মায়মুনা হুসাইন
নিজের একটা পরিচয় প্রতিটি মেয়ের থাকা জরুরি
রক্ষণশীল পরিবারে মায়মুনা হুসাইন বড় হয়েছেন। বাবা ছিলেন একজন ডাক্তার। তিনিও ছোট থেকেই ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন। কিন্তু পরিবারের কোন সাপোর্ট ছিল না। নিজের আইডেন্টিটি ক্রাইসিস নিয়ে মনের কোনে কষ্ট লুকিয়ে ছিলো মায়মুনার। ছোটবেলা কেটেছে নরসিংদীতে এবং সেখানেই লেখাপড়া করেছেন। বিয়ের পর দুই সন্তানের জননী হন মায়মুনা। থাকেন ঢাকার উত্তরাতে। করোনা কালীন সময়ে ২০২০ সালের লকডাউনে সবাই যখন ঘরে বন্দী সেই সময় শখের বসে মায়মুনার স্বামী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পেইজ খুলে দেয়। মূলত রান্নার প্রতি ভালোলাগা থেকেই হোমমেইড ফুড নিয়ে পেইজটি খোলা। দৈনিক সকালের সময়কে মায়মুনা জানান, নিজের নামে মানুষ আমাকে চিনুক এ চিন্তা থেকেই আমার ডাক নাম থেকেই উদ্যোগের নাম রাখা Mynu's delicious recipes. এরপর একটি নারী উদ্যোক্তা সংগঠনের সহযোগিতায় নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন। অনলাইনে রান্না বিষয়ক বিভিন্ন কোর্স সম্পন্ন করেন। বর্তমানে নিজে হাতেই তাঁর উদ্যোগ সামলাচ্ছেন। তার প্রতিষ্ঠানের সিগনেচার ডিশ রসমালাই যা যা পিউর ছানা দিয়ে তৈরি। মূলত সুইট এন্ড স্ন্যাকস্ নিয়ে কাজ করছেন তিনি। এছাড়াও হোমমেড মিষ্টি, শীতের পিঠা , বাচ্চাদের টিফিন আইটেম হিসেবে আছে অনেক ধরনের ফ্রোজেন ফুড। মায়মুনা জানান, মিষ্টি অনেকের পছন্দ হলেও অনেকে সুগার এভয়েড করার কারণে খেতে পারেন না তাদের জন্য কাস্টমাইজড সুগার ফ্রী রসমালাই তৈরি করে থাকি। এছাড়াও কাস্টমারের পছন্দ অনুযায়ী হালকা মিষ্টি দিয়েও সুইটস্ বানানো হয়। খেজুর গুড়ের রসগোল্লা আমার পেইজের একটা পপুলার আইটেম। অনেকেই এটা খুব পছন্দ করেন। পরিবার থেকেও সাপোর্ট পাচ্ছেন ভালো। উৎসাহ পাচ্ছেন সবার। বর্তমানে তার রিপিট কাস্টমারই বেশি। ভবিষ্যতে সন্তানেরা বড় হলে উদ্যোগটি আরও বড় পরিসরে করার পরিকল্পনার আছে। মায়মুনা বলেন, উদ্যোগ আমার মানসিক শক্তি, একটা ভাললাগার জায়গা। নিজের একটা পরিচয় প্রতিটি মেয়ের থাকা জরুরি। আমার উদ্যোগের আরেকটা উদ্দেশ্য ফ্রেশ এবং হাইজিন ফুড টা মানুষের হাতে তুলে দেয়া।
Sunny / Sunny