপর গুরুত্ব না দিয়ে ক্যাটালগের বাইরে নতুন নতুন নকশার পোশাক সংগ্রহ করেন। ব্যতিক্রম নকশার পোশাক সংগ্রহ করার কারণে বাংলাদেশেও তাঁর পোশাকের বিক্রি বেড়ে যায়। বর্তমানে তিনি নিজের নকশা করা পোশাকের পাশাপাশি ভারত থেকে আমদানি করা বিভিন্ন নকশার পোশাক বিক্রি করছেন। নিজের নকশা করা পোশাক বেশি পরিমানে উৎপাদনের জন্য কারখানা স্থাপন ও আরও দক্ষ কর্মী নিয়োগের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য কাজ করছেন।


অল্প মূল্যে আসল নকশার পোশাক গ্রাহকদের কাছে তুলে দিতে পারার কারণে সব বয়সের নারী পুরুষ, ছেলে-মেয়ে রে কালেকশন এর পণ্য কেনে। শাড়ি, সেলোয়ার-কামিজ এর পাশাপাশি নিজস্ব নকশার পাঞ্জাবি তৈরির পরিকল্পনা করছেন। 

আলেয়া জামানের সংসারে এখন ৩ সন্তান। তাঁর বড় ছেলে ইব্রাহিম জামান ইন্ডিপেন্ডেন্ট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ করেছেন চলতি বছরে। বড় মেয়ে ইয়াশফা জামান একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্পূর্ণ স্কলারশিপ নিয়ে বিবিএ সম্পন্ন করেছেন এ বছরের জুনে আর ছোট মেয়ে ইংরেজি মাধ্যমের মাস্টারমাইন্ড স্কুল থেকে ও লেভেল পরীক্ষা দিবে।


আজকের দিনে এসে আলেয়া জামান মনে করেন-আগে নিজের সংসার, সন্তানের যত্ন নেওয়া দরকার। তারপর বাইরের কাজে গুরুত্ব বাড়ানো উচিত। সংসারে যদি সুখ, শান্তি থাকে, তাহলে সংসারে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি দ্রুত আসে। যা তাঁর জীবনে হয়েছে।

Sunny / Sunny

অপরাজিতায় কবিতার শাড়ি 

ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাতকে শক্তিশালী করতে এসএমই ফাউন্ডেশন ও অক্সফ্যাম একসাথে কাজ করবে

ঈদ ফ্যাশন ফিক্সেশন এর উদ্বোধন

ভর্তার স্বাদ ও সাতকাহন 

মাসরুমের গুরুত্ব ও মাশরুমের উৎপাদন কৌশল শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা

আমার মমতাময়ী মা 

শেষ হলো আইডিয়া পিচিং কম্পিটিশন ক্রিয়েভেঞ্চার ৩.০

ছোট উদ্যোক্তা থেকে বড় উদ্যোক্তা হওয়ার প্লার্টফর্ম সম্পূর্ণা বাংলাদেশ

টিকটকে যে নারীরা অনুপ্রেরণা যোগায়

চল্লিশেই সফল ব্যবসায়ী- নিয়াজ মোর্শেদ এলিট

ইপি-উদ্যোক্তা প্ল্যাটফর্ম এর বিভিন্ন জেলায় পুষ্পস্তাবক অর্পণ - 

সম্পূর্ণার দ্বিতীয় চেইন শপের উদ্বোধন

অপরাজিতার পোশাকে কথা, কবিতা ও বর্ণমালার আয়োজন