ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪

ফাতেমা জান্নাত তারান্নু

ডিপ্রেশন জয় করে সফল নারী উদ্যোক্তা ফাতেমা 


তানভীর সানি  photo তানভীর সানি
প্রকাশিত: ১৯-৮-২০২৩ দুপুর ১:২৩

ফাতেমা জান্নাত তারান্নু ছোট বেলায় একজন ডাক্তার হয়ে মানুষের সেবা করার স্বপ্ন দেখতেন। পরবর্তীতে একটু বড় হয়ে শিক্ষক হওয়ার চেষ্টা করেছেন। কারণ তাঁর মনে হতো শিক্ষকতা একটি সম্মানজনক পেশা। তবে বর্তমানে তিনি একজন খাবারের উদ্যোক্তা। সেই সাথে একজন ফ্রিল্যান্সার। এ বিষয়ে দৈনিক সকালের সময়কে ফাতেমা জান্নাত তারুন্নু জানান, ২০১৬ সালে ৫ ফেব্রুয়ারিতে আমি আমার প্রথম কন্যা সন্তান কে ডেলিভারির সময়ে হারিয়ে ফেলি। এই কষ্ট টা এতো বেশি ছিলো তখন কিছু মানুষের তিরস্কার আর কটু কথায় জর্জরিত হয়ে একদম ডিপ্রেশনে চলে গেছিলাম। এই অবস্থা থেকে মুক্তির জন্য নিজেকে রান্না বান্নায় ব্যাস্ত করে ফেলি। সেই থেকে মনে হলো আমি একজন উদ্যোক্তা হয়ে নিজের একটা পরিচয় তৈরি করতে পারি। ফাতেমার উদ্যোগের নাম Misty kutum উদ্যোগটি ২০১৯ সালের ২২ মার্চ শুরু করেছেন। সিগ্নেচার ডিশ হচ্ছে নোয়াখালী জেলার বিখ্যাত খাবার মরিচ খোলা। সেই সাথে সকল ধরনের কাস্টমাইজ দেশি-বিদেশী আইটেম এর পাশাপাশি বেকিং আইটেম ও রয়েছে প্রতিষ্ঠানটিতে। বিভিন্ন অফিসে ডেইলি খাবারের পাশাপাশি অকেশন গুলোতেও খাবার সার্ভ করে মিস্টি কুটুম। প্রায় ১০০ থেকে ৩০০ মানুষের অর্ডার ক্যাপাসিটি রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির। বর্তমানে মিস্টি কুটুমে রয়েছে ৫ জন কর্মী। বাৎসরিক লেনদেন সম্পর্কে ফাতেমা বলেন, মূলত অর্ডারের উপরে নির্ভর করে থাকে। কখনো দেখা যায় যে ২দিনে ২টা বড় অর্ডারেও ১ লাখ টাকার অধিক সেল হয়। আবার সপ্তাহে ও অর্ডার প্রেসার কম থাকলে ৫০ হাজার টাকাও সেল হয় না। অ্যাভারেজে বাৎসরিক লেনদেন ৫ থেকে ১০ লাখ টাকা।
রান্না করা খাবার আইটেম নিয়ে কাজ করাতে পুরো ঢাকা শহরে খাবার ডেলিভারি দিয়ে থাকে প্রতিষ্ঠানটি। ফাতেমা স্বপ্ন দেখেন খুব শিঘ্রীই মিষ্টি কুটুমের একটা আউটলেট হবে যেখানে সবাই ফ্রেশ ভেজালমুক্ত রান্না করা খাবার নিশ্চিন্ত মনে খেতে পারবে। ভবিষ্যতে ঢাকা শহরের প্রত্যেকটা এরিয়াতে একটা করে Misty kutum এর ব্রাঞ্চ খোলার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারি।


ফাতেমা জান্নাত তারান্নু এর বাবার নাম মোঃ আনোয়ার হোসেন। মায়ের নাম তাহেরা খানম। ছোটবেলা কেটেছে নোয়াখালী জেলার মাইজদী শহরের কালিতারাতে সল্যাগটিয়া গ্রামে। সেখানে নুরানি মাদ্রাসা থেকে পাশ করে কালিতারা মুসলিম গার্লস একাডেমি থেকে বিজ্ঞান বিভাগে এস এস সি, নোয়াখালী সরকারি মহিলা কলেজ থেকে ব্যাবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে এইচএসসি পাশ করেন। এরপর বিয়ে হয়ে যাওয়াতে ঢাকায় আসেন। বর্তমানে সরকারি তিতুমীর কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি নিয়ে এম,বি,এস করছেন।  সেইসাথে দেশ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে ফাইন আর্টস এ ডিপ্লোমা করছেন। ফাতেমার স্বামীর নাম মোঃ নুরুল আফসার রাজীব। একজন চার্টার্ড একাউন্টেন্ট। আইসিএমএবি থেকে সিএমএ ডিগ্রি কমপ্লিট করে একজন এসিএমএ। বর্তমানে তিনি একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে সিনিয়র ম্যানেজার এর পোস্টে কর্মরত আছেন। এই দম্পতির ৩সন্তানের ভিতরে মেহজাবিন বিনতে আফসার এখন আমাদের মাঝে নেই। ২য় সন্তান মোঃ মেহরান আফসার। বয়স ৫ বছর সে আল-আযহার ইইন্টারন্যাশনাল গ্রামার স্কুলে নার্সারীতে পড়াশোনা করছে। ৩য় সন্তান মারইয়াম বিনতে আফসার। বয়স ১১মাস। বর্তমানে ফাতেমা ঢাকার উত্তরাতে অবস্থান করছেন। বাসা থেকেই নিজের উদ্যোগটি পরিচালনা করছেন।

Sunny / Sunny

অপরাজিতায় কবিতার শাড়ি 

ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাতকে শক্তিশালী করতে এসএমই ফাউন্ডেশন ও অক্সফ্যাম একসাথে কাজ করবে

ঈদ ফ্যাশন ফিক্সেশন এর উদ্বোধন

ভর্তার স্বাদ ও সাতকাহন 

মাসরুমের গুরুত্ব ও মাশরুমের উৎপাদন কৌশল শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা

আমার মমতাময়ী মা 

শেষ হলো আইডিয়া পিচিং কম্পিটিশন ক্রিয়েভেঞ্চার ৩.০

ছোট উদ্যোক্তা থেকে বড় উদ্যোক্তা হওয়ার প্লার্টফর্ম সম্পূর্ণা বাংলাদেশ

টিকটকে যে নারীরা অনুপ্রেরণা যোগায়

চল্লিশেই সফল ব্যবসায়ী- নিয়াজ মোর্শেদ এলিট

ইপি-উদ্যোক্তা প্ল্যাটফর্ম এর বিভিন্ন জেলায় পুষ্পস্তাবক অর্পণ - 

সম্পূর্ণার দ্বিতীয় চেইন শপের উদ্বোধন

অপরাজিতার পোশাকে কথা, কবিতা ও বর্ণমালার আয়োজন