ফারহান ই সাফরিন
দেশের বাইরেও ক্রেতা রয়েছে দেশী অম্বরের

ছোটবেলা থেকেই সাংস্কৃতিক অঙ্গনে জড়িত ছিলেন উদ্যোক্তা ফারহান ই সাফরিন। নাচ, গান আবৃত্তি সব কিছুতেই ছিল পদচারণা। শিশু একাডেমি, জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ, নতুন কুঁড়ি সহ জাতীয় পুরষ্কারও আছে তাঁর ঝুলিতে। শিক্ষকতা করেছেন বগুড়া শিশু একাডেমির নৃত্য বিভাগে। শিল্প জগতে থাকার কারণে নৃত্যের নানান রকম পোশাকের ডিজাইনে মন কাড়তো তাঁর। তখন রেডিমেড কোন পোশাকের চেয়ে নিজের ডিজাইন করা পোশাক পড়তেই পছন্দ করতেন ফারহার ই সাফরিন। সেই থেকেই মনের কোনে সুপ্ত ভাবেই হয়তো ডিজাইনার হবার স্বপ্ন দেখেছেন তিনি। সেই সূত্রধরে পড়াশোনাও করেছেন বস্ত্র পরিচ্ছদ ও বয়নশিল্পে। বর্তমানে শিক্ষকতা পেশায় আছেন এই নারী উদ্যোক্তা। পাশাপাশি তার নিজের উদ্যোগ নিয়ে এগিয়ে যাবার স্বপ্ন দেখছেন। করোনা কালীন সময়ে সবকিছু যখন স্থবির ছিলো। যারা বেসরকারি চাকরি করতেন তারা ছিল হতাশায় নিমজ্জিত। সাফরিনও এর ব্যতিক্রম ছিলেন না। স্কুল বন্ধ হওয়াতে চোখে যেন সরষে ফুল দেখছিলেন। ফারহান ই সাফরিন জানান- সেই সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি নারী উদ্যোক্তা সংগঠনের সাথে যুক্ত হই। সংগঠনটির সহযোগিতায় সব কিছুই যেন মুহূর্তে বদলে যেতে শুরু করে। অনলাইন ভিত্তিক ব্যবসার খুটিনাটি বিষয়ে ট্রেনিং নিয়ে ২০২০ সালে ‘দেশি অম্বর’ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে স্বপ্ন বোনা শুরু। ২০২১ সালে অনলাইনে পোক্ত ভাবে পদচারণা করে ‘দেশি অম্বর’। প্রতিষ্ঠানটি দেশীয় পোশাকের চাহিদা মেটাতে বদ্ধ পরিকর। মূলত পোশাকে হ্যান্ড পেইন্ট নিয়ে যাত্রা শুরু হলেও পরবর্তীতে কাঠের ব্লক, টাই-ডাই, বাটিক ও ন্যাচারাল ডাই নিয়ে কাজ করছি। ছোট ও বড়দের পাঞ্জাবি, কুর্তি, শাড়ি, থ্রি পিস সহ ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী কাজ করে থাকি। ঢাকা সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় দেশি অম্বরের ক্রেতা আছে।
এছাড়াও দেশের বাইরেও ক্রেতা রয়েছে দেশি অম্বরের। ন্যাচারাল ডাই এর পাঞ্জাবি, কুর্তি, শাড়ি আর ফ্যামিলি কম্বোর দারুণ সাড়া পেয়েছি। শুধু ফ্যাশন নয় ক্রেতারা তাঁত, খাদি, সিল্ক আরামদায়ক পোশাকও স্বাদ ও সাধ্যের মাঝে ভীষণ পছন্দ করছে। ফারহান ই সাফরিন বলেন, গ্লোবাল ওয়ার্মিং এর কারণে পরিবেশ বান্ধব সবকিছুর ভূমিকা আছে। সেক্ষেত্রে পোশাক কেন নয়! ইকো ফ্রেন্ডলি কালার ও দেশীয় কাপড়ের জুটি এর চেয়ে ভালো আর হতেই পারে না। সামনে এটা নিয়ে বড় পরিসরে কাজ করার ইচ্ছে আছে। এছাড়া কাঠের