মিতু রানী সেন
উদ্যোক্তা হবার আগে কোন কিছুতেই সফল ছিলেন না
ছোট বেলায় ডাক্তার হতে চেয়েছিলেন মিতু রানী সেন কিন্তু স্বপ্ন পূরণ হয়নি। পরবর্তীতে সরকারি চাকরিজীবী হতে চেয়েছিলেন। বিভিন্ন পরীক্ষায় অংশগ্রহন করেছেন তাতেও সফল হতে পারেননি। বর্তমানে তিনি একজন উদ্যোক্তা। এ বিষয়ে দৈনিক সকালের সময়কে তিনি জানান- কোন কিছুতেই যখন সফল হতে পারলাম না তখন একটি প্রাইভেট স্কুলে জয়েন করেছিলাম। এর মধ্যেই বিয়ে হয়ে যায়। দুই বছর চাকরির পর, হাজবেন্ডের চাকরি সূত্রে টঙ্গী তে চলে আসি। তারপর নিজে কিছু একটা করার চেষ্টা করি। এরপর গহনা আর পাটপণ্য নিয়ে প্রথম কাজ শুরু করি। পরে আর চাকরির চেষ্টা করিনি। আমার মনে হয়েছে ঘরে বসে সংসারের পাশাপাশি নিজের জন্যও কিছু একটা করবো। পড়াশোনা শেষ করে শুধু সংসার করবো এটা কখনো চাইনি। এজন্যই আমার উদ্যোগ শুরু করি। ”ভিন্নমাত্রা ” আমার উদ্যোগের নাম। ২০২০ সালে এর যাত্রা শুরু হয়। মিতু রানী সেন উদ্যোগের প্রথম পণ্য হাতে তৈরি গহনা দিয়ে শুরু করেন। এরপর বিভিন্ন ধরনের হাতে তৈরি পাটপণ্য, রংপুরের শতরঞ্জি, টেবিল রানার, ডোরমেট, জুট রাগ, জুট কটন ব্যাগ, বেডশিট,শাল তাঁর প্রতিষ্ঠানে পাওয়া যায়। উদ্যোগ এখনো ছোট তাই নিজে সব কাজ করেন। তাঁর স্বামী সাহায্য করেন ডেলিভারি সংক্রান্ত কাজে। বছরে লেনদেন করেন প্রায় দুই থেকে তিন লাখ টাকা। রংপুরে তাঁর প্রতিষ্ঠানের পণ্যের চাহিদা বেশি। অনলাইনেই পণ্য বিক্রী করছেন মিতু। পরবর্তীতে একটা শোরুম নেয়ার পরিকল্পনার কথা জানান। মিতু রানী সেন ছোটবেলা কেটেছে ঠাকুরগাঁওয়ে। ঠাকুরগাঁওয়েই পড়াশোনা করেছেন। তাঁর বাবার নাম অমল কুমার সেন ও মায়ের নাম সাবিত্রী রানী সেন। স্বামী তন্ময় বসাক। বর্তমানে টঙ্গীতে থেকেই তাঁর উদ্যোগ পরিচালনা করছেন।
Sunny / Sunny