সাবরীনা নাসরীন
করোনা কালীন অসুস্থ রোগীদের সেবার মাধ্যমে উদ্যোক্তা জীবন শুরু
সাবরীনা নাসরীনের ছোট বেলায় ইচ্ছা হতো বড় হয়ে ডাক্তার হবেন। একটু বড় হয়ে আমার ইচ্ছা ছিল শিক্ষকতার পেশায় নিজেকে নিয়োজিত করার অথবা সরকারি কোন চাকুরি করার। অল্প বয়সে বিয়ে হওয়ায় সব ইচ্ছা অসম্পূর্ণ ছিল। কিন্ত লেখাপড়াতে হাল ছাড়েননি। মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেচেন। সংসারের পাশাপাশি বর্তমানে সাবরীনা নাসরীন একজন উদ্যোক্তা। করোনাকালীন সময়ে যখন চারিদিক ভয় আর ভয় কাজ করছিল তখন তাঁর মনে হয়েছিল কোন ভাবে যদি অসুস্থ রোগীদের জন্য কিছু করা যেত। সাবরিনার তেমন কোন ভয় ছিল না নিজের জীবনের জন্য। সে ইচ্ছা থেকেই কাজ শুরু করেছিলেন হাসপাতালের রোগীদের জন্য খাবার পাঠিয়ে। তখন থেকেই মূলত সাবরীনার উদ্যোক্তা জীবনের শুরু। ২০২০ সালে "নিরাপদ রান্না " নামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পেইজ প্রতিষ্ঠা করেন। ঘরের তৈরি স্বাস্থ্যসম্মত সকল তৈরি খাবার, ফ্রোজেন খাবার, গুঁড়া মসলা সেল করে প্রতিষ্ঠানটি।
বর্তমানে তাঁর প্রতিষ্ঠানের কর্মীর সংখ্যা ৬ জন । প্রতিষ্ঠানটি ক্যাটারিংয়ের কাজ করছে। প্রতিদিন ৩৫ থেকে ৪০ জনের অফিস লাঞ্চ সরবরাহ করে থাকে। পাশাপাশি অনলাইন অর্ডার গুলোও সরবারাহ করে। বছরে লেনদেন প্রায় ১৩ লাখ টাকা। সাররীনার প্রতিষ্ঠান পুরো ঢাকা শহরে খাবার সাপ্লাই দিয়ে থাকে। তবে উত্তরা থেকে কাজ করার জন্য উত্তরা জন্য বিশেষ বিশেষ অফার দিয়ে থাকে। সাবরীনা তাঁর প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে দৈনিক সকালের সময়কে জানান-ঘরে বসে কাজ করছি একদম নিজ হাতে রান্না করা খাবার আর মসলা নিয়ে। হোমমেড মানেই নিরাপদ আর নির্ভেজাল খাবার। তাই আমি চাই না কর্মী বাড়িয়ে অনেক বেশি অর্ডার নিয়ে আমার খাবারের রেকর্ড খারাপ করতে ।তবে কাজের পরিধি টা আর একটু বাড়াতে চাই যা আমার সাধ্যের মধ্যেই রাখতে পারবো ইনশাআল্লাহ। হোমমেড খাবারের পাশাপাশি আমি একটা রেস্টুরেন্ট দেওয়ার পরিকল্পনা করি। যেখানে হাইজেনিক মেনটেইন করে স্বাস্থ্যসম্মত খাবার তৈরি করা হবে । সাবরীনার বাবার নাম মোঃ আবুল কালাম আজাদ এবং মাতার নাম- রোকসানা পারভীন। সাবারিনা জামালপুরের মেয়ে। দেওয়ানগঞ্জ থানার জিল বাংলা সুগার মিলস্ উচ্চ বিদ্যালয়ে থেকে এসএসসি পাশ করেন। এরপর টঙ্গী কলেজ থেকে মাস্টার্স ডিগ্রী সম্পন্ন করেছেরন। তাঁর দুই সন্তান। বড় ছেলে মুনতাসির আজাদ বর্তমানে "রাজুক উত্তরা মডেল কলেজের"-নবম শ্রেণির ছাত্র। মেয়ে "স্কুল অফ বিগনাসে" দ্বিতীয় শ্রেনীতে পড়ে। বর্তমানে তিনি উত্তরা অবস্থান করে ঘরে বসে উপার্জন করছেন।
Sunny / Sunny