ব্যাগে হ্যান্ডপেইন্ট ও জামদানী মোটিভে কাজ করছি যা ক্রেতার হৃদয় জয় করেছে। নানান রকম নতুন কাজ সামনে আরো আসবে ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী। ভবিষ্যতে নিজস্ব কারখানা দেবার স্বপ্ন দেখি যেখানে সুবিধা বঞ্চিত নারীদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারবো। মহিলা বান্ধব পরিবেশ, ট্রেনিং ও সরকারি ঋনের ব্যবস্থা সহজ করতে পারলে মহিলারা জাতীয় অর্থনীতিতে আরো বেশি ভূমিকা রাখতে পারবে।
ফারহান ই সাফরিনের ছোট বেলা কেটেছে বগুড়া শহরের প্রাণকেন্দ্র জলেশ্বরীতলা এলাকায়। সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এস এস সি, সরকারি আজিজুল হক কলেজ, বগুড়া থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় উর্ত্তীণ হয়ে স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্য নিয়ে ঢাকার হোম ইকোনমিকস কলেজে (বর্তমান কলেজ অফ এপ্লাইড হিউম্যান সাইন্স) বস্ত্র পরিচ্ছদ ও বয়ন শিল্প বিভাগ থেকে কৃতিত্বের সাথে মাস্টার্স সম্পন্ন করেছেন। এছাড়াও বিজিএমইএ থেকে ফ্যাশন ডিজাইনিং এর উপর কোর্স করেছেন। মা বাবা দুইজনই শিক্ষকতা পেশায় ছিলেন। মা খোদেজা খাতুন ও বাবা হাজী মোঃ মোখলেছুর রহমান। তার এক ছেলে বিএএফ শাহীন কলেজে ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র। সাফরিনের কাজে সবচেয়ে বেশি সহায়তা করে তার ছেলে। হাজবেন্ড একটা প্রাইভেট কোম্পানিতে আছেন। ফারহান ই সাফরিন বলেন, সমাজে বেশিরভাগ নারী পিছুটানের কারণে নিজের ভেতরে রাখা গুণ গুলো বিকশিত হবার আগেই সেক্রিফাইজ করে। তা না করে যখনই কম্প্রোমাইজ করতে পারবে পরিবারের কাছের মানুষটা তখনই দারুণ কিছু হবে। ইচ্ছেশক্তি, কিছু করার স্বপ্ন আর স্বপ্নের মেলবন্ধন সমাজের বাঁধা অতিক্রম করতে সহায়তা করে।
Sunny / Sunny

হোটেল ও রেস্টুরেন্ট শিল্পের সফল জাদুকর সুকান্ত সৈকত

শুরু হয়ে গেল রাঁধুনী নিবেদিত মাংসের সেরা রেসিপি ২০২৫ সিজন ৪ রান্নার প্রতিযোগিতা

অপরাজিতায় কবিতার শাড়ি

ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাতকে শক্তিশালী করতে এসএমই ফাউন্ডেশন ও অক্সফ্যাম একসাথে কাজ করবে

ঈদ ফ্যাশন ফিক্সেশন এর উদ্বোধন

ভর্তার স্বাদ ও সাতকাহন

মাসরুমের গুরুত্ব ও মাশরুমের উৎপাদন কৌশল শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা

আমার মমতাময়ী মা

শেষ হলো আইডিয়া পিচিং কম্পিটিশন ক্রিয়েভেঞ্চার ৩.০

ছোট উদ্যোক্তা থেকে বড় উদ্যোক্তা হওয়ার প্লার্টফর্ম সম্পূর্ণা বাংলাদেশ

টিকটকে যে নারীরা অনুপ্রেরণা যোগায়

চল্লিশেই সফল ব্যবসায়ী- নিয়াজ মোর্শেদ এলিট
