নভেরা শবনম নভু
সুগন্ধি আপু নামেই পরিচিত

একজন স্বপ্ন বিলাসী মানুষ। ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন বুনতে পছন্দ করেন এখনো স্বপ্ন বুনেই চলেছেন। কখনো ম্যাজিশিয়ান আবার কখনো সুপার ওমেন নতুবা পাইলট। তিনি একেক সময় একেকটা স্বপ্ন কল্পনা করেন। নভেরার বাবা ছিলেন বন্ধুর মতো। ছোটবেলায় তিনি সেভাবেই বড় হয়েছেন। শাষন থাকলেও তাঁর সবটাতে বারন,বাধা ছিলো না। এসএসসি দেয়ার পরেই ঢাকায় আসেন পড়াশোনার জন্য। হোম ইকোনমিক্সে পড়াকালীন সময়েই চাকরি শুরু করেন। যেখানেই গিয়েছেন ইন্টারভিউ দিতে নিজের যোগ্যতা বুঝে কোথাও কখনোই রিজেক্ট হননি। চাকরি করেছেন টানা দশ বছর বিভিন্ন কর্পোরেট অফিসে। বিয়ের ছয় মাস পর সন্তান সম্ভাবা হলে চাকরি ছেড়ে দেন স্ব-ইচ্ছায়। নভেরা একে একে দুই সন্তানের জননী হন। তাঁর বাবা যেমন ছিলেন বন্ধু তেমনি এক বন্ধুকে বিয়ে করেছেন। স্বামীকেও সবসময় পাশে পেয়েছেন বন্ধু হিসেবে। কখনোই বসে থাকার মানুষ নভেরা ছিলেন না। ছোট একটা ফ্যাক্টরি ছিলো তাঁর। সেখানে জেন্টস, রেডি গার্মেন্টস আইটেমের পণ্য তৈরি করা হতো। সেটা থেকেই একটা শো রুম দিয়েছিলেন নিজস্ব ব্রান্ডের। কিন্তু পাঁচ বছর পরে লোকবলের অভাবে বন্ধ করে দেন। এরপর কিভাবে কি করবেন এ নিয়ে মনের ভেতর চলছিলো ছুটোছুটি। করনাকালীন সময়ে গৃহবন্দি থাকা অবস্থায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখা পান উই এর। সেখানে দেশি পণ্য নিয়ে অনলাইনে হাজার হাজার মেয়েদের কাজ করা দেখেন। এরপর ২০২০ সালে সংগঠনটির একজন হয়ে যান নভেরা। স্বামীর পরামর্শে নিজেদের জমির সুগন্ধি চিনিগুঁড়া চাল দিয়েই উদ্যোগ শুরু করেন। শুরুতেই ভালো সাড়া পেতে থাকেন। নভেরা বলেন, নারী উদ্যোক্তা সংগঠনটিতে তখন হাজার থেকে লক্ষ্য নারীর এক প্লাটফর্ম। এখন অবশ্য চৌদ্দ লাখেরও বেশি। এতো মানুষের ভীড়ে চেষ্টা ছিল নিজের ব্রান্ডিং তৈরি করা। যখন আমার উদ্যোগ এবং আমার একটা পরিচিতি তৈরি হলো দেখলাম অনেকেই আমাকে ভালোবেসে নাম দিয়েছে সুগন্ধি আপু’। বুঝলাম আমার নিজের লেখা কন্টেন্ট এবং আমার পণ্য একটা অবস্থান তৈরি করতে পেরেছে।
নভেরার প্রতিষ্ঠানের নাম ‘আয়োজন’। প্রতিষ্ঠানটিতে পাওয়া যায় নিজ জমির সুগন্ধি চিনিগুঁড়া চাল, মৌসুমী ফল, নিজস্ব বাগানের দিনাজপুরের লিচু এবং আম, সঙ্গে দেশি পোশাক। প্রতিষ্ঠানটির ক্রেতা সারাদেশ জুড়েই আছে। এছাড়াও ছোট পরিসরে তাঁর পণ্য চিনিগুঁড়া দেশের বাইরেও পাঠিয়েছেন। বছরে আয় করছেন প্রায় আড়াই থেকে তিন লাখ টাকা। নভেরা শবনম নভুর জন্ম এবং বেড়ে ওঠা দিনাজপুর জেলায়। ছোটবেলা থেকেই স্কুল শিক্ষক বাবা নাচ, গান আবৃত্তিতে উৎসাহ দিয়েছেন। তাই বেশ কিছু জাতীয় পুরস্কারও আছে তাঁর ঝুলিতে। মা ছিলেন গৃহিনী। সহপাঠী বন্ধুকে জীবন সঙ্গী হিসেবে বেছে নিয়েছেন। তাঁর নাম আজম। নভেরা বলেন, আমার সব কাজে স্বামীর সাপোর্ট না পেলে এতোটা সহজ হতো না আমার এই পথ চলা। এছাড়াও তাঁর সন্তানেরা তাকে সহযোগীতা করে। ভবিষ্যতে আমার উদ্যোগকে আমি আরও সামনে এগিয়ে নিতে চাই। আর তাই সেই পরিকল্পনা নিয়েই এগোচ্ছি। নভেরার দুই সন্তান বড় মেয়ে আদিবা ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ছে। আর ছোট ছেলে ইফরাজ প্লে গ্রুপে। অনলাইনে ঘরে বসেই তাঁর প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছেন। বর্তমানে তিনি উই প্লাটফর্মের মোহাম্মদপুর এরিয়ার একজন কো-অর্ডিনেটরের দায়িত্ব পালন করছেন।
Sunny / Sunny

হোটেল ও রেস্টুরেন্ট শিল্পের সফল জাদুকর সুকান্ত সৈকত

শুরু হয়ে গেল রাঁধুনী নিবেদিত মাংসের সেরা রেসিপি ২০২৫ সিজন ৪ রান্নার প্রতিযোগিতা

অপরাজিতায় কবিতার শাড়ি

ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাতকে শক্তিশালী করতে এসএমই ফাউন্ডেশন ও অক্সফ্যাম একসাথে কাজ করবে

ঈদ ফ্যাশন ফিক্সেশন এর উদ্বোধন

ভর্তার স্বাদ ও সাতকাহন

মাসরুমের গুরুত্ব ও মাশরুমের উৎপাদন কৌশল শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা

আমার মমতাময়ী মা

শেষ হলো আইডিয়া পিচিং কম্পিটিশন ক্রিয়েভেঞ্চার ৩.০

ছোট উদ্যোক্তা থেকে বড় উদ্যোক্তা হওয়ার প্লার্টফর্ম সম্পূর্ণা বাংলাদেশ

টিকটকে যে নারীরা অনুপ্রেরণা যোগায়

চল্লিশেই সফল ব্যবসায়ী- নিয়াজ মোর্শেদ এলিট
