রাকিবা আহমেদ
সমাজের দায়বদ্ধতা থেকে উদ্যোক্তা হলেন রাকিবা আহমেদ
রাকিবা আহমেদ এর বাবা মোঃ করিরুর রহমান ছিলেন একজন শিক্ষক। বাবাকে দেখে তিনিও এক সময় শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন। জীবনের প্রথম চাকরিটিও তিনি নিয়েছিলেন একজন শিক্ষক এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে। বর্তমানে নিজেকে উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। উদ্যোক্তা পরামর্শক হিসেবে বিভিন্ন সভা সেমিনারে অংশ নেন। উদ্যোক্তা হওয়া প্রসঙ্গে রাকিবা আহমেদ জানান- ‘একজন মানুষ হিসেবে সমাজের সর্বস্তরের মানুষের প্রতি কিছু দায়বদ্ধতা থাকে। আর সেই দায়বদ্ধতা থেকেই উদ্যোক্তা হতে সিদ্ধান্ত নেই।’ করোনা কালীন পৃথিবীর সব মানুষের মতো বাস্তবতার মুখোমুখি হয়েছেন এদেশের উদ্যোক্তারা। বাংলাদেশে এ বাস্তবতার সবচেয়ে বেশি মুখোমুখি হয়েছে তাঁতী সমাজ। বহু তাঁত বন্ধ ছিল সে সময়। তাঁতীদের তৈরি শাড়িগুলো বিক্রি করা নিয়ে অনেকেই চ্যালেঞ্জের সম্মুখিণ হয়েছেন। সে সময় অনেক তাঁতী অনুরোধ করেছেন তাঁদের শাড়িগুলো বিক্রি করে দেওয়ার জন্য। তাঁতীদের সহযোগিতা করার জন্য তিনি শুরু করেন স্টুডিও বুনন। ২০২০ সালের ৮ জুলাই তিনি এটি প্রতিষ্ঠা করেন। নতুন উদ্যোগ শুরু করার পর ফেসবুকে প্রথম একটি পোস্ট দিয়েই পাঁচটি জামদানি শাড়ির অর্ডার আসে তাঁর কাছে। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। এখনও তিনি বিক্রি করেন জামদানি শাড়ি। তাঁত পণ্য নিয়ে কাজ করতে ভালোবাসেন। ক্রেতাদের আগ্রহের কারণে জামদানির সাথে যুক্ত করেছেন মসলিন শাড়ি। ক্রেতাদের কাছ থেকে মসলিন শাড়ির বিষয়েও বেশ সাড়া পাচ্ছেন।
বর্তমানে তাঁর প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন ৫ জন কর্মী। অনলাইনে ব্যবসা করেন। তাই বেশিরভাগ গ্রাহক ফেসবুক পেইজের মাধ্যমে কেনেন তাঁর পণ্য। তাঁর পরিচিত বন্ধু, আত্বীয় স্বজন তাঁর পণ্যের প্রধান ক্রেতা। স্টুডিও বুনন এর একটি আউটলেট করার স্বপ্ন দেখেন তিনি। রাকিবা আহমেদ এর জন্ম পুরানা ঢাকার পোস্তগোলায়। সেখানেই তাঁর বেড়ে ওঠা। মায়ের নাম তাসলিমা কবির। মনিজা রহমান উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়, বাংলাবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ফ্যাশন ডিজাইন এ পড়াশোনা করেছেন তিনি। তাঁর স্বামী মোঃ মোস্তাক আহমেদ ব্যবসায়ী, মেয়ে আনিকা আহমেদ ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার সায়েন্স এ পড়াশোনা করছেন, ছেলে আবির আহমেদ বিআইটিতে পড়াশোনা করছেন।
Sunny / Sunny