ঢাকা শনিবার, ২ আগস্ট, ২০২৫

রাজিয়া কবির

 চাকরি করবো না চাকরি দিবো


তানভীর সানি  photo তানভীর সানি
প্রকাশিত: ২৬-৮-২০২৩ দুপুর ২:২৭

ছোটো বেলায় রাজিয়া কবির ভাবতেন কবে বড় হবো আর কবে নিজে কিছু করবো। বড় অফিসে চাকরি করবো এমনটাই চিন্তা ছিলো তাঁর। সেই সাথে আরও ভাবতেন দাদুর মতো গরু পালবো কারণ দাদুর অনেক গুলো গরু ছিলো।  এরপর একটু বড় হয়ে অর্থাৎ পড়াশোনার পাশাপাশি একটা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন।  বিয়ের পর ও চাকরি করেছেন। সন্তান হবার আগে ছেড়েও দিয়েছেন। এছাড়াও রাজিয়া কলেজ জীবন থেকেই ব্লক, বাটিক, হাতের কাজের পোশাক, চাদর, শাড়ি ডিজাইন করতেন। ভাবতেন, চাকরি করবো না চাকরি দিবো। বর্তমানে তিঁনি একজন খামাড়ি বা এগ্রো সেক্টরে উদ্যোক্তা।  গরু পালন করছেন।  নিজেদের ক্ষেতের ভুট্টা, ঘাস, কলাই এবং খইলের জন্য সরিষা চাষ করে গরুকে খাওয়াচ্ছেন। যেন গুণগত গরুর দুধ ও মাংস সংগ্রহ করা সম্ভব হয়। রাজিয়া কবির বলেন, আমি কখনোই বসে থাকা মানুষ নই।  ভাবছিলাম কি করবো একটা পেজ খুলি পোশাকের।  কিন্তু সন্তান বেশি ছোটো থাকায় সময় দিতে পারিনি। এরপর সন্তানের যখন দুই বছর শেষ হয় তখন তার পুষ্টির যোগান দিতে ঢাকায় মান সম্পন্ন গরুর দুধের অভাব অনুভব করি। সেই সাথে অন্য মায়েদের সমস্যা ও ফিল করি। আর সিদ্ধান্ত নেই গরু পালবো।  নিজে খাবো আর পরিচিত বন্ধু স্বজনকে দিবো। 

রাজিয়া কবির ২০১৫ এর শেষের দিকে ৪ টা গরু নিয়ে উদ্যোগ শুরু করেন। এরপর আত্মীয়, বন্ধু, স্বজনদের অনুরোধ ও উৎসাহে ২০১৬ এর জানুয়ারিতে ট্রেড লাইসেন্স করে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেন। তাঁর প্রতিষ্ঠানের নাম রাজিয়া এগ্রো ফার্ম। সিগ্নেচার পণ্য গরুর খাঁটি দুধ।  এছাড়াও আছে দুগ্ধজাত পণ্য- মাখন, পনির, ঘি, প্যারা সন্দেশ, দই ও সরিষার তেল সবই হোম মেইড। এছাড়া কোরবানির গরু নিয়েও কাজ করছেন। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটিতে স্থায়ী,অস্থায়ী মিলে ২০ জন কর্মী কাজ করছে। বর্তমানে তিনি একজন স্বনির্ভর নারী উদ্যোক্তা। বছরে প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ লাখ টাকা লেনদেন করেন। তাঁর প্রতিষ্ঠানের পণ্য ঢাকাতেই বেশি পাওয়া যায়। আছে হোম ডেলিভারির সুবিধা। এছাড়াও রয়েছে বনশ্রীতে একটি বিক্রয় কেন্দ্র। রাজিয়া কবিরের স্বপ্ন তাঁর ভালোবাসার প্রতিষ্ঠানটি আরও বড় করবেন। আরও বেশি কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করবেন। গরুর সংখ্যা বাড়ানো সহ গরুর প্রজনন নিয়েও ভাবছেন। রাজিয়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করে আসছেন তাঁর স্বামী রাশেদুল কবির। তাঁদের একমাত্র ছেলে ইশরাক কবির। একাডেমিয়াতে স্ট্যান্ডার্ড থ্রিতে পড়ছে। 

রাজিয়া পুরান ঢাকার পোস্তগোলা এলাকায় যৌথ পরিবারে বড় হয়েছেন। দোলাইরপাড় উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং সর্বশেষ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ ডিপার্টমেন্ট এ এমএসসি করি। এছাড়াও অসংখ্য কোর্স করেছেন সফল এই নারী উদ্যোক্তা। বর্তমানে তিনি রামপুরা বনশ্রী এলাকায় বাস করেন। তাঁর প্রতিষ্ঠানটি নারায়নগঞ্জের সোনারগাঁও এ অবস্থিত।  

Sunny / Sunny

হোটেল ও রেস্টুরেন্ট শিল্পের সফল জাদুকর সুকান্ত সৈকত

শুরু হয়ে গেল রাঁধুনী নিবেদিত মাংসের সেরা রেসিপি ২০২৫ সিজন ৪ রান্নার প্রতিযোগিতা

অপরাজিতায় কবিতার শাড়ি 

ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাতকে শক্তিশালী করতে এসএমই ফাউন্ডেশন ও অক্সফ্যাম একসাথে কাজ করবে

ঈদ ফ্যাশন ফিক্সেশন এর উদ্বোধন

ভর্তার স্বাদ ও সাতকাহন 

মাসরুমের গুরুত্ব ও মাশরুমের উৎপাদন কৌশল শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা

আমার মমতাময়ী মা 

শেষ হলো আইডিয়া পিচিং কম্পিটিশন ক্রিয়েভেঞ্চার ৩.০

ছোট উদ্যোক্তা থেকে বড় উদ্যোক্তা হওয়ার প্লার্টফর্ম সম্পূর্ণা বাংলাদেশ

টিকটকে যে নারীরা অনুপ্রেরণা যোগায়

চল্লিশেই সফল ব্যবসায়ী- নিয়াজ মোর্শেদ এলিট

ইপি-উদ্যোক্তা প্ল্যাটফর্ম এর বিভিন্ন জেলায় পুষ্পস্তাবক অর্পণ -