নার্গিস আহমেদ
১৫৫ আইটেমের পণ্য তৈরি করছে পাট পল্লী
আনা ফ্যাশন বুটিক ও পাটপল্লীর স্বত্বাধিকারী নার্গিস আহমেদ ২০০৬ সালে কাজ শুরু করেন বুটিকস ও হ্যান্ডিক্রাফ্ট নিয়ে। ২০১৫ সালে বিদেশে ট্রেনিং প্রোগ্রামের মাধ্যমে সোনালী আশঁ পাট সম্মন্ধে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারেন। এরপর দেশে ২০১৭ সালে বৈচিত্রময় পাটপণ্য নিয়ে কাজ শুরু করেন। বর্তমানে ১৫৫ আইটেমের পাটজাত পণ্য তৈরি করছে প্রতিষ্ঠানটি। তিনি বলেন পাট আমাদের দেশের জাতীয় সম্পদ ও পরিবেশ বান্ধব পণ্য।
জীবনযাপনে বৈচিত্র এবং ভিন্ন আমেজ নিয়ে আসায় পাটের তৈরি পণ্যের চাহিদা বাড়ছে দিনদিন। পাটপণ্যে দেখে বোঝার উপায় নেই, কী দিয়ে তৈরি। পাটের সুতা এখন অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে নিখুঁত ও মসৃণ করা হচ্ছে। সৌন্দর্য ও নান্দনিকতার কারণে অনেকেরই নজর কাড়ছে পাটজাত পণ্য। বিশ্বের প্রায় ৮০ শতাংশ পাট বাংলাদেশে উৎপাদিত হয়। পাটের তৈরি পণ্য দীর্ঘস্থায়ী ও মজবুত হয় বলে দেশে ও বিদেশে পাটের তৈরি পণ্যের চাহিদা ব্যাপক। পাট রপ্তানি প্রসঙ্গে আনা ফ্যাশন বুটিক ও পাটপল্লীর স্বত্বাধিকারী নার্গিস আহমেদ বলেন, রপ্তানি করার অভ্যন্তরিন কিছু সমস্যা রয়েছে। আমাদের পণ্যের মূল্য ভারতের পণ্যের চেয়ে কিছুটা বেশি পরে যায়। এটার জন্য সরকারী কিছু দিক নির্দেশনা থাকা দরকার। রপ্তানির ক্ষেত্রে কিছু কিছু পরিবর্তন করা খুবই জরুরী। তিনি আরও বলেন, পাট পণ্য প্রস্তুতকারকদের দেখাশোনার জন্য সরকারী একটা প্রতিষ্ঠান আছে যার নাম জুট ডাইভারসিফেকেশন প্রমোশন সেন্টার, জেডিপিসি। কিন্তু সেটা কোন নিজস্ব ভিত নাই। জুট ডাইফারসিফাইড পণ্য সারা বিশ্ব ছড়িয়ে দিতে হলে প্রথমত জেডিপিসিকে শক্তস্থানে দাড় করাতে হবে।
পাটপণ্যের হারানো ঐতিহ্য আবার ফিরে আসছে। প্রায় ১১৮টি দেশে আমাদের পাটজাত পণ্য রপ্তানি হচ্ছে। দেশের মানুষ সচেতনভাবে পরিবেশবান্ধব পাটজাত পণ্য ব্যবহারে আগ্রহী হয়ে উঠছে। আনা ফ্যাশন বুটিক ও পাটপল্লীর স্বত্বাধিকারী নার্গিস আহমেদর স্বপ্ন দেখেন পৃথিবী আনাচে কানাচে পাট পণ্য ছড়িয়ে দিতে চাই এবং পরিবেশ, নদ-নদী এবং সমুদ্রকে বাঁচাতে চাই। পাটের সোনালী যৌবন ফিরিয়ে একদিন বাংলাদেশ হবে পাট হীড়কের দেশ।
Sunny / Sunny